বহু দিনের একটা ইচ্ছা পূরণ
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে একটা বিশেষ গল্প শেয়ার করার জন্য । আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
কথাতেই আছে, "শখের দাম লাখ টাকা।" এই কথাটি কিন্তু আমাদের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে ভাবে জড়িত। আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু শখ রয়েছে। এই শখ মানুষকে মন থেকে সতেজ রাখে এবং খুশি রাখে। এই শখের জন্যই মানুষ অনেক সময় তাদের বাড়িতে দামি পোষ্য পোষেন কিংবা দামি দামি পোশাক কেনেন। এরকমই নানা রকমের শখ মানুষের থাকে। তাই শখ পূরণ করতে গিয়ে অনেক সময় মানুষকে অনেক অর্থ ব্যয়ও করতে হয়। তাই এই প্রবাদ প্রবচনটি ( "শখের দাম লাখ টাকা") খুবই প্রচলিত।
আমি মনে করি প্রত্যেকেরই জীবনে কিছু না কিছু সব থাকা উচিত। শুধুমাত্র শখ থাকলেই হবে না। এই ইচ্ছা গুলোকে পূরণ করতে মানুষকে অর্থ, সময় ও শ্রম সবকিছুই ব্যয় করতে হবে। সময় এবং শ্রম ছাড়া অর্থ উপার্জন সম্ভব নয়। আবার অর্থ ছাড়া শখ পূরণ করাও সব সময় সম্ভব নয়। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই আলসেমি ছেড়ে কাজ করা উচিত যাতে আমরা আমাদের জীবনের শখগুলোকে নিজেরাই পূরণ করতে পারি।
প্রত্যেকের মত আমারও জীবনে বেশ কিছু শখ রয়েছে। আর আমি প্রতিনিয়ত সেই শখগুলো পূরণ করার জন্য কাজ করার চেষ্টা করি। আমি জানি আমার শখ বা ইচ্ছে সেটা নিতান্তই আমারই। তাই সেগুলোকে পূরণ করার দায়িত্ব আমারই। সেই কারণেই মনে কোন শখ জাগলে সেটা পূরণ করার জন্য মনটা খুব ছটফট করে। তবে সব সময় ভাবলেই তো সব কাজ তৎক্ষণাৎ করা সম্ভব হয় না। তার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়।
আমার বিয়ের আর কয়েক মাস বাকি আছে। তাই আস্তে আস্তে সমস্ত কিছুই গোছাতে হচ্ছে। আর বাঙালি বিয়ের একটি বিশেষ বিষয় হল সোনার গহনা। প্রত্যেক বাবা-মাই চান তার সন্তানকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে। তবে চাইলেই তো আর তা সম্ভব নয়। আর আমার বাবা তো নেই তাই মায়ের পক্ষে একা সমস্তটা গোছানো সম্ভব নয়। একটা বিয়েতে তো কম খরচ নয়। সেই সব খরচ মিটিয়ে গা ভর্তি গয়না গড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আমার মায়ের নেই। তাই খুব যৎ সামান্য যেটুকু গহনা মায়ের বানিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল তা মা বানিয়ে দিয়েছে। তবে বহুদিন যাবত আমার একটি গহনা বানাতে খুব ইচ্ছে হচ্ছিল।
তবে হঠাৎ করে সোনার মূল্য যে হারে বেড়ে গেল, তাতে আর সোনার জিনিস এই মুহূর্তে বানাতে পারবো কিনা জানিনা। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। একে মেয়ে বিদায়ের চিন্তা, তার ওপর সোনার এমন মূল্য বৃদ্ধি। যাইহোক, আমার বহুদিন ধরে একটি পার্ল এর নেকলেস বানাতে খুব ইচ্ছে হচ্ছিল। তাই এই বছরের শুরু থেকেই আমি পড়ানো টাকা থেকে অল্প অল্প করে টাকা জমাতে শুরু করি। তারপর আমাদের শহরের সোনা পট্টির এটি গহনার দোকানে পছন্দমত একটি নেকলেস বানাতে দিয়ে আসি।
আমি তাদের কাছে ১৫ দিনের সময় নিলাম। কারণ সব বাড়ির মাইনে পেতে পেতে প্রায় ১০ তারিখ হয়ে যায়। তারপর সব বাড়ির মাইনে+ আগে জমানো টাকা নিয়ে পৌঁছে যায় আমার পছন্দের জিনিসটি বাড়ি আনার জন্য। এই গহনাটি তৈরি করতে আমার সর্বমোট খরচ পড়েছে ২৭,০০০ টাকা(ভারতীয় মূল্যে)। আসলে দুই বছর আগে বানালেও সোনার জিনিসের দাম অনেক কম হতো। তখন সোনার মূল্য অনেকটাই কম ছিল। তবে সেই মুহূর্তে তো বানিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। তাই দাম বেশি হওয়া সত্ত্বেও শখের জিনিসটি বানিয়েই ফেললাম।
নিজের শখ পূরণ করতে পেরে তো আমার খুবই ভালো লেগেছে। জীবনের এই ছোট ছোট শখ গুলো পূরণ করার মত সামর্থ্য এবং ক্ষমতা যেন ভগবান আমাকে দেন আমার ভগবানের কাছে এইটুকুই প্রার্থনা। আপনারা সকলে জানাবেন আমার এই পার্ল এর নেকলেস টি আপনাদের কেমন লাগলো।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
একদমই তাই শখের দাম লাখ টাকা। আমাদের মত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে সোনা কেনা একেবারেই সম্ভব নয়। ইচ্ছে থাকলেও উপায় হয় না। অনেকদিন তা ভাবনা পরিকল্পনা করার পর একটা জিনিস কিনতে হয়। তুমি অল্প অল্প করে নিজের বিয়ের জন্য গয়না তৈরি করছ দেখে বেশ ভালো লাগছে আমিও তোমার মত নিজের বিয়ের গয়না নিজেই তৈরি করে নিয়েছিলাম তখন গয়নার দাম অবশ্য অনেকটাই কম ছিল কিন্তু আমি গয়নার বিষয়ে তেমন কিছুই বুঝতাম না। তোমার পারলে চোকার খুব সুন্দর হয়েছে। ভগবান তোমার আরো ক্ষমতা দিক নিজের পছন্দমত জিনিস কেনার জন্য।
Congratulations! Your post has been selected as one of our nominees for this week. Read here.
True Colours 5 are:
@aneukpineung78, @solperez, @wakeupkitty.
Thank you so much for visiting my comment and selecting me.