Better Life with Steem|| The Diary Game||06- July-2025||

in Incredible India5 days ago (edited)
Untitled design (1).png
Made by Canva

Hello,

Everyone,

বৃষ্টির রিম ঝিম শব্দ শুনতে ভাল লাগে কিন্তু একটানা অনেক দিন বৃষ্টি কেউ ভালোবাসে না । তাতে সকলের অনেক সমস্যা হয়ে থাকেতে । ঢাকা শহরের বর্তমান অবস্থা বেহাল। প্রধান সড়ক এবং অলিগুলির বিভিন্ন রাস্তাগুলো কেটে ওয়াশার পানির পাইপ নেওয়ার জন্য খনন করা হয়েছে, তাতে এই বৃষ্টিতে আরো দুর্ভোগ বেড়ে গেছে । প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছে না ।

1000015301.jpg1000015285.jpg

আজ তোমাদের সাথে আমি ছয় জুলাই( রবিবার) দিনলিপি শেয়ার করছি। এই দিন সরকারি ছুটি ছিল ।প্রতিদিন এর মতো সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে প্রার্থনা করি। আর্মি বাবুর ছুটি থাকায় তিনি ঐদিন কাচাবাজার করলেন ।তার ইচ্ছেমতো সব নতুন নতুন বাজার করে নিয়ে আসলেন। এই বছরে প্রথম শাপলা কেনা হলো ।শাপলা যেমন আমাদের জাতীয় ফুল তেমনি এর অনেক খাদ্য গুনাগুন রয়েছে ।

1000015292.jpg

শাপলার ফুল থেকে শুরু করে শাপলা ডগা খাওয়া হয়, শাপলার যে ফল থাকে সেটাও কিন্তু খাওয়া হয় এবং আমি শুনেছি শালুক থাকে খই তৈরি করা হয় ।যাইহোক তিনি অনেক বাজার করে নিয়ে আসলেন। সেগুলো আমাকে গুছিয়ে রাখতে হবে । সুন্দর আখ নিয়ে এসেছিলেন ।আঁখগুলো দেখতে কালো কিছুটা বাশের মত ,অনেক মোটা ছিল । আখ অনেক নরম ছিল এবং মিষ্টি ছিলো।

1000015329.jpg1000015325.jpg

আজ অনেক কাজ করতে হয়েছিল । এগুলো গুছিয়ে রান্নাবান্না করতে আমার অনেক দেরি হয়ে যায় ।আজ দুপুরে রান্নার কোনো ছবি তোলার সুযোগ পায়নি তাই তোমাদের সাথে রান্নার ছবি শেয়ার করতে পারছি না ।অনেক কাজ করে ক্লান্ত , মনটা ভালো ছিল না, ভাবছি একটু মন্দির থেকে ঘুরে আসা যেত তাহলে খুবই ভালো লাগতো।

মেয়ের পরীক্ষা তাই সে যেতে চাচ্ছে না ।আমাদের ফ্লাটে এক নতুন বৌদি আসলো তাকে মন্দিরে যাওয়ার কথা বলায় সে রাজি হয়ে গেলেন । বৃন্দাবন মন্দিরে কখনো সে যায়নি। তার কিছু ঠাকুরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার দরকার ছিল তাই ভাবছি মন্দিরের দোকানগুলোতে সবকিছুই পাওয়া যায়।

1000015317.jpg1000015313.webp
1000015338.webp1000015340.webp

এখান থেকেই পূজার জিনিসগুলো কিনতে পারবো। সেনানিবাস এলাকায় ঠাকুরের প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায় না ।সে কিনতে হলে পুরান ঢাকা ,সদরঘাট যেতে হবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে যেতে হয় ।অতদূরে আমাদের একার পক্ষে যাওয়া সম্ভব না তাই ভাবছি কাছাকাছি বৃন্দাবন মন্দিরে গিয়ে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনে নিয়ে আসে পারবো।

আপনারা আমার বিগত পোস্টগুলো করে জানতে পেরেছেন যে ,আমার যখন মন খারাপ থাকে তখন আমি মন্দির থেকে ঘুরে আসি ,তাতে আমার মন-মানসিকতা ফ্রেশ হয়ে যায় ।বলতে পারেন আমার মনটা রিচার্জ হয়ে যায় ।যাই হোক, বৌদি রাজি হয়ে গেল । বিকেল পাঁচটার সময় বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম ।আজ দুপুরে খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিতে পারিনি ।

মন্দিরে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গেলাম । মন্দিরে গেলে আমার শাড়ি পড়তে খুবই ভালো লাগে তাই আমি যখনই মন্দিরে যাই চেষ্টা করে শাড়ি পরার ।আশা করি ,আপনারা যে যার ধর্মেই থাকেন না কেন, যদি আপনাদের মন খারাপ হয়, অবশ্যই আপনার ধর্মস্থানে যাবেন কিংবা প্রার্থনা স্থানে যাবে ,দেখবেন আপনার মন অনেক হালকা হয়ে যাবে। মনের কষ্টটা অনেক দূর হয়ে যাবে কারণ সৃষ্টিকর্তা কখনো আমাদের নিরাশ করে না ।তিনি সর্বদা আমাদের পাশে থাকেন।

1000015357.webp1000015331.jpg

হ্যাঁ আমাদের জীবনে ভালো-মন্দ আসবে তাই বলে ,যখন ভালো থাকব তখন যে সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে যাব আর যখন খারাপ থাকবো তখন যে সৃষ্টিকর্তাকে বারবার ডাকবো তা নয় ।আমরা যে পরিস্থিতিতে থাকি না কেন সৃষ্টিকর্তাকে সব সময় স্মরণ করব। দেখবেন সৃষ্টিকর্তা সব সময় আপনার পাশে থাকবে।

আমরা মন্দিরে অনেকগুলো ছবি তুললাম ।আমরা অনেকেই ঠাকুরের বিগ্রহের সাথে সেলফি তুলি ।এই সেলফি তোলাটা আমার উচিত নয় এবং মন্দিরের প্রভুজি তারাও নিষেধ করেন। আমরা যখন সেলফি তুলি তখন ঠাকুরের বিগ্রহ আমাদের পিছনে থাকে তা একদমই উচিত নয় । সৃষ্টিকর্তা হল সবার উপরে তাকে সামনে রেখে আমাদের ছবি তোলা উচিত । সেলফি না তুলে আমরা ছবি তুলতে পারি ।

ছোট পিতলের থালা বাটি কেনার প্রয়োজন ছিল তাই আমি ছবি তুলে নিয়েছি কারণ দেখা যায় একই রকম থালা বাটি পাওয়া যায় না । এখানে হাতের শাখা ও ঠাকুরের প্রয়োজনীয় সবকিছু কিনতে পাওয়া যায় । ভেবেছিলাম যে এখানে দামটা একটু বেশি হবে কিন্তু না । চিন্তা করলাম, এখান থেকে যদি আমাকে সদরঘাট যেতে হয় , যাতায়াত খরচ যা আসে সে তুলনায় এখানে জিনিসপত্রের দাম ঠিক আছে। বেশি একটা পার্থক্য নেই কারণ আমি ঠাকুরের থালা ১০০ টাকা এবং একটা গ্লাস ১০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম।

1000015286.jpg

সেই থালা ১২০ টাকা ,গ্লাস ১২০ টাকা বিক্রি করছেন। মাত্র ২০ টাকার পার্থক্য ।এই মন্দিরের সুন্দর একটি বিষয় হলো ,এখানে নিরামিষ আইটেমের অনেক কিছু পাওয়া যায় ।বিশেষ করে পাপড় গুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ।আমি অনেকগুলো পাপড় নিয়ে এসেছি ।

আমরা মন্দিরে বসে সন্ধ্যাকালীন প্রার্থনা করে নিলাম ।তারপর বাচ্চাদের সাথে ফুচকা খেয়ে বাসায় চলে আসি। এভাবেই আমার রবিবার দিনটা কেটে গেল। আশা করি আমার দিনলিপি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তবে ছোট্ট একটি মন্তব্য করে যাবেন। সবাই ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন, সেই কামনা করে এখানে বিদায় নিচ্ছি । শুভ রাত্রি।

Thank You So Much For Reading My Blog📖

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPmPayXPfM22kXaj3xKw37oQ9tua3JfrnuMRWWqGHfhuyA1UYheY5qjiFbP3BW...JWNUaLb1UAxtVkvpEzFvrbCpiTVHr2qys8cnVHpyrfv38wVPMc1Luya71X8AzcNNuKjF1rHwqMTUWN8r39rGXHzGTLWtLUbqpNh6DHaWG6eK2zUkgnx8ShFKdg.png

Sort:  
Loading...