আশীর্বাদের দ্বিতীয় পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা। আজকে আবার চলে এসেছি আপনাদের সাথে আমার আগের পোস্টের বাকি পর্ব নিয়ে। আমি আমার আগের পোস্টে আমাদের এনগেজমেন্টের দিন সকাল বেলার যে আশীর্বাদ পর্ব ছিল সেই নিয়েই আপনাদের সাথে আলোচনা করছিলাম। আজ তাহলে আশীর্বাদের বাকি পর্ব টুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।
আমাদের এই আশীর্বাদ পর্বও কিন্তু বেশ অনেকক্ষণ ধরে চলেছিল। যেহেতু সদস্য সংখ্যা বেশি ছিল তাই এক এক করে আশীর্বাদ করতে করতে বেশ অনেকটা বেলা হয়ে গিয়েছিল। আমাদের বাড়ির পক্ষ থেকে ছেলে আশীর্বাদ করার পর ওদের বাড়ির কিছু মানুষ আবার আমাকে আশীর্বাদ করেছিল তাই আমাকেও বসতে হয়েছিল, সে কথা তো আমি আমার আগে পোস্টেই জানিয়েছিলাম। অনেক অনেক নতুন নতুন মুখ দেখতে পেয়েছিলাম। সবার সাথে আলাপ পরিচয় পর্ব চলছিল আর সেই সাথে আশীর্বাদ পর্বও এগোচ্ছিল। আশীর্বাদ পর্ব শেষ হলে অনেকেই যেখানে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেখানে চলে গিয়েছিল। তাই সেই সময় হল ঘরটা অনেকটাই ফাঁকা ছিল। তাই আমার সব শাশুড়ি মা দের ডেকে নিয়ে তাদের সাথে আমি একটা ফটো তুলেছিলাম। আমার শাশুড়ি মা, কাকি শাশুড়ি, মামি শাশুড়ি, মাসি শাশুড়ি সকলেই ছিল।
এরপর আস্তে আস্তে দুপুর গড়াতে থাকলে আমার সকল বন্ধু-বান্ধবরা এসে হাজির হয়েছিল। যেহেতু আমি সেদিন সত্যিই খুব ব্যস্ত ছিলাম তাই হয়তো সকলকে সেভাবে সময় দিতে পারিনি। তবে ওরা সমস্ত সিচুয়েশনটা বুঝে নিজেরাই নিজেদের মতো করে মজা করেছিল। আমি যে সেদিন ওদের বেশি অ্যাটেন্ড করতে পারিনি সেই নিয়ে ওরা কিন্তু কোন অভিযোগ জানায়নি। যাই হোক ওদের সাথে ও খানিকটা গল্প করেছিলাম এবং সেই সাথে বেশ অনেক অনেক ফটো তুলে নিয়েছিলাম।
যেহেতু সেদিন আবার সন্ধ্যের বেলায় আমাদের এনগেজমেন্টের প্রোগ্রাম ছিল সেই জন্য আমি সব বান্ধবীদের খাবার জায়গায় গিয়ে খেয়ে আসতে বলেছিলাম কারণ ওদের অনেকটা সময় এখানেই কাটাতে হতো। তাছাড়া পরে ভিড় হয়ে এলে আবার কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে তাই ওদেরকে নীচে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। সেইমতো ওরা নিচে চলে গিয়েছিল। সেই সময় হলঘর প্রায়ই ফাঁকা ছিল। সেই সুযোগে আমার মামি শাশুড়ি স্টেজের উপর যে সোফা ছিল তার ওপরেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। আমরা সবাই সেই দেখে খুব হাসাহাসি করছিলাম। আমি সেই মুহূর্তের একটা ফটো তুলে রেখেছিলাম।
তারপর কিছু সময় বাদে আবার সবাই উপরে চলে এসেছিল। যেহেতু বিয়ের প্রারম্ভিক অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছিল তাই মায়ের মনটা একটু ভারাক্রান্ত হয়েছিল। আমার যে একেবারে হয়নি তা নয় তবে সন্ধ্যের এঙ্গেজমেন্ট এর জন্য যেহেতু আলাদাভাবে আর মেকআপ করার কোন প্ল্যান ছিল না তাই নিজেকে খুব কন্ট্রোল করতে হয়েছিল। সারাদিনের এই ব্যস্ততার মধ্যে মায়ের সাথে আলাদাভাবে তখনো পর্যন্ত ফটো তোলা হয়ে ওঠেনি। তাই মাকে ডেকে একটা ফটো তুলে নিয়েছিলাম।
আমার হবু বর ভাই বোনদের মধ্যে বড়ো ছেলে। তাই ওর ভাই বোনেরা আমার থেকেও ছোট। ওরা সবাই এসে আমার সাথে ফটো তুলবে বলছিল। তাই সকলকে এক ফ্রেমে রেখে ফটো তোলা হয়েছিল। এদের মধ্যে সবথেকে ছোটটি হল আমার কনিষ্ঠতম দেওর। খুব প্রাণোচ্ছল একটা বাচ্চা। আমাকে খুব পছন্দ করে। আমার ওকে বেশ ভালো লাগে।
এইভাবেই আমাদের আশীর্বাদ পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। এরপর শুরু হয়েছিল আমাদের সন্ধ্যের প্রোগ্রাম মানে আমাদের এনগেজমেন্টের প্রোগ্রাম। সেই গল্প না হয় আপনাদের সাথে পরবর্তী পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করব। আজ তাহলে এখানেই শেষ করলাম। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।