Incredible India monthly contest of March1 by @tanay123 | Family.
![]() |
---|
Source |
Hello,
Everyone,
আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। ব্যক্তিগত কাজে কিছুটা ব্যস্ত থাকার জন্য সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারছিনা এবং এই প্লাটফর্মে নির্মিত কাজও করতে পারছি না । আমাদের কমিউনিটির মডারেটর দাদা @tanay123 আকর্ষণীয় বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। শেষ মুহূর্তে এসে আমার অংশগ্রহণ পোস্ট লিখতে বসে পড়লাম ল্যাপটপ নিয়ে এবং সাধ্যমত চেষ্টা করব প্রতিযোগিতার সকল প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে।
প্রতিযোগিতায় নিয়ম অনুসারে আমার প্রিয় প্ল্যাটফর্মের বন্ধুদের @rafk ,@ sabus & @pathanapsanaকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি ।আশা করি তারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তাদের মনোভাব আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
✅What is your perspective on the word Family? Is it just a word or is it more than that? |
---|
![]() |
---|
Source |
আমরা সকলেই জানি শশুর-শাশুড়ি, স্বামী-স্ত্রীর, ভাই-বোন, সন্তান-সন্ততি নিয়ে পরিবার গঠিত হয় ।পরিবার এমন একটি আশ্রয়স্থল যেখানে আপনি আপনার সুখ-দুঃখ পরিবারের সদস্যের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন এবং কঠিন বিপদেও আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবে। পরিবারের সকল সদস্যের সুখই আপনাকে সুখী করতে পারে ।তবে পরিবারের বর্তমান সংজ্ঞা অনেক পরিবর্তন হয়েছে ।অতীতে যেমন আমরা যৌথ পরিবার বেশি দেখতাম, বর্তমান সময়ে পরিবেশ ও উপরিস্থিতিতে সেই যৌথ পরিবার ভেঙে একক পরিবারে পরিণত হয়েছে ।
পরিবার যার ইংরেজি শব্দ Family , মাত্র ছয়টি লেটার নিয়ে একটি ওয়ার্ড ,যার অর্থ পরিবার। এই ছয়টি লেটারের ভিতরে হাজার গল্প-কাহিনী রয়েছে । অতীতের পরিবারগুলো অনেক মজবুত ছিল। সেই পরিবারে যেমন লোকসংখ্যা বেশি ছিল তেমনি তাদের মন মানসিকতা অনেক সরল ছিল।
আমি শুনেছি আমার বাবা, কাকা, জেঠু , দাদু-ঠাম্মা ,মা ,ভাই-বোন এবং সাহায্যকারী লোক নিয়ে আমাদের বাড়িতে মোট ৩৭ জন সদস্য ছিল । ঘরের কর্তী ছিল আমার ঠাম্মা এবং দাদু ছিল তার ব্যবসায় কর্তা ।তাদের সিদ্ধান্তই সকলে মাথা পেতে নিত ।
বাড়িতে এবং ব্যবসায় কাজে সাহায্য করা লোকজন ঠাম্মা ও দাদুকে তাদের বাবা-মায়ের মতে শ্রদ্ধা করতেন । তারাও ছিলেন আমাদের পরিবারের সদস্য ।সেই যৌথ পরিবার সময়ের সাথে সাথে ভেঙে ছোট ছোট পরিবারে পরিণত হয়েছে।
আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবারের সংজ্ঞা পাল্টে যাচ্ছে। এখন তো স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে পরিবার দেখা যায় বেশি । শুধু রক্তের সম্পর্ক থাকলে যে তার সাথে পরিবারের সম্পর্ক থাকবে তা নয়। । যাদের সাথে আমাদের রক্তের সম্পর্ক নেই কিন্তু আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয় তারাও আমাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে ওঠেন ।
✅ How can one fulfill one's responsibilities towards one's family? |
---|
![]() |
---|
বাবা-মা একটু একটু করে সন্তানকে বড় করা এবং এই সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা বাবা-মায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য তেমনি সন্তান ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে পরিবারের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পালন করবে এটাইতো স্বাভাবিক।
পরিবারের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করা তা কাউকে শিখিয়ে দেওয়ার মত বিষয় না এটা নিজের থেকেই উপলব্ধি করতে হয় । সে তার পরিবারের প্রতি কতটা দায়িত্ব পালন করবে সম্পূর্ণটা নির্ভর করে তার ব্যক্তিগত বিষয় ।আমার বাবা সবার ছোট হলেও তার বোনদের খুবই ভালোবাসতেন ।এমনকি সকল পিশামশাই বাবাকে খুব ভালোবাসতো । পিসির কোন মেয়ে কিংবা ছেলের বিয়ে হোক কিংবা চাকরির ক্ষেত্রে হোক বাবার সাথে পরামর্শ করত এবং বাবাও তাদের সব সময় সমর্থন করতেন। ভাই বোনের এই যে গভীর একটি সম্পর্ক তা বর্তমানে সময় দেখা যায় না।
