Better Life with Steem|| The Diary Game||29th-04-2025||

in Incredible Indialast month (edited)
1000011965.jpg

Hello,

Everyone,

আজ মনটা খুবই খারাপ লাগছে । কোন কাজও করতে ভালো লাগছে না ।ল্যাপটপ নিয়ে অনেক সময় বসে আছি ।কি লিখবো ?কি লিখবো ? ভেবে পাচ্ছি না। প্রায় এক মাসের মত হল মাকে নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। মায়ের চোখ অপারেশন হলো , মা সুস্থ হলেন এবং মা এবার বাড়িতে চলে যাবেন ।

শত ব্যস্ততার মাঝেও মাকে কাছে পেয়ে দিনগুলো যেন ভালই কাটছিল। সুখের সময় গুলো আমাদের বেশিদিন থাকে না, খুব দ্রুত চলে যায়। কিভাবে যে এই মাস পেরিয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না । মনে হচ্ছে মা এইতো সেদিনই আসলো । মা আজকে আমাদের গ্রামের বাড়িতে যাইনি, ছোট বোনের বাসায় গিয়েছে।

1000011905.jpg

ছোট বোন তার শ্বশুর বাড়িতে ছিল বিধায় মা ওর বাসাতে যেতে পারিনি ।আজ ছোটদা মাকে নিযতে আসছে। ছোট বোন রবিবার ঢাকাতে আসেছে ।মা বাসায় কিছুদিন ওর বাসাতে থাকবে। দাদা ছুটি পেলে এসে মাকে নিয়ে যাবে ।আর্মি বাবু ব্যস্ত ছিলেন তাই তিনি মাকে দিয়ে আসতে পারছিলেন না ।

ছোটদা সকাল ৭টায় এসে মাকে নিয়ে যাবে। মাকে বাসায় রেখে তারপরে তিনি অফিসে যাবেন এই কথাগুলো রাত্রি হয়েছিল। মাও তার প্রয়োজনীয় সবকিছু গুছিয়ে রেখেছিলেন। আপনারা সকলেই জানেন, বাবা-মায়ের বয়স বেশি হয়ে গেলে তারা সাধারণত বাচ্চাদের মতো আচরণ করেন তাইতো গতকাল রাতে মায়ের তেমন ঘুম হয়নি । রাত ৩:৩০ মিনিটে একবার উঠলেন , আমি বললাম রাত ৩:৩০বাজে ঘুমাও ,সকাল হলে আমি ডেকে দিব।

1000011880.jpg1000011877.webp

কিছু পরে আবার উঠে বলে ” দেখ বাজে কয়ট “ ? মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি রাত ৪:২৮ বাজে ।তিন চারবার মা এভাবে ডাকলো । বার বার ডাকার পরে কি আর ঘুম আসে তাই সকাল ৫ঃ৩০ মিনিটে উঠে পড়লাম ।উঠে ফ্রেশ হয়ে রান্না ঘরে চলে গেলাম ওদের জন্য নাস্তা তৈরি করতে।

ছোটদার অফিসের তারা ছিল বিধায় অল্প কিছু খেয়ে মাকে নিয়ে বেরিয়ে পরলেন। মা রড় মেয়ের বাসা থেকে ছোট মেয়ের বাসায় যাচ্ছে । আমি তো একা হয়ে গেলাম । কিছুদিন মায়ের সাথে থেকেছি, মায়ের সাথে ঘুমিয়েছি এ অন্যরকম শান্তি ছিল ।এত বড় হওয়া সত্ত্বেও মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে থাকার শান্তি অন্যরকম। আজ থেকে আবার মাকে ছাড়া একা হয়ে গেলাম।

মাকে এগিয়ে দিয়ে এসে কিছু ভালো লাগছিল না, কোন কাজে মন বসছিলনা। কি করা! অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাজ করতে হবে কারণ একার সংসার আমাকেই তো সবকিছুই করতে হবে ।মেয়েকে নিয়ে আবার কোচিংয়ে যেতে হবে। আর্মি বাবু দুপুরে বাসায় খেতে আসবেন তাই কাজগুলো করে নিলাম। খাবারগুলো টেবিলে সাজিয়ে রাখলাম। আমরা দুপুর ২:৩০ মিনিটে কোচিং এর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরি।

