আজকের কাটানো কিছু মূহুর্ত
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজকে প্রায় সকাল সাতটা নাগাদ ঘুম ভেঙে গিয়েছিল । আগের পোস্টে আমার শারীরিক অসুস্থতা কথা শেয়ার করে নিয়েছিলাম। কিছু টেস্ট করানো বাকি ছিল।আজকে বাড়িতে এসে ব্লাড নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়েছিলাম । বাড়িতেই আমাদের চেনা একজন সে এসে বাড়ি থেকে কিছু টেস্ট করার জন্য ব্লাড নিয়ে গিয়েছিল ।তবে এই ব্লাড টেস্ট করাতে আমি ভীষণ ভয় পাই। এর জন্য সব সময় ডাক্তারখানা থেকে এড়িয়ে চলি।টেনশনে আমার গতকাল রাতে একদমই ঘুম হয়নি। যাইহোক যে ছেলেটা সকাল বেলার ব্লাড নিতে এসেছিল সে বয়সে আমার থেকে অনেকটাই ছোট। কিন্তু এমনভাবে আমার ব্লাড নিল আমি বুঝতেই পারিনি। পরে ভাবলাম এত ভয় পাওয়ার কোন দরকারই ছিল না। সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা।গত রাতে খানিকক্ষণ বৃষ্টি হয়েছিল। সকালবেলায় কখনো রোদ উঠছে। আবার কখনো আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যাচ্ছে।
কখনো বা এক ঝলক বৃষ্টি হয়ে আবারো রোদ উঠছে। বৃষ্টির পর আকাশে যেন শরতের আকাশ যেমন হয় পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। মাঝে মাঝে আকাশ ও বুঝিয়ে দিচ্ছে শরৎকাল আসতে আর বেশি দেরি নেই। আজ বৃহস্পতিবার শাশুড়ি মা সকালবেলা থেকে পুজো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন ।তাই বৃহস্পতিবারে রান্নাবান্না আমাকেই করতে হয়। সেইমতো আমি আমার মত করে আজকে রান্নাবান্না করে নিয়েছিলাম। রান্না করতে করতেই হঠাৎ ঈশা ফোন করে বলল বৌদি আমার সাথে একটু বেরোবে। ও যখনই বেরোনোর কথা বলে আমি একদমই না করতে পারি না ।ঘরের মধ্যে থাকতে থাকতে আমিও ভীষণ বোর হয়ে যাই। কিন্তু বাড়িতে সকলেই বকাবকি করছিল। যেহেতু শরীরটা খারাপ ।তাই যখন তখন বেরিয়ে যাওয়া একদমই পছন্দ করছে না।
তবুও কারোর বারন না শুনে রেডি হয়ে আমি আর ঈশা দুজনেই বেরিয়ে পড়েছিলাম। আসলে আজকের দরকার ছিল ঈশার ।আমার তেমন কিছু কেনাকাটা করার ছিল না ।বাড়ি থেকেই প্রথমে চলে গিয়েছিলাম সোনার দোকানে। আমার জুয়েলারি দেখতে ভীষণ ভালো লাগে ।না কিনলেও দেখতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক ওই দোকানে ঈশার কিছু প্রয়োজনীয় কাজ ছিল ।তাই দোকানের কাজ সেরে আবারো হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছিলাম শপিংমলে ।শপিং মল থেকে ও কিছু কেনাকাটা করে নিল। আমিও শপিংমল ঘুরে ঘুরে জিনিস দেখছিলাম। বৃষ্টির দিনে শপিং মল গুলো একটু ফাঁকা থাকে।কারণ আমারও কিছুদিন পর কেনাকাটা করতে হবে। আজকে জামা কাপড় দেখতে দেখতে হঠাৎই মামার জন্য একটা টি-শার্ট পছন্দ হয়। তাই এ বছরে প্রথম পুজোর বাজার আজকে বড়ো মামাকে দিয়েই শুরু করে দিয়েছি।বাড়িতে এসে বোনের কাছে বকা শুনতে হবে। কারণ ও জন্য এখনো কিছুই কিনে দেওয়া হয়নি।
এরপর ওখান থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম আর একটা জুয়েলারি দোকানে যাব বলে। সেখানে থেকে ঈশা ওর গোপালের জন্য সুন্দর একটা কানের দুল কিনে নিয়েছিল। আমিও বেশ কয়েকটি গয়না দেখছিলাম। কিছু গয়না পরে ও দেখেছিলাম।গয়না দেখলেই যেন নিতে ইচ্ছে করে। এখন প্রচন্ড দাম। তাই নেওয়ার আশা করিনি। এরপর গয়নার দোকানের কাজ মিটিয়ে চলে গিয়েছিলাম পাশেই একটা কেকের দোকান। সেখানে দুজনে মিলে কিছু খেয়ে নিয়েছিলাম । আগামীকাল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পতাকার তিনটি রঙের কিছু সুন্দর কেকের আইটেম তৈরী করেছে। দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল।এদিকে বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টির মধ্যে দোকান থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম টোটো খোঁজার জন্য। বৃষ্টির মধ্যে টোটো একদমই আসতে চায় না। তবুও অনেকক্ষণ পর একটা টোটো পাওয়া গেল। বৃষ্টির মধ্যে টোটো ভাড়া সব সময় বেশী নেই।এরপর আমরা দুজনেই একেবারে বাড়ির সামনে টোটো থেকে নেমেছিলাম। দুজনে আমরা এইভাবে সময় কাটাতে ভীষণ পছন্দ করি। আমারও এইভাবে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। আসলে আমার শরীর কিংবা মন যখন খারাপ থাকে তখন ঈশা আমাকে সব সময় ভালো রাখার চেষ্টা করে। একটা সময় এসে সব মানুষের একজন খুব ভালো বন্ধু দরকার হয়।যার কাছে বিনা নির্দিধায় সব শেয়ার করা যায়।এই ছিল আজকে আমাদের দুজনের কাটানো মুহূর্ত। জীবনে এই ছোট ছোট মুহূর্ত গুলোই আমাদের স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে। সকলে ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন।