Source

###Hello,
Everyone,

সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আশাকরি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতে দেশের কর্ণধার হবে । তারা এই দেশটিকে নিজের হাতে গড়ে তুলবে এবং রক্ষা করবে। যেহেতু ভবিষ্যতে তারাই দেশে নেতৃত্ব দেবে। সেহেতু তাদেরকে সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ আমাদেরই দিতে হবে । এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন ‌করার জন্য শ্রদ্ধেয়া এডমিন ম্যামকে (@sduttaskitchen ) অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার অংশগ্রহণ পোস্ট লেখার পূর্বে স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের বন্ধুদের@mayberling ,@ arroise & @yenny47 কেআমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আশাকরি এখানে অংশগ্রহণ করে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।

Source

শিশু শ্রম শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয় তা সকল দেশের প্রধান সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি । আমরা সকলেই জানি যে,বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলির প্রতি পাঁচ জন শিশুর মধ্যে একজন শিশু ঝুঁকি পূর্ণ শ্রমের সাথে যুক্ত আছে । শিশুশ্রমের অনেক কারন রয়েছে।মূল কারণ গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলঃ

শিশুশ্রমের প্রধান কারণ গুলোর প্রথমে দায়ী করা হয় নিরক্ষরতাকে । মা-বাবার শিক্ষার অভাব থাকায় তার সন্তানদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ না দেখিয়ে কাজ করে টাকা উপার্জনের প্রতি উৎসাহ দিয়ে থাকেন। অনেক বাবা-মায়ের ধারণা মেয়েদের বেশি শিক্ষিত হওয়ার দরকার নেই, সংসারের কাজ শিখুক তবে বিবাহিত জীবন সুখের হবে।

দারিদ্রতাকে বলা যায় দ্বিতীয় কারণ। অনেক দরিদ্র পরিবারে দেখা যায়, বাবা হলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। হঠাৎ তার মৃত্যুতে পরিবারটি আর্থিক ভাবে ভেঙ্গে পরে । দুবেলা খাবার এবং পরিবারের দারিদ্রতা দূর করার জন্য তখন সেই পরিবারের শিশুরা পড়াশুনা ছেড়ে ঝুঁকি পূর্ণ শিশুশ্রমের সাথে যুক্ত হয়ে পরে।

তৃতীয় কারণে হিসেবে বলতে পারি বিভিন্ন দূযোগের কারনে এবং ছিন্নমূল শিশুরা শিশুশ্রমের সাথে জড়িয়ে পড়ে।অনেক সময় দেখা যায় একদম নিম্ন শ্রেণীর দরিদ্র পরিবারের পুরুষেরা স্ত্রী ও বাচ্চা কে রেখে অন্যত্র চলে যায় এবং সেখানে গিয়ে আবার বিয়ে করে নতুন সংসার করে ্সেই ক্ষেত্রে, সেই দরিদ্র নারী তার সন্তানকে ঠিকমতো খাবার দিতে পারছে না ।সেখানে পড়াশোনার খরচ দিবে কি ভাবে তাইতো বাধ্য হয়ে তাকে কাজে দিতে হয়। দুমুঠো খাবার জোগাতে।

Source

অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন রেখেছেন দিদি। কোমলমতি শিশুদের হাতে কলকারখানার ভারি ভারি যন্ত্রপাতি না দিয়ে তাদেরকে পাঠ্যবই ও খাতা-কলম দেওয়া উচিত।এটা শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয় এটা আমাদের ধনী এবং সচেতন ব্যক্তিদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। শিশুশ্রম অনেক সময় শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়ে যায় ।

এমন একটি ছোট ঘটনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।
আমরা যখন RAB-6 খুলনাতে পোস্টিং ছিলাম তখন এমন এক শিশুশ্রমিকের মৃত্যু ঘটনা শুনেছি। শিশুটির বাবা তার মাকে ছেড়ে আবার নতুন সংসার শুরু করে ।দরিদ্র মা সে অন্যের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে । তিনি অসুস্থ ছিল তাই বেশি একটা কাজ করতে পারত না । বাধ্য হয়ে দশ বছরের ছেলেকে একটি গ্যারেজে কাজে দিয়েছিল কিন্তু গ্যারেজে মালিক ততটা ভালো ছিল না ।

তিনি কথায় কথায় বাচ্চাদের গায়ে হাত তুলতেন, ঠিকমতো বেতন দিতেন না ,এমনকি খাবার দিতেন না।ছেলেটি ওখান থেকে অন্য একটি গ্যারেজে কাজ নিয়েছিল। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার আগের মালিক তাকে বেতন দিবে বলে ডেকে নিয়ে অনেক মারধর করে এবং তার পায়ুপথে গ্যাস দিয়েছিল। যার ফলে ছেলেটির পেট ফুলে মৃত্যু হয় ।

এমন ঘটনা আমরা প্রায় শুনতে পাই। অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা পদ্ধতি চালু করেছেন। আমি তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই এবং তারা বাচ্চাদের পড়াশোনার পাশাপাশি হাতে কলমে কারিগরি শিক্ষা দিচ্ছে থাকেন। এখন যদি শশিুদের হাতে পাঠ্য বই থাকে তবেই তো তারা ভবিষ্যতে সঠিক কারিগর হতে পারবে এবং শিশুশ্রমিকের মৃত্যুর আরো কমে যাবে ।

Source

সরকার , সচেতন সমাজ এবং আমাদেরকে একত্রে এগিয়ে আসতে হবে । যার যতটুকু সমর্থ্য আছে ততটুকু দিয়েই আমাদের ভবিষ্যৎ কারিগরদের তৈরি করার সুযোগ আমাদেরকে দিতে হবে। শিশু শ্রম বন্ধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রতিবেদন চালাতে হবে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে কুসংস্কার বন্ধ বন্ধ করতে হবে, বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে এবং বাসা বাড়িতে ছোটদের কাজে না নিতে গৃহকর্তাকে উৎসাহিত করতে হবে । শিশু শ্রমিকদের পড়াশোনার জন্য সুব্যবস্থা করে দিতে হবে। বাবা-মাকেও শিক্ষার সুযোগ করে দিতে হবে। বাল্যশিক্ষা এবং বয়স্ক শিক্ষা দুটোই চালু করতে হয়। তবে শিশুশ্রম কিছুটা হলেও বন্ধ করা যাবে ।

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি সকলে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন ।