Incredible India monthly contest of March1 by @tanay123 | Family.
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? সকলেই সুস্থতা কামনা করে আমি আমার আজকের লেখাটি শুরু করছি। আমাদের কমিউনিটিতে একটি কনটেস্টের আয়োজন করা হয়েছে। এই কনটেস্টটির বিষয় পরিবারকে কেন্দ্র করে। টপিকটি দেখামাত্রই এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা জন্মেছিল। তবে কিছু কারণবশত পোস্টটি এখনো করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে ইতিমধ্যে এই কনটেস্ট টিতে পার্টিসিপেট করার জন্য অনেক সদস্যই আমাকে মেনশন করেছেন। তাই আজ অন্তিম ক্ষণে আমি এই কনটেস্টে পার্টিসিপেট করছি।
কনটেস্ট এর বিষয় আপাতদৃষ্টিতে যতটা সহজ, ততটাই গভীর। পরিবার তো শুধুমাত্র কতগুলো মানুষকে নিয়ে তৈরি হয় না। তাদের আবেগ, আকাঙ্ক্ষা, বাসনা, ভালোবাসা, মেলবন্ধন ---এই সমস্ত কিছু পরিবারকে এক সুতোয় বেঁধে রাখে। একটি পরিবারে বিভিন্ন সদস্যদের পছন্দ-অপছন্দ নানান রকমের হয়। সমস্ত কিছু মানিয়ে নিয়ে এক সাথে এগিয়ে চলায় হল পরিবারের মূল মন্ত্র।
কনটেস্টের নিয়ম অনুযায়ী আমি প্রথমেই কিছু সদস্যকে এই কনটেস্টে পার্টিসিপেট করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। যদিও হাতে সময় খুব একটা বেশি নেই, তবুও এই স্বল্প সময়ে যদি কেউ চান অবশ্যই পার্টিসিপেট করতে পারেন। আমি যাদেরকে এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, তারা হলেন --- @stef1 , @Papiya Halder এবং @isha.ish
"What is your perspective on the word Family? Is it just a word or is it more than that?" |
---|
একটা শিশুর শৈশবকাল সর্বদাই পরিবারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। কোন কোন মানুষের শৈশবকাল ব্যতীত বাকিটা জীবন নানা কারণে কর্মসূত্রে বা উচ্চশিক্ষা লাভে পরিবার থেকে বিচ্ছেদ হয়ে অন্যত্র অতিবাহিত হলেও কিছু মানুষের শৈশবকাল থেকে শুরু করে বার্ধক্য পর্যন্ত সারাটা জীবন পরিবারকে কেন্দ্র করেই অতিবাহিত হয়। তাই 'পরিবার' শব্দটি চারটি অক্ষরের দ্বারা গড়ে উঠলেও এর গভীরতা এতটাও তুচ্ছ নয়। শৈশব কাল আমাদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। একটা শিশুর জন্মবার পর মুহুর্ত থেকে তার চরিত্র কেমন হবে তা পুরোপুরি নির্ভর করে তার পরিবারের উপরে। পরিবার ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ যত আনন্দমুখর ও রুচিশীল হবে একটি শিশুর চরিত্রও ঠিক তেমনি ভাবে গড়ে উঠবে। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হলে আমাদের পরিবারকে অনেক বেশি গঠনশীল হতে হবে।
*সেই সাথে, অনেক রিসার্জে দেখা গেছে যে শিশুটি একটি সুষ্ঠু পরিবেশে তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বেড়ে ওঠে তার সর্বজনীন বিকাশ অর্থাৎ শারীরিক, মানসিক, প্রাক্ষোভিক ইত্যাদি দিক থেকে বিকাশ অনেক বেশি উন্নত মানের হয়। আর যে শিশুটি কোন অনাথ আশ্রমে কিংবা অন্য কোন হোমে বড় হয় পরিবারকে ছেড়ে তাদের সর্বজনীন বিকাশ কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়। তাই জীবনের পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন কারণে পরিবার থেকে বিচ্ছেদ হতে হলেও জীবনের গোঁড়ার দিকটা অর্থাৎ শৈশব কাল টা শিশুর পরিবারের মধ্যে বড় হওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আমি, মা, বৌদি, দাদা.... আমার ভাইপো তখন বৌদির মধ্যেই বড়ো হয়ে উঠছে |
---|
এবার আসা যাক আমার কথাই। আমার মা- রা আট ভাই বোন। তাদের সকলের মধ্যে মা সবার ছোট। সেই যুগে বাবা - মায়ের লাভ ম্যারেজ হওয়ার দরুণ পরিবারের সব চেয়ে আদরের মেয়েটি মানে আমার মা সকলের চক্ষুসূল হয়ে ওঠে। আর সেটি বহু বছর চলে। এমন কি এখনো পর্যন্ত আমার ফুল মামা আমাদের সাথে কথা বলে না। তাই আমার দিব্যি মনে করে ক্লাস নাইন এর আগে আমাদের বাড়িতে কোনো দিন কোনো আত্মীয় আসেনি ( মামা বাড়ির লোকজন বা মাসির বাড়ির লোকজন) । তাই আমার কাছে পরিবার মানে ছিল - মা, বাবা, দাদা আর আমি। এই ছিল আমার ছোট্ট জগৎ। সময় হয়ে এগিয়েছে, আমাদের এই ছোট্ট জগৎ ছেড়ে বিদায় নিয়েছে বাবা। আর সেই সাথে এই ছোট্ট জগৎ এর সাথে যুক্ত হয়েছে আমার বৌদি আর ভাইপো। তাই এখন মা, দাদা, বৌদি আর ভাইপো কে নিয়েই আমাদের সংসার। আর সেই সাথে আমি সদ্য এক নতুন পরিবারের সদস্য হয়ে উঠেছি। তাই সেই পরিবারের সদস্যরাও এখন আমার আরেক পরিবার। সেই পরিবারের বাবা, মা, ঠাকুমা ও হবু বর মশাই ও এখন আমার ছোট্ট জগৎ এর অংশ।
"How can one fulfill one's responsibilities towards one's family?" |
---|
একটা পরিবারের প্রতি প্রত্যেকটি মানুষের অনেক দায়িত্ব এবং কর্তব্য থাকে। একটা পরিবার তখনই একটি সুষ্ঠু পরিবার হিসেবে গড়ে উঠতে পারে যখন পরিবারের সকল সদস্য একে অপরের পাশে থেকে সহায়তা করে এবং নিজে নিজে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে। এই দায়িত্ব বা কর্তব্য নেওয়া আমাদের ছোট থেকেই শেখানো উচিত। আর তাছাড়া বাড়ির বড়রা যেভাবে আচরণ করে ছোটরা ও সেটাই দেখে শেখে। তাই বাড়ির ছেলেরাও যদি বাড়ির কাজে মহিলাদের সাথে অংশগ্রহণ করে কিছু কিছু কাজে সাহায্য করে তাহলে বাচ্চারা ও সেটা দেখে শিখবে। এখনকার দিনে মহিলারা ও ঘর এবং বাইরে দুটোই খুব সুন্দর ভাবে সামলাতে পারে। তাই সকল পুরুষ সদস্যদের উচিত তাদের স্ত্রীকে ঘরের কাজে অল্প অল্প সাহায্য করা।
শুধু এইটুকুতেই তো দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি যেমন কর্তব্য পালন করা উচিত ঠিক তেমনি যে বাবা-মা আমাদের ছোট থেকে অনেক দুঃখ কষ্ট সহ্য করে বড় করে তোলে সেই সব বাবা মাকে আদরে যত্নে রাখা ও কিন্তু প্রত্যেকটা সন্তানের কর্তব্য। তাই জীবনে যত বড়ই হয়ে যায় না কেন যাদের জন্য সেই জায়গায় পৌঁছতে পারলাম তাদেরকে অবহেলা করা একেবারেই উচিত নয়।
আর সেই সাথে আমাদের প্রতিদিন পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছুটা সময় রাখা উচিত। বড় হওয়ার সাথে সাথে নানা রকম বাহ্যিক দায়িত্ব ও কর্তব্য চলে আসে ঠিকই তবে পরিবারের সদস্যদের সাথে সারাদিনের কিছু কথা শেয়ার করার জন্য অবশ্যই সময় রাখা উচিত। এতে বাড়ি সদস্যদের মধ্যে মেলবন্ধন অটুট থাকে।
"Share stories some of the beautiful moments spent with them!" |
---|
