Better Life with Steem|| The Diary Game||27-03-25|| আমার প্রিন্সেস মামনীর শুভ জন্মদিন ||
![]() |
---|
Hello ,
Everyone,
সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আমার পাওয়া সেরা উপহারের দিন ছিল ২৭ মার্চ।মনে হচ্ছে এই তো সেদিন ১৮ বছরের একটি মেয়ে প্রথম মা হতে যাচ্ছে। তার প্রতিটি মুহূর্ত যেন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা যুক্ত হচ্ছে ।শরীর পরিবর্তন হচ্ছে, হরমোন জনিত সমস্যা দেখা যায়, এরকম আরো অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। মেয়ে থেকে মা হয়ে যাওয়া সত্যি এটা সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ উপহার ।সবাই চাইলে এই উপহার পেতে পারেনা।
আজ সেই ২৭ শে মার্চ , ২৭ তারিখ বিকেল পাঁচটায় সি এম এস গেলাম ।রাত ৯টায় ওটিতে হাটতে হাটতে গেলাম আর ওটি থেকে সুন্দর ফুটফুটে একটি মেয়ে শিশু উপহার দিলেন । এই কথাগুলো বলা যতটা সহজ কিন্তু সময়গুলো পার করা অনেক কঠিন ছিল , প্রতিটা মেয়ের জীবনে । মা হওয়া সেই কষ্টো মেয়ের হাসি মাখা মুখটি দেখে সব ভুলে যাই।
যাইহোক আজ ২৭ শে মার্চ আজ আমার মামনির শুভ জন্মদিন । এই বিশেষ দিনটি আমরা ঘরোয়া পরিসরে উদযাপন করার চেষ্টা করি । আমি শারীরিকভাবে ততটা সুস্থ নই। বাড়ি থেকে ঢাকা আসার পর থেকেই সপ্তাহে তিনদিন সুস্থ থাকলে চার দিন অসুস্থ থাকি। কি আর করা, সব কিছু নিয়েই তো চলতে হবে ।মেয়েদের অসুস্থ হলে চলবে না ।কথায় আছে যখন স্ত্রী অসুস্থ হয়ে কিছুদিন থাকে তখনই বোঝা যায় স্বামীর ভালোবাসাটা কতটুকু
প্রতিটা স্বামী চেয়ে থাকেন তার স্ত্রী সুস্থ থাকুক এবং ফিট থাকুক ।ভাই ,স্ত্রী সে তো রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ তাই সে অসুস্থ হতেই পারে। ছোট বোনকে গত রাত্রে ফোন দিয়ে আসতে বললাম। ছোট দুলাভাই অফিসে যাবার পথে ওদেরকে আমাদের বাসায় রেখে যায় ।সকাল সকাল বোনকে দেখে অনেকটা স্বস্তি ফিরে পেলাম। ওদেরকে সকালের নাস্তা দিলাম ।ছোট ভাইকে পেয়ে বোন মহা খুশি । ।আর্মি বাবু ব্যাগ ভরতি বাজার করে নিয়ে আসলে ।
![]() |
---|
রাতের খাবারের মেনুতে রেখেছিলাম চিংড়ি মালাইকারি, কালীবোষ মাছের, চিকেন রোস্ট, চিকেন কাবাব , বেগুনি, ফ্রাইড রাইস, মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডালের মুড়িঘন্টো ও পায়েস। সবকিছু কেটে পরিষ্কার গুছিয়ে নিতে দুপুর ১২টা বেজে গেল।বোন দুপুরের জন্য রান্না করলো।
আমি স্নান করে পায়েস রান্না করে ঠাকুরের কাছে ভোগ নিবেদন করলাম। দুপুরবেলা শুধু মাছ -ভাত রান্না করা হয়েছিল ।দুপুরের খাবার খেয়ে রান্না বসিয়ে দিলাম রাতের জন্য ।আমি সবকিছু রান্না করছি এবং বোন আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল। চিকেন কাবাব বোন বানিয়ে ছিল । প্রথমে মাছগুলো ভেজে নিলাম এবং অন্য একটি চুলায় মুগ ডাল ভেজে সেদ্ধ করতে দিলাম।
আমরা বিশেষভাবে খাবারের একটি ডালা সাজাবো । অনলাইনে প্রায় দেখে থাকি , বাসায় রান্না করার ঝামেলা থাকে না ,৪ জন থেকে ২০ জনের হোক খুব সুন্দর খাবারের ডালায় কিনতে পাওয়া যায়। সেখানে পোলাও রোষ্ট ,মাটন কষা আপনি যা যা অর্ডার করবেন তাই পেয়ে যাবেন। আমিও ভেবেছিলাম তেমন একটা ডালা অডার করবো্ ।
![]() |
---|
যেহেতু আমি রান্না করতে ভালোবাসি তাই এগুলো আমি নিজের হাতে রান্না করব। মামনী তার মায়ে হাতে রান্না বেশি পছন্দ করে ।তার আবদার ছিল তাকে আস্তা চিকেন রোস্ট রেধে দিতে হবে ।সুন্দর করে ডালা সাজাতে হবে তাই আমরা সেরকমই সবকিছু আয়োজন করছি ।অসুস্থ থাকার জন্য রান্না করছি আবার বসে রেস্ট নিচ্ছি। সমস্ত রান্না শেষ করতে আমাদের সন্ধ্যা সাতটা বেজে গেলো।
