সর্ষে দিয়ে কচুর লতি
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। সকলের সুস্থতা কামনা করে আমি আমার আজকের ব্লগটি শুরু করছি। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। প্রতিদিন নতুন নতুন গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করে আমারও বেশ ভালো লাগে।
আজ আমি আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করবো। সেটি হলো সর্ষে বাটা দিয়ে কচুর লতি তৈরির রেসিপি। এই রেসিপিটি আমাদের বাড়িতে সকলেই খুব ভালোবাসে।আমার মা খুব ভালো রান্না করে। তবে এখন বৌদিই রান্না করে আর বৌদির হাতের রান্না খেতে আমার খুব ভালো লাগে। কচুর লতি দিয়ে আমাদের বাড়িতে বিভিন্ন রকমের রান্না হয়।
আমার মামার বাড়ি ও মাসির বাড়ি যেহেতু গ্রামে তাই ছোটবেলায় মামার বাড়ি কিংবা মাসির বাড়ি গেলে আমরা ভাইবোনেরা চাষের ক্ষেতে ঘুরতে যেতাম। যেখানে কচু চাষ হতো সেখানে এই কচুর লতি দেখা যেত। ছোটবেলায় মাঠে গেলে এই কচুর লতি তুলে আনতাম। যদিও তখন অত খেতে ভালোবাসতাম না তবে তুলতে বেশ মজাই লাগতো।
এখন আর সেভাবে মামার বাড়ি কিংবা মাসির বাড়ি যাওয়া হয় না। আর সব দিদিদের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এখন আর যেতে ভালোও লাগে না। খুব সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো।
চলুন তাহলে জেনে নিই আমি কিভাবে কচুর লতি বানিয়েছিলাম।
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | কচুর লতি | বেশ খানিকটা |
২ | নুন | পরিমাণ মতো |
৩ | হলুদ | পরিমাণ মত |
৪ | কাঁচা লঙ্কা | ১০টা |
৫ | সর্ষে | ৫০ গ্রাম |
৬ | জিরা | ১/২চামচ |
৭ | সর্ষের তেল | ৭৫ গ্রাম |
৮ | পেঁয়াজ | অর্ধেক |
৯ | জল | সামান্য |
ধাপ ১ :
প্রথমে কচুর লতিগুলোকে ভালো করে বেছে পরিষ্কার জলে ধুঁয়ে নিয়েছিলাম।
ধাপ ২ :
এরপর ওভেনে কড়াই চাপিয়ে, কড়াই গরম হয়ে এলে তাতে বেশি করে তেল দিয়ে, তেল গরম হয়ে এলে কিছুটা জিরে ফোড়ন দিয়ে দিয়েছিলাম।
ধাপ ৩ :
এরপর ধুয়ে রাখা কচু লতিগুলো তেলের উপর দিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর পরিমাণ মতো নুন দিয়ে নাড়াচাড়া করে কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে তাহলেই কিছুটা জল বেড়িয়ে আসবে।
ধাপ ৪ :
এরপর মিক্সচারে সর্ষে, কাঁচা লঙ্কা নিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিতে হবে। কেউ চাইলে শিলনোড়াতেও বেটে নিতে পারে।
ধাপ ৫:
অন্যদিকে কচুর লতি গুলো সিদ্ধ হয়ে এলে , মাঝে কিছুটা জায়গা ফাঁকা করে কিছু পেঁয়াজ কুচি ভেজে নেব।
ধাপ ৬:
পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে সর্ষে ও কাঁচা লঙ্কার পেস্ট এবং কিছুটা হলুদ দিয়ে দেবো।
ধাপ ৭:
এরপর কিছুক্ষণ বেশ ভালোভাবে নাড়িয়ে চাড়িয়ে রান্না করতে হবে। একটু সামান্য জল দিয়ে সর্ষে বাটার পেস্ট টা কচুর লতির সাথে মাখোমাখো ভাবে রান্না করে নিতে হবে।
ধাপ ৮:
এরপর ভালোভাবে রান্না করে নিলেই আমাদের কচুর লতি তৈরি ।
ফাইনাল লুক-----
তাহলে আজকে আমার ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। আপনারা সকলে ভালো থাকবেন আর অবশ্যই জানাবেন আমার এই রেসিপিটি আপনাদের কেমন লাগলো।
@pinki.chak তোমার খাবারের যে নামটা দিয়েছো সেটা দেখে একপ্রকার লোভ সামলাতে না পেরে লেখাটি পড়লাম!