সত্যি কথা বলতে গেলে এই প্রশ্নের উত্তর শুধুমাত্র কয়েকটি লাইনের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করা একেবারেই সম্ভব নয়। ছোটবেলার এত এত মজার ঘটনা রয়েছে যে তার মধ্যে কোন কোনটিকে বেছে নেব সেটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবুও স্মৃতি খেতে কিছু গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আজ ১৫ বছর হলেও আমার বাবা মারা গেছেন। বেঁচে থাকাকালীন অবস্থায় আমার বাবা প্রত্যেকদিন কাজ থেকে ফেরার পথে আমাদের দু ভাই বোনের জন্য কিছু না কিছু খাবার কিনে আনতো। আর প্রতিদিন বিকেল বেলাতেই আমাদের দুই ভাই বোনের মধ্যে এই খাবার ভাগাভাগি নিয়ে এক বিরাট ঝামেলা বাঁধত। কে বেশি পেল আর কে কম পেল এই নিয়ে চলতো তুমুল ঝগড়া। সেই ঝগড়া থামাতে শেষমেষ বাবাকেই রেফারি হয়ে মাঠে নামতে হতো। তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রত্যেকদিন বাবা নিজের হাতে আমাদের দুই ভাই বোনকে খাবার ভাগ করে দিত। তাতে করে কারোর কম কিংবা কারোর বেশি পাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকত না। এবার একদিন বাবা আঙুর ফল কিনে এনেছিল। আর আঙ্গুর ফল গুলো খুব বেশি বড় বড় ছিল না ছোট ছোটই ছিল। আর পরিমাণেও বেশ অনেকটাই ছিল। এমত অবস্থায় আমরা দুই ভাই বোন যাতে আবারো মারামারি শুরু না করে তাই বাবা দুজনকে দুটো বাটি নিয়ে এসে দুই পাশে বসতে বলেছিল। তারপর দুজনের বাটিতেই একটি একটি করে আঙ্গুর ফল সমান ভাগে ভাগ করে দিয়েছিল। শুধুমাত্র যে সংখাই সমান দিয়েছিল তা নয় যখন দাদার মাটিতে একটা বড় আঙ্গুর ফল পড়ছিল ঠিক তার পরেই আমার মাটিতেও সেম সাইজেরই আঙ্গুর ফল খুঁজে খুঁজে রাখছিল। এইভাবেই যখনই আঙ্গুর ফল আনতো তখনই আমাদের ভাগ করে দিত। এতগুলো বছর পরেও যখন আঙ্গুর ফল খাই এই ঘটনাটা আমার মনে দোলা দেয়। সত্যি বাবারা বোধ হয় এরকমই হয়।
এবার আসা যাক মায়ের কথায়। এনার কথা বলতে গেলে দুই এক কথায় শেষ করা অসম্ভব। আমার কাছে আমার মা একজন ইনস্পিরেশন। সব পরিবারের মা- রায় একেকজন যোদ্ধা হন আমার মা ও তার ব্যতিক্রম নন। তবে ছোটবেলায় আমি কিন্তু মায়ের কাছে খুব মার খেয়েছি। আপাতদৃষ্টিতে আমি শান্তশিষ্ট হলেও নিজের বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে যখন থাকি তখন বেশ ভালোই দুষ্টুমি করা হয়। যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি তখন একদিন টিফিন এর সময় সব বন্ধু-বান্ধবরা মিলে ক্লাসরুমের মধ্যেই ছোঁয়া ছুয়ি খেয়েছিলাম। একটি ঘরের দুইদিকে দুটো দরজা ছিল আর সেই সময় সেখানে নতুন লোহার দরজা লাগানো হয়েছিল। খেলতে খেলতে হঠাৎ করে কেউ একজন ধাক্কা দেয় । ছিটকে গিয়ে মাথাটা পড়ে দরজার ওপর। হালকা একটু লাগে। তবুও খেলার এত নেশা ছিল যে সেই সব উপেক্ষা করে খেলাতেই মেতে ছিলাম । হঠাৎ করে সবাই বলে উঠে, "এই তোর কি হয়েছে রে, গলার কাছে, পিঠের দিকে এত রক্ত কেন?" তারপর হুঁশ হয় আমার মাথা ফেটে গেছে। সে এক বিশ্রী অবস্থা। হেড স্যার আমাকে প্রাথমিক সেবা-শুশ্রূষা করে সাইকেলে চাপিয়ে ছুটলো ডাক্তারখানায়। কিন্তু এই মুহূর্তে কোন ডাক্তারখানা খোলা ছিল না। তারপর মাকে ডেকে পাঠানো হলো। মা আমাকে বাড়ি নিয়ে গেল। তারপর মা বলেছিল, "বাড়ি থেকে কিন্তু কোথাও যাবি না, আমি বিকেল বেলায় ডাক্তারখানায় নিয়ে যাব।" তারপর সন্ধ্যা বেলায় ফিরে এসে দেখে আমি বাড়িতে নেই। সেই কাপড় দিয়ে বাঁধা ফাটা মাথা নিয়েই কচিকাচাদের সাথে খেলতে বেরিয়ে গেছি। এই দেখে মা লাঠি নিয়ে মাঠ থেকে মারতে মারতে আমাকে বাড়ি এনেছিল। তারপর ডাক্তারখানায় নিয়ে গিয়ে মাথায় পাঁচটা সেলাই দিয়ে এনেছিল। এখনো মাঝে মাঝে সেই প্রসঙ্গ উঠলে আমরা খুব হাসাহাসি করি।
