দীঘায় কেনাকাটার মূহুর্ত
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন ।আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
আপনারা প্রতিদিন আমার পোস্ট যারা পড়ে থাকেন তারা সকলেই জেনে থাকবেন কিছুদিন আগে আমি দীঘায় বেড়াতে গিয়েছিলাম । দীঘা থেকে কেনাকাটার গল্প আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। অনেক মুহূর্তই শেয়ার করা বাকি আছে। কোথাও বেড়াতে গেলে বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র দেখেই কিনতে ইচ্ছে করে ।নিজের জন্য কেনার থেকেও বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখে নিতে ইচ্ছে করে। কারণ ছোটদের জিনিসগুলোই আগে চোখে পড়ে। কিন্তু সব জায়গাতেই জিনিসপত্রের এত দাম যে দাম দেখে অনেক সময় পিছিয়ে আসতে হয়। আমার পরিবারে অনেকেই ছোট সদস্য রয়েছে। কিন্তু সকলের জন্য তো আনা সম্ভব নয়। দিঘাতে বেশিরভাগ ঝিনুক ,শঙ্খের এছাড়াও পুথির জিনিসপত্র এই সবই পাওয়া যায়।
এখন শুধু দীঘায় বলেই না। সব জায়গাতেই সব রকম জিনিসপত্র কিনতে পাওয়া যায়। দীঘায় যেসব জিনিসপত্র পাওয়া যায়, সেই সব জিনিস আমাদের পাড়াতেও মাঝে মাঝে বিক্রি করতে আসে। তবুও বাইরে দূরে কোথাও বেড়াতে গেলে বাড়ির জন্য কিছু তো কিনে আনতে হবে। আর সাথে তো গিয়েছিল দুই বোন তাদেরও কিছু কিনে দিতে হয়েছে। আমার বরের তো বায়না ছিল ইলিশ মাছ নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু অতদূর থেকে ইলিশ মাছ নিয়ে আসা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। উনি আবার দীঘার ইলিশ খেতে চেয়েছিলেন। তবে নিজের জন্য টুকটাক কয়েকটা জিনিস কেনাকাটা করেছিলাম। কেনাকাটা করার থেকেও সারা বাজার ঘুরে জিনিসপত্র দেখতে বেশ ভালো লাগছিলো। ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য যেসব জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছিল সেগুলো আমাদের শহরে ও পাওয়া যায়।
বিকেল বেলায় সমুদ্রের ধারে কেনাকাটা করতে গেলে বহু পর্যটকেরা নিজেদের বাড়ির জন্য কেনাকাটা করতে ভিড় জমায়। দিনের বেলায় বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকে। বিকেলের পর সমস্ত দোকান খোলা থাকে। বেশিরভাগ দোকানে বাড়ির মেয়ে বৌরা থাকে। অনেক রাত পর্যন্তই তারা বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র নিয়ে বসে থাকে বিক্রি করার জন্য।আমার সব থেকে পছন্দ হয়েছিল শাঁখা দেখে। আমার ছোট বোন বেশ কয়েকটা শঙ্খ কিনেছিল বাড়ির কয়েক জনের জন্য। আমার আবার শাঁখা গুলো দেখে খুব কিনতে ইচ্ছে হয়েছিল। আমার দেখে আমার বোনসহ আরও যারা গিয়েছিল সকলেই নিজেদের জন্য বেশ কয়েকটা করে শাঁখা নিয়েছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম এত কম দামে শাখা হয়তো ভালোই হবে। শুনতাম দীঘার শাঁখা নাকি খুব ভালো হয়। ওখানেই শাঁখা তৈরি হয়। প্রথমে বুঝতেই পারিনি যাই হোক বাড়িতে এসে শাঁখা হাতে ঢোকানোর পর বুঝলাম একদমই বাজে পরের দিনই নষ্ট হয়ে গেছে।
আমিও সব বোনদের জন্য এক জোড়া করে শাঁখা কিনে দিয়েছিলাম। ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য একটা করে পুথির হার, পুথির চুরি নিয়ে আসা হয়েছিল। সকলেই যে যার গিফট পেয়ে খুবই আনন্দিত হয়েছিল। কিন্তু একটাই মন খারাপের বিষয় শাঁখা গুলো একদমই ভালো নয় । কেনাকাটা করেছিলাম প্রচুর জিনিস সেগুলোর ছবি তোলা নেই ।তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারলাম না।
আজ এইখানেই শেষ করছি ।আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল।