শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়-স্বজন দের সাথে কাটানো একটা সুন্দর সন্ধ্যা
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন একটি গল্প শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
দূর্গা পূজার শেষ দিন অর্থাৎ দশমী দিন হঠাৎ করেই আমাদের ঘুরতে যাওয়ার একটা প্ল্যান হয়। যদিও আগে থেকে আমরা কোনো প্ল্যান করিনি। সেই সাথে আমি ভেবেছিলাম দশমীর দিন আর বেরোবো না। তবে দুপুরের দিকে আমার কাকা শ্বশুরের মেয়ে ফোন করে ওদের সাথে ঘুরতে যেতে বলে। যদিও প্রথমে আমার যাওয়ার একেবারেই ইচ্ছা ছিল না, তারপরে আবার ভাবলাম ননদ বলে কথা, প্রথম বার ওদের সাথে ঘুরতে যেতে বললো, তাও যদি না যাই, তাহলে হয়তো খারাপ ভাববে। এই ভেবেই যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছিলাম। তবে ঘুরে এসে ভাবলাম না গেলে হয়তো একটা সুন্দর দিন মিস করে যেতাম।
আমরা কখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলাম, এবং কোন কোন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম সেইসব আপনাদের সাথে অন্য কোনো ব্লগে শেয়ার করবো। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেই দিন ফেরার পথে আমরা যে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম সেইখানকার কিছু মুহূর্ত। আমরা বাড়ি থেকে মোট ৯ জন গিয়েছিলাম। তবে রেস্টুরেন্টে পৌঁছানোর পর আরও পাঁচ জন আমাদের সাথে যুক্ত হয়। মানে আমরা মোট ছিলাম ১৪ জন। তাহলে ভাবতেই পারছেন একটা জায়গায় ১৪ জন জড়ো হলে অবস্থাটা কেমন হয়।
যদিও আমি কিন্তু ১৪ জনের মধ্যে মাত্র চারজনকে চিনতাম। বাকি দশজনকে আমি প্রথমবার দেখেছিলাম। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সকলের সাথে মিশে যেতে পেরেছিলাম, কারণ বেশিরভাগ জনই আমার কাছাকাছি বয়সেরই ছিল।
আমি আর শুভায়ন এর আগেও অনেকবার এই রেস্টুরেন্টে এসেছি। এই রেস্টুরেন্টটির নাম Kozee Kuteer । সত্যি কথা বলতে গেলে এখানকার পরিবেশটা আমার খুব ভালো লাগে। যেহেতু আমাদের শহর থেকে বেশ অনেকটাই দূরে তাই সবসময় আসা সম্ভব হয় না, তবে কোনদিন হাতে সময় থাকলে, আমরা এখানে চলে আসি। যেহেতু পুজো চলছিল তাই রেস্টুরেন্ট টিকে আরো অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। চারিদিকে লাইট দিয়ে খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা হয়েছিল। তবে সেই দিন আমি খুব বেশি ফটো তুলতে পারিনি। যেহেতু সকলের সাথে কথা ও আড্ডা চলছিল তাই সেদিন ছবি তোলার কথা খুব বেশি মনে ছিল না। তাই আমি আগের বছরের পুজোর সময়ের কিছু ফটো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।।
খাবারে আমরা প্রথমেই নিয়ে নিয়েছিলাম সার্টার হিসেবে চিকেন ললিপপ। বেশিরভাগ জনই ড্রাগন চিকেন। তবে সত্যি কথা বলতে গেলে এখানকার খাবারের গুণগতমান এবং সেই সাথে পরিমাণ অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথম প্রথম যখন এখানে আসতাম তখন এখানকার খাবার খুব ভালো লাগতো। তবে এখন বর্তমানে খাবার এর স্বাদ ও পরিমাণ কোনোটাই ভালো লাগেনা। এবারের খাবারগুলোতেও ঠিক সেটাই দেখলাম। পরিমাণ এত অল্প অল্প দিয়েছে যে আমাদের অনেক বার করে অর্ডার করতে হয়েছে।
এরপরে মেইন কোর্সে আমরা নিয়েছিলাম, গার্লিক বাটার নান, চিকেন ভর্তা ও চিকেন এর আরো একটি আইটেম। চিকেন ভর্তা এবং চিকেনের অন্য একটি আইটেমের পরিমাণ এতটা কম দিয়েছিল যে দাম অনুযায়ী সেটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য ছিল না। তাই আমাদের একই আইটেম ২ প্লেট করে দুইবার অর্ডার করতে হয়েছে, মানে মোট চার প্লেট। যদিও অন্যান্য রেস্টুরেন্টে বেশ অনেকটা করেই পরিবেশন করে তবে এখানে পুজোর কারণেই হোক বা অন্য যেকোনো কারণেই হোক পরিমাণ অনেকটাই কম ছিল। তবে দামের দিক থেকে কিন্তু অন্য রেস্টুরেন্টে থেকে বেশ খানিকটা বেশিই ছিল। যাইহোক আমরা গিয়েছিলাম একটু মজা করে সন্ধ্যাটা কাটানোর জন্য। তাই এই নিয়ে আমরা বিশেষ সমালোচনা করিনি।
এইভাবেই সেইদিনটা বেশ মজা করে কাটিয়েছিলাম। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।