এবার আসি দাদার কথাই। আমার দাদা ছোট থেকেই খুব দুষ্টু ছিল। আর আমরা পিঠোপিঠি হওয়ায় দাদার কাছে আমি বীভৎস মার খেয়েছি। তবে যতই আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক হোক না কেন যে কোন জায়গায় যাওয়ার জন্য বাধাই ছিল একমাত্র ভরসা। তাই জীবনের প্রথম বোর্ড এক্সাম মানে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার সময় দাদার উপরেই দায়িত্ব পড়ে আমাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে মানে যে স্কুলে সিট পড়েছিল সেখানে দিয়ে আসার। যথারীতি দাদা আমাকে প্রথম দু তিন দিন খুব সুন্দর ভাবে দিয়ে আসে এবং নিয়ে আসে। এরপরে যেদিন আমাদের ম্যাথ পরীক্ষা ছিল সেই দিন আমাকে দিয়ে তো আসে কিন্তু ছুটি হওয়ার পর দাদার আর কোন পাত্তা পাওয়া যায় না। সেই সময় যেহেতু আমি বড্ড ঘরকোণে ছিলাম তাই রাস্তাঘাট বিশেষ চিনতাম না। আর মোবাইল তো তখন ছিলই না। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা আমি রাস্তা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। একে একে সব বন্ধুরা চলে যাই। কিন্তু দাদার আমাকে নিতে আসার কোন খোঁজই নেই। শেষে বিরক্ত হয়ে আমি ভাবলাম রাস্তার লোকজনকে জিজ্ঞাসা করতে করতেই হেঁটে হেঁটে বাড়ি চলে যাব। সেই মতো যখনই করছি তখন দেখি সাইকেল নিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে দাদা আসছে। তারপরে তার কাছে কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, "আমার তো মনেই ছিল না, আমি তো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তোর তো ভাগ্য ভালো যে আমি দেড় ঘন্টা পরে তাও এসেছি, ঘুমটা না ভাঙলে তো তোকে এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।"
সবশেষে বলবো এই মানুষগুলো ছাড়াও বর্তমানে যারা আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছে তাদের অবদানও কিন্তু কোন অংশে কম নয়। তারাও এই অল্প কিছু বছরে আমাদের জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে অবস্থান করছে। ভবিষ্যতে এই সমস্ত মানুষজনকে নিয়ে যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারি ভগবানের কাছে এটাই প্রার্থনা করি।
সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আগামীকাল আবার অন্য কোন লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।
প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য এরপর দেখলাম আপনি প্রতিযোগিতার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর চমৎকার ভাবে দিয়েছেন আসলে জন্মের পর থেকেই আমরা আমাদের পরিবারের মাধ্যমে বড় হয়ে উঠি এবং পরিবারকে কেন্দ্র করেই সমাজের মধ্যে বসবাস করি আপনি বেশ কিছু মানুষের কথা শেয়ার করেছেন যাদেরকে নিয়ে আপনি আপনার পরবর্তী জীবন কাটাতে চান দোয়া এবং ভালবাসা রইল ইনশাল্লাহ অবশ্যই আপনি তাদেরকে নিয়ে আপনার বাকি জীবন কাটাতে পারবেন ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।