বৌদিকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাওয়া
নমস্কার বন্ধুরা। সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই খুব ভালো আছেন। আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন একটি গল্প শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
অনেকদিন ধরেই ভাবলাম বৌদিকে নিয়ে একটু বেরোবো। মানে, কোন রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যাব। অনেকদিন ধরেই বৌদিকে বলছিলাম যে পরীক্ষা হয়ে গেল একসঙ্গে বেরবো। তবে পরীক্ষা হয়ে গেলেও পড়ানোর চাপে আর বৌদিকে নিয়ে বেরোনো হচ্ছিল না। আসলে পরীক্ষার সময় অনেক কামাই করেছিলাম, তাই এখন আর ছুটি নেওয়া সম্ভব নয়। তবে গতকাল রাতের পড়ানোটা ক্যান্সেল হয়ে যায়, তাই হঠাৎ করেই প্ল্যান করা হলো যে আমরা যাব রেস্টুরেন্টে যাব। বৌদিকে প্রস্তাব দেওয়ায়, বৌদি প্রথমে যেতে চায়ছিল না। তবে অনেকবার করে বলার পরে রাজি হয়। আজকে আমি আপনাদের সাথে গতকাল রাতের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব।
প্রথমে ভেবেছিলাম বর্তমানে আমাদের শহরের সবথেকে নামকরা রেস্টুরেন্ট 'Mother's Hut' এ যাবো। তবে ওটা আমাদের বাড়ির থেকে অনেকটাই দূরে। এদিকে রাতও হয়ে গিয়েছিল। যদি আমরা সেখানে যেতাম তাহলে অনেক রাত হয়ে যেত আর ফেরার সময় আমার ভাইপো ঘুমিয়ে পড়তো। তাই আমরা ঠিক করেছিলাম যে বাড়ির কাছে যে রেস্টুরেন্ট আছে সেখানেই যাব। তাই আমরা তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আমাদের বাড়ির থেকে সবচেয়ে কাছের যে রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে গিয়েছিলাম। এই রেস্টুরেন্টের সম্পর্কে আপনাদের সাথে আগেও অনেকবার শেয়ার করেছি। রেস্টুরেন্টের নাম 'হ্যাংলা'। এটিও বর্তমানে বেশ ভালোই পরিচিতি লাভ করেছে। কারণ এখানকার খাবারের কোয়ালিটি, পরিমাণ খুবই ভালো, সেই সাথে দামটাও ঠিকঠাক।
আমরা চারজন, মানে-- আমি, শুভায়ন, বৌদি আর ভাইপো রেস্টুরেন্টে গিয়ে নিজেদের পছন্দমত একটা জায়গা পেয়ে গিয়েছিলাম। তারপর চটজলদি আমরা খাবার অর্ডার করে দিয়েছিলাম। তারপর কিছুক্ষণ আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সেই সময় আমরা গল্প করছিলাম, কিছু ফটোও তুলেছিলাম। অন্যদিকে আমার ভাইপো তো অধৈর্য্য হয়ে পড়ছিল। খেতে বসে সামনে শুধু খালি প্লেট দেখে বারবার বলেই যাচ্ছিল, " ও পিন, খাবার কখন দেবে? আর কতক্ষন?" এটা তো স্বাভাবিক। একটা ছোট বাচ্চার সামনে প্লেট দিয়ে রাখলে, সে তো বলবেই।
এখানকার স্টার্টার এর মধ্যে আমার সবথেকে বেশি পছন্দ প্যান ফ্রায়েড চিকেন মোমো। আমরা প্রথমে সেটাই অর্ডার করেছিলাম। তবে আমার ভাইপো রেস্টুরেন্টে গেলে চিকেন ললিপপ ছাড়া আর কিচ্ছু খেতে চায় না। তাই পরে বাধ্য হয়ে, মোমোটা বাদ দিয়ে চিকেন ললিপপ অর্ডার করেছিলাম। এক প্লেটে ৬ টা চিকেন ললিপপ থাকে। দাম পড়েছিল, ১৬০ টাকা, মানে ১৪ স্টিম মতো। যদিও চিকেন ললিপপ গুলো আমার খুব বেশি পছন্দ হয়নি। কারণ প্রচন্ড ড্রাই ছিল।
স্টার্টার খাওয়ার পরেও যেহেতু আমাদের বাকি খাবারগুলো আসছিল না, তাই আমরা আবার প্যান ফ্রায়েড মোমো টা অর্ডার করেছিলাম। কারণ ওটা না খেলে যেন ভালো লাগছিল না। তবে সেই মুহূর্তেই আমাদের বাকি খাবার গুলো চলে এসেছিল। সেই জন্য উনি বলেছিলেন, মোমো আসতে তো একটু সময় লাগবে, ততক্ষণে তো আপনাদের বাকি খাবারগুলো ঠান্ডা হয়ে যাবে। তাই আমরা মোমো ক্যানসেল করে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, পরে যদি মনে হয় অর্ডার দেবো। মেইন কোর্সে বৌদির পছন্দের খাবারই নেওয়া হয়েছিল। ২ টো গার্লিক বাটার নান নিয়েছিলাম। দাম ছিল একটা ৪৫ টাকা, মানে ৪ স্টিম মতো।২ টোর দাম ৮ স্টিম। একটার তিনটে পিস থাকে।
আর নিয়েছিলাম একটা বাটার তান্দুরি রুটি। দাম ছিল ২৫ টাকা। মানে ২ স্টিমের একটু বেশি। আর নিয়েছিলাম চিকেন ভর্তা। এর দাম ছিল ২৫০ টাকা। মানে ২৩ স্টিমের কাছাকাছি। এই খাবারগুলো বৌদির খুব পছন্দের। সাথে আমারও খুব ভালো লাগে। চিকেন ভর্তা টা আমরা আগেও খেয়েছিলাম, দারুন বানায়।
এরপরে ঘটেছিল একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা। যেটা আমি আপনাদের সাথে পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করব। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Curated by: pandora2010