ভেজ পাস্তা রেসিপি
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই খুব ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
আমার নিরামিষের দিনে খাবার খেতে ভীষণ অসুবিধা হয়। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ভেজ পাস্তা রেসিপি। পাস্তা খেতে ছোট থেকে বড় কম বেশি সকলেই ভালোবাসে। সকালবেলা কিংবা সন্ধ্যাবেলা খুব সহজেই টিফিন বানানোর মধ্যে পাস্তা, চাউমিন ,ম্যাগি এগুলোই আগে মনে পড়ে। এরকম মুখরোচক খাবার খুব সহজেই বানিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে। তাতে আবার যদি শীতকালে হয় তাহলে আরও বিভিন্ন রকমের সবজি এড করে আরো ভালো লাগে খেতে, যারা সবজি খায় না তাদের এইসব খাবারের মধ্যে যে কোন সবজি দিয়ে দিলে খুব সহজেই খেয়ে নেয়। আমাদের বাড়িতে আমার শাশুড়ি মা পেঁয়াজ ,ডিম কিছুই খায় না। উনার পক্ষে এইরকম ভেজ পাস্তা করে দিলে খুবই ভালো হয়।
ভিডিও লিংক |
---|
তবে আরেক দিকে আমার বর সবজি একদমই খেতে চায় না। উনার জন্যই বিভিন্ন রকমের সবজি দিয়ে মাঝে মাঝেই ভেজ পাস্তা বানিয়ে দেওয়া হয়। রেসিপিটি একদমই সহজ পদ্ধতি। তবে এক একজনের পদ্ধতি একেক রকমের হয়। আমি আমার মনের মত করে সবসময়ই রান্না করার চেষ্টা করি। এইরকম ভেজ পাস্তা বাচ্চাদের স্কুলের টিফিনের পক্ষে খুবই ভালো। চলুন তাহলে শুরু করি আজকে ভেজ পাস্তা রেসিপি।
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | পাস্তা | ১৫০ গ্ৰাম |
২ | ছোট সাইজের আলু | ১ টা |
৩ | ফুলকপি | পরিমাণ মতো |
৪ | গাজর | ১ টা |
৫ | কাঁচা লঙ্কা | ২ টো |
৬ | বিন্স | পরিমাণ মতো |
৭ | মটর শুঁটি | পরিমাণ মতো |
৮ | কাঁচা বাদাম | ২০ টা |
৯ | লবণ | ১ চামচ |
১০ | হলুদ | হাফ চামচ |
১১ | সরষের তেল | ২৫ গ্ৰাম |
১২ | টমেটোর সস | পরিমাণ মতো |
প্রথম ধাপ
প্রথমেই সমস্ত রকম সবজি আমি ছোট্ট ছোট্ট করে কেটে ধুয়ে রেখে দিয়েছিলাম। যেমন আলু,কাঁচা লঙ্কা, গাজর , বিন্স, ফুলকপি , মটরশুঁটি আপনারা চাইলে অন্যান্য সবজি ও অ্যাড করতে পারেন। আমি আমার পছন্দমত সবজিগুলো অ্যাড করেছিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর গ্যাস অন করে একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াইতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে দিয়েছি। জল দেওয়ার পর সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়েছিলাম। লবণ দেওয়ার পর পরিমাণ মত পাস্তা জলের মধ্যে দিয়ে খানিকক্ষণ ফুটিয়ে নিয়েছিলাম। বেশিক্ষণ ফুটিয়ে নিলে আবার পাস্তা গলে যেতে পারে ।তাই খানিকক্ষণ ফুটিয়ে নিয়ে পাস্তা একটা পাত্রে জল ঝরানোর জন্য রেখে দিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
এবারে গ্যাস অন করে আবার ও কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াই গরম হলে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে তেলের মধ্যে কাঁচা বাদাম ভেজে তুলে রেখে দিয়েছিলাম। এরপর ওই তেলের মধ্যেই সমস্ত কেটে রাখা সবজি গুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
চতুর্থ ধাপ
সমস্ত সবজি কড়াইতে দেওয়ার পর পরিমাণ মতো লবণ আর হলুদ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে খানিকক্ষণ ঢেকে রাখতে হবে। গ্যাস সব সময় মিডিয়াম ফ্রেমে রেখে ভালো করে নাড়াচাড়া করলে সবজিগুলো খুব ভালো সিদ্ধ হয়ে যায়।
পঞ্চম ধাপ
সমস্ত সবজি ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরানো পাস্তা গুলো সবজির মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ
খুব ভালোভাবে নাড়াচাড়া করা হয়ে গেলে ভেজে রাখা বাদাম গুলো পাস্তার উপরে ছিটিয়ে দিতে হবে।
তৈরি
এই ভাবেই খানিক ও নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিলেই খুব সহজেই তৈরি হয়ে যাবে ভেজ পাস্তা রেসিপি।
রেসিপিটি খুব সহজেই চটপট তৈরি করা যায়। পাস্তা তৈরি করার পর আপনারা আপনাদের ইচ্ছেমতো স্যালাড ব্যবহার করতে পারেন। আমি এখানে কোন স্যালাড ব্যবহার করিনি। কারণ আমাদের বাড়িতে স্যালাড তেমন কেউ খায় না। যেহেতু সবজির মধ্যেই সমস্ত কিছুই পাস্তাতে দেওয়া হয়েছিল ।তাই নতুন করে আর কোন স্যালাড পাস্তা তে ব্যবহার করিনি। শুধুমাত্র টমেটোর সস ব্যবহার করেছিলাম। এইরকম হেলদি খাবার বাড়িতে বানিয়ে খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। এর সাথে যেহেতু বিভিন্ন রকমের সবজি রয়েছে। সবজির বিভিন্ন গুনাগুন তো রয়েছেই। শীতকালে যে কোন জিনিস তৈরি করলেই বিভিন্ন রকমের সবজি হাতের কাছে পাওয়া যায়। যাই হোক আমার মনে হয় রেসিপিটি খুবই সহজ। সকলেই কমবেশি বাড়িতে বানিয়ে থাকেন। তবুও ভিডিও লিংক দেওয়া থাকলো চাইলে দেখতে পারেন।
আজ এখানেই শেষ করছি।আবার নতুন কোন রেসিপি নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ভেজ পাস্তার রেসিপিটি অনেক সুন্দর ছিলো অনেক সুন্দর ভাবে আপনি এটা আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন,, দেখে মনে হলো এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে ,, এবং আপনি এটা ঠিক কথা বলেছেন নিরামিষ খেতে আসলে অনেক কষ্টকর হয়ে যায়,, আসলে তবুও আপনাদের কিছু করার নেই,, আপনাদের রীতি নিয়ম অনুযায়ী নিরামিষ খেতে হয়,, যাইহোক এটা খেয়ে আপনি অনেক আনন্দিত অনুভব করেছেন আমি আশা করি এবং এটা খেতে সত্যিই সুস্বাদু হয়েছে বলে আমার মনে হয়।