প্রথমে,ছবির মধ্যে খুঁজছিলাম যদি একটা আধটা চিংড়ির দেখা মেলে!
তারপর ভাবলাম নাহ্! লেখাটাই পড়ে নিজের কৌতূহল দমন করে ফেলি।
একটু অন্যরকম মনে হলো কচুর লতি তৈরি পদ্ধতি, যেখানে কুচনো পেঁয়াজ পরে দেওয়া হয়েছে, অনেক সময় মনের ভুলেও এটা হয়ে থাকে, জানিনা সেটাই হয়েছে, নাকি এভাবেই তোমরা রান্না করে থাকো?
তবে, আমি পদটি খেতে ভালবাসি চিংড়ি সহযোগে। তবে, একার জন্য ওই লতি কাটার সময় আর ইচ্ছের অভাবে এসব রান্না করে ওঠা হয় না।
এখন সর্ষের কোনো পদ তৈরি করতে আমি সানরাইজ কোম্পানির গুড়ো সর্ষে ব্যবহার করি, যখন চাকরি করতাম, তখন আমি শীল পাটায় সর্ষে বেটে রান্না করতাম, কখনোই মিক্সিতে সর্ষের পেস্ট তৈরি করিনি কখনোই।
একার জন্য যেটুকু সর্ষে ব্যবহৃত হয়, ওইটুকু মিক্সিতে দিয়ে বেচারাকে অযথা খাটাতে চাই না!
আশাকরি, এভাবেও খেতে নিশ্চই খুবই সুস্বাদু হয়েছিল? তোমার উপস্থাপন বেশ প্রশংসনীয়।
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
পাড়ায় বিক্রি করতে আসা সবজিওয়ালার কাছ থেকে কচু লতি কেনা হয়েছিল। ভেবেছিলাম চিংড়ি মাছ এলে কিনবো । কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজকে চিংড়ি মাছ নিয়ে আসেনি। তাই মাছ ছাড়াই রান্না করা হয়েছে।
আর পেয়াঁজ টা আগে দিলে অনেকটাই ভাজা হয়ে যেত তাই পরে দিয়েছিলাম।
আর শিলা নোড়ার ব্যবহার এখন আমাদের বাড়িতে হয় না বললেই চলে। তাই যেকোনো মসলা করতে হলে আমরা একটু বেশি পরিমাণে করে রেখে দিই। অল্প সর্ষে যেহেতু মিক্সিতে বাটা যায় না তাই বৌদি একটু বেশি পরিমাণেই তৈরি করে রেখেছিল।
আর এটা একদম সত্যি আমরা এখন সময়ের অভাবে এই ধরনের রান্না করতে একেবারেই ইচ্ছুক নয়। তাই এই ধরনের কোন রান্না করতে হলে বৌদি আগের দিন রাতেই সব কেটে রাখে।
কচুর লতি কাটতে অনেক সময় লেগে যায় রান্না করার আগে কচুর লতি কাটার প্রচেষ্টাই অনেকটাই জটিল।। যাই হোক কচুর লতি রান্না করতে যতটা সময় লাগে তার চেয়ে কম সময় লাগে খেতে ।
কচুর লতি আমার কাছে অনেক পছন্দের একটি খাবার। সরিষা দিয়ে কচুর লতি রান্নার পদ্ধতি আপনি খুব ভালোভাবেই আমাদের কাছে উপস্থাপনা করছেন যে কেউ আপনার এই লেখা দেখে খুব সহজেই মুখরোচক এই রেসিপি তৈরি করতে পারবে।
দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সরিষা দিয়ে কচুর লতি রান্নার পদ্ধতি আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
ঠিকই বলেছো কচু লতি কাটতে অনেক সময় লাগে। আমার নিজেরও কচুর লতি কাটতে একদম ভালো লাগেনা। এত সময় লাগে বলেই বৌদি আগের দিন রাতে সব কেটে রেখেছিল।
আর এটাও ঠিক যে রান্না করতে যতটা সময় লাগে খাওয়ার সময় ঠিক ততটাই কম লাগে। আর খুব মুখরোচকও হয়।
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
কচুর লতি খেতে অনেক মজাদার এবং অনেক সুস্বাদু একটি খাবার। এ কোচের লতি মাঝে মাঝে আমার বাসায় আমার আম্মায় রান্না করে
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
Thank you so much.