Better Life with Steem|| The Diary Game||1st- June-2025||
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আমরা শহরে বসে যে জিনিসটা সবথেকে বেশি মিস করি তা হলো, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে পরিষ্কার পোশাক পড়ে ডালা ভর্তি ফুল তোলা ।শহরের বাসা-বাড়িতে অতটা জায়গা না থাকায় তেমন কোন ফুল ফোটে না। হয়তোবা অনেকে ছাঁদে বাগান করে থাকে বা ব্যালকনিতে অল্প কিছু ফুলের চারা রোপন করে। সেখান থেকে যে কয়টা ফুল পাই তাতেই সন্তুষ্ট।
![]() |
---|
গ্রামের বাড়িতে আসলে সকালবেলার সেই দৃশ্যটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে ।গাছে গাছে নানা ধরনের ফুল ফুটে থাকে এবং সেগুলো ঠাকুরের পূজার জন্য তুলে রাখতে আমার খুব ভালো লাগে । আজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ডালা নিয়ে ফুল তুলতে গেলাম ।যত ফুলতুলী ইচ্ছে করছে আরো ফুল তুলি। যেহেতু এখন বর্ষা কাল , এখন প্রচুর ফুল ফোটে গাছে। বিভিন্ন রঙের ফুলে ডালা পূর্ন্হয়ে গেলো। কিছু ছবিও তুললাম ,এই আনন্দটুকু আমরা শহরে পাই না ।
![]() |
---|
ফুলগুলো তুলে ঠাকুরের ঘরে রেখে আসি । রান্নাঘরে এসে দেখি সকালের নাস্তা তৈরি করেছেন ।রুটি, মিষ্টি, ভাজি ।যেহেতু বিয়ে বাড়িতে অনেক লোকজন তাই মাটির চুলায় লাকড়ি দিয়ে রান্না করে থাকেন। আমি সবার জন্য ডিম ভেজে ছিলাম গ্যাসের চুলায় ।অনুষ্ঠানের বাড়িতে অনেক লোকজন হয় তাই অনেকে রুটি করতে হয়। প্রায় ৭০ - ৮০ পিছের মতো রুটি করল। ঘরোয়া রান্না করার জন্য দুইজন মাসি রেখেছিলেন ।তারাই বেশিরভাগ রান্নাবান্না করেছেন, আমরা টুকটাক সাহায্য করেছিলা মাত্র।
![]() | ![]() |
---|
নাস্তা খাওয়ার পরে দশটার সময় ”কালার ফেস্টিভ্যাল” ছোট্ট করে প্রোগ্রাম হবে ।আমরা সকলে সাদা পোশাক পড়েছিলাম এবং বিভিন্ন রঙে রাঙিয়েছিলাম ।বিয়ে মানে নতুন জীবনের শুরু তাইতো ওদের জীবনটা রঙিন হোক, সুখে-শান্তিতে ভরে ওঠুক তাই এই আয়োজন ।এই পোশাকগুলো একদম কম মূল্যে কিনেছিলাম ।কারণ রং লাগানো হবে , এই পোশাকগুলো দ্বিতীয়বার পড়া যাবে না । এজন্য বেশি টাকা অপচয় করার কোন মানে হয় না। কনের শাড়িটিও নিয়েছিল মাত্র ২০০ টাকা , আমাদের সাদা ওয়ান পিস গুলো নিয়েছিল ২০০ টাকা করে।
![]() | ![]() |
---|
মাত্র ২০০ টাকায় যে এত সুন্দর একটি ওয়ান পিস পাওয়া যায় আমি তো ভাবতে পারিনি ।আমরা রং খেলার জন্য বিভিন্ন রঙের আবির নিয়েছিলাম ।এখন যেহেতু বৃষ্টির সময় , কখন যে বৃষ্টি নেমে যায় সেই চিন্তায় সবসময় থাকতে হয় ।অবশ্য ওদের বাড়ির উঠনে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রেখেছিল। রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ ঢাকা সম্ভব নয় । রং খেলার জন্য এর আমরা শান বাঁধানো পুকুরের ঘাঁটে ”কালার ফেস্টিভ্যালে “ জন্য সাজিয়েছিলাম। তখনো ক্যামেরাম্যান এসে পৌঁছায়নি ।