মামনীর বান্ধবীরা সন্ধ্যা ছয়টায় চলে আসে। আমার ছোট বোন কেক কাটার কর্নারটি সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিল ।এরই মাঝে আমার অতিথিরা চলে আসলো। সমস্ত কিছু রান্না করে আমরা ডালা সাজিয়ে দিলাম । মামনি পিংক কালার ড্রেস পরল তার সাথে তার কেক ছিল পিং কালার এবং তার নাম (মুন) সাথে মিল রেখে এবারে অর্ধচন্দ্র আকৃতির কেক নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
আমার ছোট দুলাভাই একটা কেক নিয়ে আসে। দুটোকে এক কেটেই জন্মদিন উদযাপন করা হলো ।সন্তানের এই ছোট ছোট আনন্দটুকু হাসিমুখ দেখার জন্য বাবা-মার সব সময় চেয়ে থাকে। চেষ্টা করেছি আমাদের সাধ্যমত ওকে খুশি করার । আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম তাই ততটা ছবি তুলতে পারিনি ।
এই জন্মদিন উপলক্ষে প্রিয়জনদের সাথে আবার দেখা হয়ে যায় ।আপন জনদের সাথে দেখা না হলে তারা পর হয়ে যায় ।এমন ছোটখাটো উৎসবে আমাদের আপনজন আবার একত্রিত হতে পারি। হ্যাঁ কিছুটা কষ্ট তো অবশ্যই হয়। কষ্ট হলেও এই আনন্দের কাছে সেই কষ্টটা তখন আর থাকে না ।কেক কাটা হলো, আশীর্বাদের পর্ব হলো এবং সবাইকে রাত্রে খাবার দেওয়া হলো ।
![]() | ![]() |
---|
আমার বড় দিদি আসতে পারেনি তাই তার ছেলের কাছে খাবারগুলো প্যাক করে দিয়েছিলাম। তিনি আমাকে যথেষ্ট ভালোবাসেন। অতিথিরা বাসায় চলে গেলেন। আমি অনেক ক্লান্ত থাকায় খাবার না খেয়ে শুয়ে পড়লাম । সবকিছু গুছিয়ে রেখেছিল ছোট বোন। এভাবে কেটে গেল মামনীর জন্মদিনটি।
![]() | ![]() |
---|---|
এখানের একটি ছবি WhatsApp থেকে নেওয়া |
সকলে আমার মামনির জন্য আশীর্বাদ করবেন ।আমি যেন ওকে একজন সৎ,সাহসী এবং ভালো সনের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। সকলে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি।
প্রথমেই আপনার মেয়েকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ঘরোয়া পরিবেশে ছোট্ট করে মেয়ের জন্মদিন উদযাপন করেছেন এবং সেই মুহূর্তগুলিকে আজ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। তবে আশাকরি পুরনো একজন ইউজার হিসেবে আপনি জানেন, আমাদের কমিউনিটিতে কি ধরনের ছবি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। আপনার পোস্টে ব্যবহৃত তেমন একটা ছবি চোখে পড়তেই মন্তব্য করতে আসা। কারণ ডিসকর্ডে মেনশন দিয়েও আপনাদের উপস্থিতি একেবারেই লক্ষ্যিত হয় না, তাই অগত্যা কমেন্টই ভরসা। যে ছবিটির বিষয়ে কথা বলছি আশাকরি আপনি বুঝেছেন এবং আমার মন্তব্য পড়ার সাথে সাথে ছবিটি পোস্ট থেকে এডিট করে দেবেন। ভালো থাকবেন।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আমি আপনার নির্দেশনা অনুসরণ করেছি।
Thank you,Sir @memamun
প্রথমে আপনার মেয়ের জন্য জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা যদিও শুভেচ্ছা জানাতে অনেক বেশি দেরি হয়ে গেছে তবে দোয়া করি তার আগামী দিনের পথ চলা অনেক বেশি সুন্দর হোক আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করুক এটাই কামনা করে সৃষ্টিকর্তার কাছে সে সাথে আপনি আপনার মেয়ের জন্মদিনের বেশ ভালো আয়োজন করেছেন সবাই মিলে অনেক বেশি আনন্দ করেছেন এটা দেখেই ভালো লাগছে ভালো থাকবেন।
প্রথমেই আপনার মেয়েকে জানাই জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। একদমই তাই সন্তান জন্মের পর সন্তান কিভাবে তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে মায়েরা বুঝে উঠতেই পারে না। আপনার ক্ষেত্রে ঠিক এমনটাই হয়েছে শুধু আপনার বলে না, প্রত্যেক মায়েদের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়। মেয়ের জন্মদিনের দিন অনেক মজা আনন্দ করে কাটিয়েছেন। জন্মদিনের দিন মায়েদের অনেক দায়িত্ব থাকে মেয়েদের খুশি করার জন্য। আপনার মেয়ে মঙ্গল কামনা করি। সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।