তখনও আর্মি বাবু বাসায় আসেনি । সে বাসায় এসে খেয়ে নেবে, আমি সেভাবে সব কিছু সাজিয়ে রেখে গিয়েছিলাম । বাহিরে বের হলে মনের ভিতর একটা অজানা আতঙ্ক কাজ করে।ক্যান্টনমেন্ট এরিয়াতে নিরাপত্তার জন্য সব সময় কঠিন থাকে। কিন্তু বর্তমান সময় নিরাপত্তাকর্মী আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন ।ক্যান্টনমেন্ট এরিয়াতে শান্তিতে চলাচল করা যায় কিন্তু যখনই আমরা ক্যান্টনমেন্ট এর গেট থেকে বেরিয়ে আসি তখন একটু হলেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়।

1000011906.jpg

তবুও আমাদের বাহিরে বের হতেই হবে ,যেহেতু আমাদের প্রতিনিয়ত কাজ থাকে। যতটা সম্ভব নিজেদেরকে সতর্ক থেকে চলতে হবে। মোহাম্মদপুর থেকে একটা ভাবি এসেছিলেন ,তিনিও তার এলাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের আবাসিক এলাকার পরিস্থিতি ভালো নয়। সেখানে দিনের বেলায় চুরি হচ্ছে । দিনের বেলা বাসা ফাকা রেখে কোথাও গেলে সেই সময় চোর তালা কেটে সব কিছু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে ।

1000011837.jpg1000011821.jpg
গতকাল রাতে মায়ের গোপাল শোনার জন্য পোশাক বানিয়ে দিলাম

কিছু কিছু বিল্ডিংএ নিরাপত্তা কর্মী থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ফ্ল্যাটে চুরি হচ্ছে । বিশেষ করে, স্বামী স্ত্রী উভয়ে যদি অফিসে যান এবং বাচ্চারা যদি স্কুলে চলে যায় ,সে অল্প কিছু সময়ের ভিতরে বাসা চুরি হয়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনা ওদের এলাকায় প্রায় ঘটে থাকে। এই দিক থেকে ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ার পরিবারগুলো অনেকটাই নিরাপদ ।

কোচিং শেষ করে আসতে আমাদের সন্ধ্যা সাতটা বেজে গেল ।বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে সন্ধ্যা কালীন প্রার্থনা করে নিলাম ,প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছিল তাই এক কাপ চিনি ছাড়া বানিয়ে নিলাম। চায়ের পেয়ালাতে চুমুক দিয়ে নিজেকে আবার সতেজ করার চেষ্টা করি ।এভাবে কেটে গেল আমার আরেকটি দিন।সকলে ভাল থাকুন ,সুস্থ থাকুন সেই কামনা রেখে আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি ।


◦•●◉✿ শুভ রাত্রি✿◉●•◦

Sort:  
 last month 

আপনার মা চোখ অপারেশন করে আপনাদের বাড়িতে বেশ কিছুদিন আপনার সাথেই ছিল। আসলে মা জিনিসটা এমনই তাকে ছেড়ে থাকা কতটা কষ্ট আমরা মেয়েরাই শুধুমাত্র বুঝি। আমার মা কিছুদিন আগে অপারেশন করে আমার মামার বাড়িতে বেশ কিছুদিন ছিল কিন্তু চলে যাওয়ার দিন এগিয়ে আসলে সব মেয়েদেরই মন একদমই খারাপ হয়ে যায়। কিংবা একদিনের জন্য বেড়াতে আসলেও মনে হয় এইতো আসলো আবার এক্ষুনি চলে যাবে এটাই আমাদের জীবনে চলে আসছে। মায়েদের সাথে সময় কাটাতে সব সন্তানদের ভালো লাগে। তবুও মাকে যে ফিরতে হয় তার নিজের গন্তব্যস্থলে। মায়ের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Loading...