জীবনে না বলতে শিখুন
জীবনে ভালো মানুষ হওয়াটা খুব কঠিন । কারণ ভালো মানুষ হলে সেই ভালো মানুষের সুযোগ সবাই নেয়। আর একটা সময় দেখা যায় সেই ভালো মানুষির জন্যই হয়তো সে অনেক সময় অন্যকেউ কষ্ট দেয় এবং নিজেও কষ্ট পায়।
তাই যত ভাল মানুষই হোক না কেন মানুষের উচিত বিচার বিবেচনা করে জীবনে এগোনো। বিচার বিবেচনা না থাকলে সে সর্বদা সবার কাছে অপদস্ত হবে এবং অনেক সময় ঠকতেও পারে।
আরেকটি বড় বিষয় হল সবকিছুতে সম্মতি জানানো উচিত নয়। যেখানে নিজের সম্মতি নেই সেখানে "না" শব্দটি বলতে শিখতে হয়। আর এই শব্দটি বলতে না পারলে সর্বদাই কষ্ট পেতে হয়।
জামশেদপুর রামকৃষ্ণ মিশনের এমনই একজন সন্ন্যাসী ছিলেন যিনি অতিশয় নিরীহ মানুষ ছিলেন। এবং তার সেই ভালো মানুষের সুযোগ নিয়ে মিশনের হোস্টেলের ছেলেরা নিজেদের সময়ের কাজ সময়ে করত না। মিশনের হোস্টেলে থাকা প্রত্যেকটি ছেলেকে ভোর চারটের সময় উঠে মঙ্গল আরতিতে যেতে হয় এবং মঙ্গল আরতির পর তারা যে যার ঘরে এসে নিজেদের বিছানা গুছিয়ে ঘর পরিষ্কার করার পর পড়তে বসতে হয়। কিন্তু হোস্টেলের ছেলেরা এতটাই দুষ্টু ছিল যে তারা নিজেদের কাজ নিজেরা করত না। একদিন মহারাজ তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিজেই সেই কাজ করতে শুরু করেছিলেন কিন্তু ছেলেদের তাতেও কোন ভ্রুক্ষেপ হয়নি। তাই দেখে মহারাজ বুঝতে পেরেছিলেন যে এদের সঙ্গে কোনোভাবেই সহানুভূতিশীল হওয়া যাবে না। নিয়ম অনুসারে যার যে কাজ তাকে তা করতেই হবে, না হলে তার জন্য শাস্তি পেতে হবে,এই তিনি ঠিক করলেন। এবং দুদিনে দেখা গেল যে, সব ছেলেরাই তাদের নিজেদের কাজ সঠিক সঠিকভাবে করে ফেলছে।
আজও সেই ছেলেরা মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে নিজেদের সেই কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হয় এবং মহারাজের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য তার কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে।
আমাদের ব্যক্তিগত জীবনেও এরকম ঘটনা হয়ে থাকে যে আমরা নিজেদের সরলতার জন্য নিজেদের ক্ষতি ডেকে নিয়ে আসি। আমার নিজের ব্যক্তিগত জীবনে এমনটাই হয়েছে।সকলের সাথে সহজ সরল ভাবে কথা বলি বলে অনেকে অনেক রকম ভাবনা করে ফেলে। এবং পরবর্তী সময়ে সেই ভাবনার ফলস্বরূপ ভোগান্তি টা আমাকেই ভুগতে হয়।মানসিক ভাবে পিছিয়ে পড়তে হয়। কারোর মনের ভাবনার সাথে আমাদের কিছু করার নেই। কারণ ব্যক্তি বিশেষ যার যার ভাবনা তার তার কাছে ।
সামনে একজন কি ভাবলো সেই ভাবনাকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে নিজে যেটি সঠিক মনে করবে সেটি করা উচিত। সামনের জনের মন রাখার জন্য কোনভাবে তার কথায় নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়া উচিত নয়। নিজের মনকেও জিজ্ঞাসা করে নিতে হয় সে সামনের জনের কথায় সহমত কিনা। যদি তা না হয় তবে অবশ্যই তখনই সেই কথার উত্তর হিসাবে"না" শব্দটি ব্যবহার করতে হবে। যাতে করে সামনের জন সতর্ক হয়ে যায় এবং নিজের বিচার বিবেচনাকে কাজে লাগাতে পারে।
না শব্দটি খুব ছোট্ট হলেও এর ক্ষমতা অনেক বেশি। যার জন্য অনেক বড় বড় সমস্যা থেকে আমরা রক্ষা পেতে
পারি। তাই সবসময় আবেগের সাথে কোন কাজ করা উচিত নয়। আবেগ মানুষকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেক সময় বাধা দেয়। আর এই আবেগের জন্যই মানুষের জীবনে এমন বড় বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে যায় যার ফল তাকে সারা জীবন বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়।
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করার পর অনেক কিছু বুঝতে পারলাম আসলে আমরা আমাদের জীবনের না বলতে পারি না আমরা প্রতিটা সময় চেষ্টা করি সবার সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য আমার কাছে মনে হয় কি মানিয়ে নেয়া আর মেনে নেয়ার মধ্যে কিছুটা হলেও ভালোবাসা আছে তবে না বলাটা সহজ এর শক্তি অনেক কঠিন অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টা আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।