বিভিন্ন রকম ফুলের ছবি (পদ্ম🪷 , জবা🌺, গোলাপ 🌹, সূর্যমুখী 🌻, ধুতুরা, টিউলিপ 🌷)
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন কিছু বিষয় শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
কিছুদিন আগের একটি পোস্টে আমি বেশ কিছু সবজির ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। সেই সাথে এটাও জানিয়েছিলাম যে আমাদের ডি.এল.এড কোর্সে এই ধরনের অনেক অ্যাকটিভিটি থাকে। আমি সেই পোস্টে এইসব চার্ট গুলো বানানোর প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিতভাবে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। তাই আজ কোনটাই সেগুলোর আর বর্ণনা করছি না।
আমাদের রাজ্যের সরকারি বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকের পরিবেশ বইতে বিভিন্ন রকম ফুলদের নিয়ে একটি চ্যাপ্টার রয়েছে। আমি বাচ্চাদের সেই অধ্যায় টা পড়াবো বলে ঠিক করেছি, তাই আমাকে বাচ্চাদের কাছে পাঠ্য বিষয় আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এই চার্টটি তৈরি করতেই হতো। এর ফলে বাচ্চারা ফুলগুলোকে চিনবে এবং তার রং সম্পর্কে জানতে পারবে।
আমি আগের পোস্টে জানিয়েছিলাম যে আমি খুব ভালো রাখতে পারি না। তবে নিজের কাজ নিজেই করতে বেশি ভালোবাসি। তাই ইউটিউব দেখে দেখে এই ফুলগুলো র ছবি আঁকার চেষ্টা করেছি। তবে রং খুব বেশি নেই, তাই যে কটি রং ছিল সেগুলো দিয়েই ছবিগুলোকে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি। আপনারা সকলে অবশ্যই জানাবেন আমার চেষ্টা আপনাদের কেমন লাগলো।
চলুন তাহলে দেখে নেই আমি কিভাবে এই ছবিগুলো এঁকেছি।
|
---|
ধাপ ১ :
প্রথমেই আর্ট পেপারে সমান মাফ করে ছটা বক্স পেন্সিল দিয়ে এঁকে নিয়েছি। তারপর সেই বক্সগুলোকে মার্কার পিন দিয়ে এঁকে নিয়েছি।
ধাপ ২ :
এরপর পেন্সিল দিয়ে ইউটিউব দেখে ধীরে ধীরে একটি পদ্মফুল এঁকে নিয়েছিলাম। খুব সুন্দর না হলেও যেটুকুও পেরেছি আঁকার চেষ্টা করেছি।
ধাপ ৩ :
এরপর এঁকেছিলাম একটা জবা ফুল। স্কুলে পড়াকালীন আমাদের একটি আদর্শ ফুলের ছবি আঁকতে বলা হত। তখন কত এই জবা ফুল এঁকেছি। তবে অনেক বছর পর আঁকতে গিয়ে একেবারেই ভালো হচ্ছিল না।
ধাপ ৪ :
এরপর এঁকেছিলাম একটা ছোট গোলাপ ফুল। এই গোলাপ ফুল আঁকাটা আমার খুব সহজ লেগেছে। ছোটবেলায় আমরা এই ভাবেই গোলাপ ফুল আঁকতাম।
ধাপ ৫ :
এরপরে আমি এঁকে নিয়েছি একটা সূর্যমুখী ফুল। এই সূর্যমুখী ফুলটা আঁকতে গিয়ে আমাকে অনেকবার মুছতে হয়েছিল। তাও শেষমেশ যে আঁকতে পেরেছি আমি তাতেই খুশি।
ধাপ ৬ :
এরপর কি ফুল আঁকবো ভাবতেই মাথায় গেল ধুতুরা ফুলের কথা। তাই এঁকে ফেললাম একটা ধুতুরা ফুল।
ধাপ ৭ :
এরপর এঁকেছিলাম একটা টিউলিপ ফুল। এই টিউলিপ ফুল গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগলেও আমি খুব ভালো রাখতে পারিনি।
ছয়টি ফুলের ছবি একসাথে দেওয়া হল---
ধাপ ৮ :
এরপর সব ফুলগুলোকে বিভিন্ন রকমের স্কেচ পেন দিয়ে বর্ডার দিয়ে নিয়েছিলাম। আঁকাআঁকির ব্যাপারে আমার বিশেষ জ্ঞান না থাকলেও এই বর্ডার দিলে আমার ছবিগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে।
ধাপ ৯ :
এরপর ধীরে ধীরে গোলাপি রঙের একটা পেন্সিল রং নিয়ে পদ্মফুলটাকে রং করলাম । তারপর সবুজ রং দিয়ে পাতাগুলো রং করে নিয়েছিলাম।
ধাপ ১০ :
এরপরে রং করেছিলাম লাল টুকটুকে জবা ফুল। জবা ফুলটা রং করার পর বেশ সুন্দর দেখতে লাগছিল।
ধাপ ১১ :
এরপর রং করেছিলাম গোলাপ ফুল। এটা রং করা খুব সহজ ছিল। তাই খুব তাড়াতাড়ি এটা রং করা হয়ে গিয়েছিল।
ধাপ ১২ :
এরপর রং করেছিলাম সূর্যমুখী ফুল। এটা রং করতে গিয়ে আমাকে দিয়ে সমস্যা পড়তে হয়েছিল। কারণ আমার কাছে কোনো হলুদ রং ছিল না। আর হলুদ রং ছাড়া সূর্যমুখী ফুল রং করা সম্ভব নয়। তাই আমার ভাইপোর রং পেন্সিলের বাক্স থেকে হলুদ রং নিয়ে এসেছিলাম। সেটা দিয়েই রংটা সম্পন্ন করলাম।
ধাপ ১৩ :
এরপর রং করেছিলাম ধুতুরা ফুল। এক্ষেত্রেও আমার কাছে সাদা রং না থাকাই আমি একটু অন্যরকম ভাবে রং করেছি।
ধাপ ১৪ :
সবশেষে রং করেছি টিউলিপ ফুল। গোলাপি ও সবুজ কালার দিয়ে টিউলিপ ফুল টাকে রং করে নিয়েছিলাম। রং করার পর বেশ সুন্দর দেখতে লাগছিল।
সব ফুলগুলো রং করার পর একসঙ্গে ছবি তুলেছিলাম। নিচে সেই ছবিটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি----
আপনারা অবশ্যই জানাবেন আমার এই ছোট্ট প্রচেষ্টা আপনাদের কেমন লাগলো। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
প্রথমেই বলবো , আপনার ছবিগুলো দেখে কেউ বলতে পারবে না যে আপনি ড্রয়িং করতে পারেন না। আপনার আঁকা প্রতিটা ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে । আপনি ড্রয়িং করতে পারেন না তাই ইউটিউব মামার সাহায্য নিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর ফুলের ছবি এঁকেছেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয় বাচ্চাদেরকে ছবি দেখিয়ে পড়ানো হয় ,এ বিষয়ে সরকারের খুব সুন্দর একটি উদ্যোগ। আর আপনি সেই সকল বাচ্চাদের মাঝে এভাবে প্রতিদিন কিছু ছবি এঁকে তাদের সাথে সেইগুলো বিষয় নিয়ে পড়ানা এবং খুব সুন্দর একটি সময় কাটেন ।আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
ধন্যবাদ দিদি।
Thank you so much.
তোমার ফুলের ছবিগুলো আঁকা দেখে সেই ছোট বেলাকার আঁকার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় ঠিক এইরকম ভাবেই ছবিগুলো আঁকতাম। তোমারও হয়তো মনে থাকবে জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার সময় জবা ফুল ধুতরা ফুল সব কিছুই ভাগে ভাগে ফেলতে। ফুলের সমস্ত অংশই আলাদা আলাদা করে আঁকতে হতো। ফুলের ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। প্রত্যেকটা ধাপে ধাপে সুন্দরভাবে ছবিগুলো শেয়ার করেছো। সুন্দর ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর্ট করার অভ্যাস অনেকের ছোটবেলা থেকেই সিদ্ধহস্ত থাকে তবে আপনি এই বয়সে এসেও এত সুন্দরভাবে ফুলের আর্ট করে যাচ্ছেন যেটা দেখে আসলে বেশ ভালই লাগছে এজন্যই হয়তোবা অনেকেই বলে বয়স কোন ম্যাটার না যে কোন কাজ করার জন্য সবচাইতে বেশি প্রয়োজন ইচ্ছা শক্তি চমৎকার ফুলের অংকন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ফুল গুলো আসলেই অনেক বেশি সুন্দর লাগছে ভালো থাকবেন।