Better Life with Steem|| The Diary Game||19- May-2025||
![]() |
---|
Made by Canva |
Hello,
Everyone,
আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন ।আমরা যেভাবে থাকি না কেন সুস্থ থাকা খুবই প্রয়োজন। কিছুদিন থেকে খুবই অসুস্থ আছি । আমি সহজে অসুস্থ হই না কিন্তু এতটা অসুস্থ হব ভাবতে পারিনি ।বাধ্য হয়ে আমাকে CMH যেতে হল ।
প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল আমি কোন পোস্ট দিতে পারছি না , এতটাই ক্লান্ত ।জানিনা ঢাকা আসার পরে কি যে হল কিছুই বুঝতে পারছি না ।সংসার ,মেয়ের কলেজ সবকিছু মিলিয়ে, বাবা-মা অসুস্থ ছিল, তাদেরকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসা যাওয়া ,হয়তো সেই জন্য অতিরিক্ত প্রেসার পড়ে গেছে তাইতো আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি ।
আমি মেয়েকে নিয়ে কোচিং এবং কলেজে যেতে পারছি না । আর্মিবাবু অনেকটা ব্যস্ত থাকেন তাই প্রতিদিন মেয়েকে নিয়ে যেতে পারেন না। একা সংসার হলে যা হয়। আজ ছিল আমার সে CMH যাবার দ্বিতীয় দিন । CMH এ খুব সকালবেলায় যেতে হয়। যেহেতু এটি তিন বাহিনীর সামরিক হাসপাতাল। এখানে বাংলাদেশের সকল প্রান্ত থেকে বাহিনীর সদস্যগণ এবং তাদের পরিবারসহ চিকিৎসা নিতে আসেন।
![]() | ![]() |
---|
উন্নত ধরনের চিকিৎসা পেয়ে থাকে তাই নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চিকিৎসা প্রদান করা হয় ।১৮ তারিখ ডাক্তার দেখিয়েছিলাম । ম্যাম অনেকগুলো পরীক্ষা দিয়েছিলেন। গতকালকে অল্প কিছু পরীক্ষা করিয়ে ছিলাম কিছু পরীক্ষা ,বাকি ছিল সেগুলো আজ করব। আল্ট্রাসনোগ্রাফি ডেট পেয়েছি ২২ তারিখ ।আজ ECG ও অন্যান্য পরীক্ষাগুলো করিয়ে রাখবো । আমি CMH যাবো এবং আর্মি বাবু মেয়েকে কলেজে রেখে তারপরে অফিস যাবেন এবং সেখান থেকেই আবার মেয়েকে বাসায় দিয়ে যাবে ।
সকাল ৭ টায় আমরা বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ি। আমি CMH গেলাম , বাবা মেয়েকে নিয়ে কলেজে গেলাম ।আজকে আমি খুবই লাকি মানে হল কারন যাবার সঙ্গে সঙ্গেই আমি যে সিরিয়াল পেয়ে যাব তা ভাবতে পারিনি। আমার সিরিয়াল ছিল দুই ।সত্যি এভাবে প্রথমদিকে সিরিয়াল খুব কমই পেয়েছি ।আমাকে আর বেশি অপেক্ষা করতে হলো না। আমি ECG করে রক্ত পরীক্ষা করতে গেলাম ।
খাবার আগে একবার রক্ত দিতে হবে এবং খাবার দুই ঘন্টা পরে আবার দিতে হবে । এখানে আমার সিরিয়াল ছিল ১১৪, তবে এখানে অনেকগুলো কাউন্টার ছিল তাই বেশি দেরি হলো না। প্রতিটি কাউন্টারে দশজন করে রোগী ডাকেন। আমার বেশি সময় বসতে হলো না ।২০ থেকে ২৫ মিনিট পরে আমার সিরিয়াল চলে আসল। আমি রক্ত দিলাম এবং আমাকে খাবার খেয়ে ২ঘন্টা পরে আবার রক্ত দিতে বলেছিল।
![]() | ![]() |
---|
ক্যানিং থেকেচিকেন রোল ,কিমা পরোটা ও জল কিনে নিলাম । খাবার খাওয়ার সময় একটা নতুন ভাবির সাথে পরিচয় হলো। তিনি হলেন এক বাহিনীর সদস্যের স্ত্রী ।মিষ্টি একটা ভাবী । ভাবির দ্বিতীয় বেবি হবে । তার প্রথম একটি মেয়ে সন্তান আছে তার বয়স ৬ বছর। খাবারের সাথে সাথে আমরা অনেক গল্প করছিলাম, মনে হচ্ছে যেন খুব চেনা। তার সামনের মাসে ডেলিভারি ডেট।তার একটু মন খারাপ কারন মেয়ে বাবু হবে।
সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে যা দিয়েছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত । ছেলে-মেয়ে সেটা কোন বড় বিষয় না ।সন্তানকে মানুষ করা, সুশিক্ষিত করা এটাই হলো সব থেকে বড় বিষয় ।হ্যাঁ আমাদের হয়তোবা ছেলে থাকলে আমরা মেয়ে কামনা করি ।আবার, প্রথম সন্তান মেয়ে হলে আমরা দ্বিতীয় সন্তান ছেলে কামনা করি। আমরা যখন প্রথম সন্তান নেয়ার চিন্তা করি তখন কিন্তু আমাদের সে রকম কোন চাওয়া থাকে না। সৃষ্টিকর্তা যা দেয় তাতে খুশি হই কিন্তু দ্বিতীয় সন্তানের বেলায় সবার কিছু আশা থাকে ।
![]() | ![]() |
---|
গল্প করতে করতে আমাদের দুই ঘন্টা পার করে দিলাম। আমরা আবার রক্ত সংগ্রহ রুমে চলে আসলাম। আমাদের নমুনা দিলাম ।অনেকটাই ক্লান্ত ছিলাম, ওখানে কিছু সময় বসে বিশ্রাম নিলাম। বাসায় চলে এসে ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘরে গেলাম ।কারন অসুস্থ হলেও খেতে তো হবে ! ওরা অফিস, কলেজ থেকে এসে দুপুরের খাবার তো খাবে। ইদানিং বাহিরের খাবার গুলো একদম ভালো লাগছে না তাই কষ্ট হলেও নিজেই রান্না করি ।
একটু রান্না করি আবার বিশ্রাম নেই ।আর্মিবাবু মেয়েকে নিয়ে দুপুর ২:৩০ মিনিটে বাসায় চলে আসেন। ফ্রেশ হয়ে সবাই একত্রে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই এবং আমার ওষুধ গুলো খেয়ে নেই। আর্মি মানুষ ভারি ভারি অস্ত্র হ্যান্ডেল করতে পারলেও সংসারের জিনিসগুলো তারা অতটা ভালো পারে না ।তারপরও সে চেষ্টা করে আমাকে অনেক সাহায্য করতে।
![]() | ![]() |
---|
সন্ধ্যাকালীন প্রার্থনা করি এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি তিনি আমাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন। সংসারে স্ত্রী অসুস্থ থাকলে সংসার চালানো বড় কঠিন ।আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন ,আমি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যাই। মেয়ে কিছু ফল কেটে দিল । মৌসুমী ফল ”আম” আমার খুবই প্রিয় । আমি অন্যান্য ফল ততটা পছন্দ করি না কিন্তু আম এবং লিচু আমার প্রিয়। এভাবে কেটে গেল আমার গতকালের দিনলিপি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিজেদের শরীরের প্রতি লক্ষ্য রাখুন।
বর্তমান সময়ে সরকারি হসপিটালের চাইতে কিন্তু প্রাইভেট হসপিটাল গুলো বেশ ভালো উন্নত চিকিৎসা দিয়ে থাকে তবে বিশেষ করে যারা মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষ রয়েছে তারা এ ধরনের প্রাইভেট হসপিটালে নিজেদের চিকিৎসা কখনোই করাতে পারে না আপনি ঢাকায় আসার পর এত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সঠিকভাবে নিজের লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারছেন না আসলে ডাক্তার দেখানো খুবই বড় একটা কাজ যেটার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়।
আপনি সঠিক ভাবে আপনার বাবা আমাকে ডাক্তার দেখিয়ে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো সেই সাথে আপনি চেষ্টা করেছেন যথেষ্ট পরিমাণে তাদের আপ্যায়ন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনারা আরো একটা দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।