জন্মাষ্টমীর ফটোশ্যুট
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে আবারো নতুন কিছু গল্প শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
আজ বাঙালির ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী। এটি হিন্দু ধর্মের অন্যতম একটি উৎসব। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই দিনটি পালিত হয়। ভগবান কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম দিনে অর্থাৎ অষ্টমীতে। তাই এই দিনটিকে বলা হয় জন্মাষ্টমী। এই দিন শ্রীকৃষ্ণের ভক্তেরা নিজেদের বাড়িতে পুজো করেন, সেই সাথে ভজন-কীর্তন করেন।
সেই সাথে আরো একটি মজার বিষয় হলো এই দিন অনেক বাবা মায়েরা তাদের ছোটো সন্তানকে কৃষ্ণ রূপে সাজিয়ে তোলেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমাদের বাড়ির ছোট্ট কৃষ্ণের কিছু ছবি শেয়ার করবো।
আমার ভাইপো যখন ১ বছরের ছিল, তখন ওকে আমরা এই জন্মাষ্টমী দিনে ছোট্ট কৃষ্ণ রূপে সাজিয়েছিলাম। ওকে সাজানোর আমাদের তেমন কোন পরিকল্পনা ছিল না। কারণ ছোটবেলায় ও মোটেও সব সময় বেশি জামাকাপড় পরিয়ে রাখা পছন্দ করত না। গা থেকে সব খুলে ফেলতো। তবে কৃষ্ণ রূপে সাজাতে গেলে একটু তো সাজাতেই হবে। কিন্তু সাজানোর পর যদি ও সব খুলে ফেলে তাহলে তো ছবি তোলা যাবে না তাই আমরা প্রথমে তেমন কোনো পরিকল্পনা করিনি।
তবে সারাদিন ফেসবুকে বাচ্চাদের কৃষ্ণ রূপে সেজে উঠতে দেখে বিকেলের দিকে আমাদেরও মনে হয়েছিল আমাদের বাড়ির বাচ্চাটিকেও সাজালে মন্দ হয় না। তাই কোনরকম প্রস্তুতি ছাড়াই আমরা বাড়িতে থাকা আমাদের সাজার জিনিসপত্র দিয়ে ওকে সাজিয়ে তুলেছিলাম। যে ধুতিটা পড়ানো হয়েছিল সেটা ওর অন্নপ্রাশনের ধুতি ছিল। যেহেতু আমাদের ৮ মাসে অন্নপ্রাশন ছিল তাই সেটা কখনো ওর গায়ে ঠিকঠাক হচ্ছিল। সেই ধুতিটাই পরানো হয়েছিল। আর সেই সাথে দাদা আর পুজোর রামাবলি মাথায় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আর বাড়িতে একটা ময়ূরের পালক ছিল। সেই পালক টাই পাগড়িতে দেওয়া হয়েছিল।
তারপর আমার একটা কোমর বন্ধনী ছিল সেটা দিয়েই ওর গলার হার বানানো হয়েছিল। তারপর দাদা কপালে তিলক দিয়ে দিয়েছিল। ব্যাস্! রেডি। আমাদের ছোট্ট কৃষ্ণ ফটোশুট করার জন্য একদম রেডি হয়ে গিয়েছিল। তবে এই চঞ্চল বাচ্চার ফটো তোলা খুবই চাপের কাজ। অনেকগুলো টেক নিয়ে তারপর ঠিকঠাক কতগুলো ফটো এসেছিল। যদিও পরপর সব ফটো তোলা সম্ভব হয়নি। মাঝে মাঝে একটু গ্যাপ নিতে হচ্ছিল। ওকে বিভিন্ন কিছু খেলনা দিয়ে ভোলাতে হচ্ছিল। তাছাড়া চারিদিক থেকে সামনে তাকানোর জন্য ও হাসানোর জন্য বিভিন্ন কিছু করা হচ্ছিল। শেষমেশ অনেক কষ্টে ওনার বেশ কিছু ভালো ভালো ফটো তোলা সম্ভব হয়েছিল।
যদিও এই বছরও ওকে সাজানো হয়েছে। ওর এখন বয়স সাড়ে তিন বছর। এই বছর ওনার নিজেরই খুব ইচ্ছা হয়েছে কৃষ্ণ সাজার। ছোটবেলার ফটো গুলো দেখে ও মাকে বলেছিল কৃষ্ণ সাজবে। তাই আজকে আমি আর বৌদি মিলে ওকে সাজিয়েছিলাম। সেই গল্প আপনাদের সাথে না হয় অন্যদিন শেয়ার করব।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।