আমার শ্বশুর মশাই অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন । তার বোন যখন খুব অল্প বয়সে স্বামী হারা হন, আট বছর এবং ৫ বছরের দুটি ছেলে সন্তান নিয়ে একা হয়ে যায় তখন শ্বশুর মশাই তার বোনকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এবং বোনের সন্তানকে তার নিজের সন্তানের মতই পড়াশোনাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা দিয়েই বড় করেছেন।
তাদের শিক্ষিত করেন, এমনকি যে পরিমানে সম্পত্তি তার ছেলেদের দিয়েছেন সমপরিমাণ সম্পত্তি বোনের ছেলেদের দিয়েছিলেন। আমার শাশুড়ি মা তার ননদকে শাশুড়ির মতো ভালবাসতেন এবং শ্রদ্ধা করতেন ।কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা গেছে যে ,শিক্ষিত বড় বড় ডিগ্রীধারী ভাইয়েরা বোনের ফোন পেলে চমকে ওঠে ”যে এই বুঝি টাকা চেয়ে বসলো ” ।
এটা সবার ক্ষেত্রে নয় তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিন্তু এরকম দেখা যায়। একটি মেয়ের বিয়ে হওয়ার পরে বাবার বাড়ি আসলে সে অতিথিরমত পাঁচ দিন থাকতে পারে কিন্তু তার বেশিদিন থাকলে সেই ভাইয়ের বোঝা হয়ে যায় ,এটাই বাস্তব! আবার অনেক খেতে তার উল্টোটা হয়।
ভাই তার সর্বস্ব দিয়ে তার বোনকে সুখে রাখার চেষ্টা করে। বর্তমান সময়ে এসে আমরা যা বেশি দেখতে পাই ,ছেলে মেয়ে বেশি শিক্ষিত হলে বাবা-মায়ের শেষ আশ্রয়স্থল হয় বৃদ্ধাশ্রম। হ্যাঁ তারা বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করছে, বৃদ্ধাশ্রমের মাসিক বেতন দিচ্ছে , হয়তো মাষে বা বছরে একবার-দুবার বাবার সাথে দেখা করতে আসেন।
অনেকে আবার একা থাকতে বেশি ভালোবাসেন। বাবা-মা, ভাই-বোন থেকে সে নিজে একা রাখতে বেশি ভালোবাসেন। অনেকের বক্তব্য তো এমন হয় যে, আমি কষ্ট করে টাকা উপার্জন করি তা ওদের কেন দিব ,আমার অর্জিত টাকা উপভোগ শুধু আমিই করব।
✅• Share stories some of the beautiful moments spent with them! |
---|
![]() |
---|
Whatsapp থেকে নেয়া ছবি |
অনেক সময় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাবা-মায়ের সাথে গ্রামে থাকা হয় না ।কারণ সন্তানের পড়াশুনা এবং কর্মসংস্থানের জন্য শহরমূখী হতেই হয় ।বাবা-মা গ্রাম বাংলাকে ভালোবাসে তাই গ্রামের পরিবেশ ছেড়ে শহরে বেশিদিন থাকতে চান না।বাবা-মায়ের অনেক আশা থাকে তার সকল সন্তান কবে একত্রে গ্রামের বাড়ি আসবে।
সন্তান চেষ্টা করে ছুটি কিংবা কোনো উৎসবে পরিবারের সবাই নিয়ে একত্রিত হওয়া । ঈদ বলুন কিংবা পূজা বলুন বিভিন্ন উৎসবে সবাই চেষ্টা করে পরিবারের সাথে সুন্দর কয়টা দিন কাটানো ।আমরাও চেষ্টা করি বিভিন্ন ছুটিতে কিংবা কোনো উৎসবে আমাদের পরিবারের সাথে একত্রিত হতে। এইতো সেদিন শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলাম ছোট দেবরের মেয়ের বিয়েতে।এই বিয়েতে অনেক আপনজনদের সাথে দেখা হয়েছিল। তাদের সাথে কিছুটা সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম ।সেই স্মৃতিটুকু আমাদের সঙ্গী হয়ে থাকবে ।
প্রতিযোগিতার বিষয়টি অনেক সুন্দর ছিল ।প্রতিটি প্রশ্ন অনেক আকর্ষণীয় ছিল ।আমি চেষ্টা করেছি আমার সাধ্যমত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে। যদি এই পোস্টটি পড়ে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।আমি কাউকে ইঙ্গিত করে কিছু বলছি না তবে আমাদের সকলের উচিত আমাদের পরিবারকে ভালোবাসা এবং পরিবারের জন্য একটু সময় দেওয়া। পরিবারের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়া। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি ।শুভরাত্রি।
https://x.com/muktaseo/status/1903153820940763511