আমাদের মতো করে সাজিয়েছি এবং আমাদের মোবাইল থেকে ছোট ছোট ভিডিও এবং ছবিও ধারণ করি ।বিয়ের কনেকে শাড়ি পরানো থেকে শুরু করে সাজানো সমস্ত কিছুর দায়িত্ব ছিল আমার । আমার সাথে সাথে জয়ন্তী অনেক সাহায্য করেছে । প্রিয়ন্তীর বান্ধবী অনেক ভালো একটি মেয়ে, সে আমার হাতে হাতে অনেক সাহায্য করেছিল। কিছু সময় রং খেলার মাঝে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। বেশি সময় ধরে রং খেলা হলো না কারণ এখন বৃষ্টিতে ভিজলে সবাই অসুস্থ হয়ে যাবে ।
বাচ্চাদের সবাইকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম এবং স্নান করে ফ্রেশ হয়ে নেই। এর মাঝে দুপুরের রান্না হয়ে গিয়েছিল আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছি ।ভাবছি কিছুটা সময় বিশ্রাম নেব কারণ রাতে একদমই ঘুমাতে পারিনি ।কিন্তু কি হবে, বিশ্রাম আমার আর নেওয়া হলো না কারণ সন্ধ্যেবেলা আবার ”হলুদ সন্ধ্যা” প্রোগ্রাম হচ্ছে। আর সেই হলুদের টেবিল সাজাতে হবে আমাকে। ফল দিয়ে পেলেট সাজাতে হবে , বিয়ের কনে ও মেয়েরা পার্লারে গিয়েছিল । আমি আর পার্লারে যায়নি যেহেতু আমাকে টেবিল সাজাতে হবে।
![]() | ![]() |
---|
৩০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে উঠে টেবিল সাজাতে শুরু করি। কিন্তু কি হবে ছুড়িটা একদমই ধার ছিল না পেঁপে ছুলতে গিয়ে আমার হাত কেটে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বড় ননদ হাত পরিষ্কার করে ওষুধ লাগিয়ে হাতটা বেঁধে দিয়েছিলেন। এই কাজগুলো অন্য কেউ পারেনা তাই আমাকে করতে হলো । একা একা করতে অনেক সময় লেগে যায় । বড় দিদি আমাকে সাহায্য করেছিল ।এইসব কাজ করতে আমার অনেক ভালো লাগে।
আমি টেবিল সাজাতে অনেক পছন্দ করি , ভেবেছিলেন মিষ্টি কুমার দিয়ে একটি ঝুড়ি তৈরি করব কিন্তু এমন একটি মিষ্টি কুমার ছিল যা দিয়ে ঝুরি তৈরি করা যাবেনা , একতো ছোট তারপর আবার বাঁকা। আনারস দিয়ে ফুলের টপ তৈরি করলাম, আপেল দিয়ে দুটি পাখি তৈরি করলাম এভাবেই সাজিয়ে দিলাম হলুদ সন্ধ্যার টেবিলটি ।
টেবিল সাজাতে সন্ধ্যা হয়ে গেল । আবার মেয়েগুলো বায়না করছে ওদের শাড়ি পরিয়ে দিতে হবে । ওদের সবাইকে শাড়ি পরিয়ে দিতে দিতে আমার তৈরি হওয়ার সময় পাচ্ছিলাম না । পার্লার থেকে বিয়ের কনে চলে আসে, আবার বৃষ্টিও শুরু হলো। আমি তখনও তৈরি হতে পারিনি। খুব খারাপ লাগছিল। প্রতিবেশিরা চলে আসলো ”হলুদ সন্ধ্যা” অনুষ্ঠানটি দেখতে ।
![]() |
---|
আমি ঝটপট করে নিজেই তৈরি হয়ে নিলাম। হলুদ সন্ধ্যায় কেমন আনন্দ করলাম সেগুলো পরবর্তী পোষ্টে শেয়ার করব। আজ এখানে ইতি টানছি । পোষ্ট অনেক বড় হয়ে গেছে। সকলে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন |