বাড়িতে তুলসী মন্দির উদ্বোধন
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন ।আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।
গতকালকে সন্ধ্যেবেলায় কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।নিজেদের বাড়িতে কোন নতুন জিনিস তৈরি হলে সেটা খুব আনন্দ হয়। সেটা ছোট হোক কিংবা বড়ো। আমি তো ছোট খাটো জিনিস নিয়ে আনন্দ করতে ভালোবাসি। সবকিছুই যেহেতু আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। তাই এই সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।বেশ কিছুদিন আগের পোস্টে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম আমার শাশুড়ি মাকে আমি সুন্দর একটা তুলসী মন্দির গিফট করেছিলাম। সেই মন্দিরটি সুন্দর একটা বেদীর উপর এতদিন বসানো ছিল। এতদিন তুলসী মন্দিরে কোন সন্ধ্যা প্রদীপ কিছুই পড়তো না। সমস্ত কিছু কমপ্লিট হয়ে গেলেও সেখানে পুজো দেওয়া হয়ে উঠছিল না। হঠাৎ দুদিন আগে শাশুড়ি মা ঠিক করে তুলসী মন্দির উদ্বোধন করা হবে।গতকাল ছিল মাঘী পূর্ণিমা। মাঘী পূর্ণিমার দিন তুলসী মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছে। সেইমতো ঈশাকে বলে রেখেছিল আমাদের বাড়িতে গীতা পাঠ করার জন্য। হিন্দু ধর্মে যে কোন শুভ কাজে গীতা পাঠ করলে নাকি পরিবারের মঙ্গল হয়।
গত বছরেও এক বিশেষ দিনে ঈশা আমাদের বাড়িতে গীতা পাঠ করেছিল। ঈশার প্রথম থেকেই আমাদের বাড়ির তুলসী মন্দিরটা খুবই পছন্দ। তুলসী মন্দির রাখার জন্য যে জায়গাটা তৈরি করেছিলাম সেই সমস্ত কিছুই ঈশা এমনকি ঈশার বাবার পরিকল্পনা মতোই তৈরি করা হয়েছে। ঈশার প্রথম থেকেই ইচ্ছে ছিল তুলসী মন্দিরের যে বেদী টা সেই টাকে লাল রং করবার। ওর কথামতো আমরা মন্দিরের বেদি টাকে লাল রং করেছিলাম। কালকে হঠাৎ ও বলে উঠলো বৌদি আমি তুলসী মন্দিরে চারপাশে আলপনা দেব ওর কথা মতো আমিও ফেব্রিক রং আনতে দিয়েছিলাম ও নিজের পছন্দমত খুব সুন্দর আলপনা দেওয়া শুরু করে দিয়েছিল। আপনারা হয়তো সকলেই জানেন ওর মধ্যে অনেক গুন রয়েছে।
প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা ধরে সুন্দর করে চারদিকে আলপনা দিয়েছিল। আলপনা দেওয়ার পর মন্দিরের চারপাশ দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল।এরপরে সন্ধ্যাবেলায় ছিল গীতা পাঠের অনুষ্ঠান। বলতে গেলে গতকালকে তুলসী মন্দিরের জন্মদিন ছিল। সকাল থেকেই শাশুড়ি মা সবকিছুই জোগার করে রেখেছিল। সন্ধ্যাবেলায় সমস্ত ফল প্রসাদ কেটে রেডি করে রেখেছিল। ঈশা গীতা পাঠ করতে এসেই নিজের মন মত সমস্ত কিছু সাজিয়ে নিয়েছিল ।চারিদিকে মোমবাতি দিয়ে সুন্দর করে মন্দিরটাকে সাজিয়ে তুলেছিল। এরপর মন্দিরে গাঁদা ফুলের মালা দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়েছিল। দেখতে অপূর্ব লাগছিল। নিজের বাড়ি হলে ও সত্যি কথা বলতে আমি ঈশার মতো করে কখনো এত সুন্দর কোনো কিছুই পারিনা। হিন্দু ধর্মে বাড়িতে তুলসী মন্দির না থাকলে একটু ফাঁকা ফাঁকাই লাগে। তবে আমরা যেভাবে তুলসী মন্দিরটা তৈরি করেছি সকলের খুব পছন্দ হয়েছে।
এরপর সন্ধ্যা বেলায় ঈশা খুব সুন্দর করে গীতা পাঠ করছিল ।আশেপাশের বাড়ি কয়েকজন গীতা পাঠ শুনতে এসেছিল। গীতা পাঠ শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা আরতি, তুলসী মন্দির প্রদক্ষিণ সমস্ত রীতিনীতি পালন করা হয়েছিল ।এরপর সকলকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছিল। সকলে তো ভীষণ খুশি শাশুড়ি মা খুশি হয়ে সকলকে বলছিল প্রত্যেক বছর এই দিনটাতেই আমার তুলসী মন্দিরে জন্মদিন পালন করা হবে।
আজ এইখানেই শেষ করছি ।আবার নতুন কোন গল্প নিয়ে হাজির হব আগামীকাল।
আপনার পোস্টটি পড়তে খুবই ভালো লাগলো। তুলসী মন্দিরের উদ্বোধন এবং গীতা পাঠের আয়োজন এক নতুন দিক দিয়ে মন্দিরের গুরুত্ব ও সৌন্দর্যের উদ্ভাসিত করেছে। সত্যি ছোট ছোট আনন্দই জীবনের বড় সুখ হয়ে ওঠে। তিশার মন্দির সাজানো কৌশল এবং গীতা পাঠের আয়োজন খুবই সুন্দর এবং হিন্দু ধর্মের ঐতিহ্য অনুসারে তা যথার্থ হয়েছে।তুলসী মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে সবাই যে কতটা আনন্দিত তা আপনার লেখা থেকেই স্পষ্ট। আগামী বছরেও এই দিনটি উদযাপন করবেন বলে আপনার শাশুড়ি মা যা বলেছিলেন তা সত্যিই উজ্জ্বল মুহূর্ত। আপনাদের এই আনন্দের মুহূর্তের অংশীদার হতে পেরে খুব ভালো লাগলো।