ডাক্তার দেখানো

in Incredible India6 days ago

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।

IMG_20250821_164044.jpg

আজকে সকাল বেলায় বৃষ্টি তে ভিজতে ভিজতে কাটিয়ে দিতে হয়েছিল।আজকে খুব সকাল সকালই ঘুম থেকে উঠে পড়তে হয়েছিল। কারণ আজকে ছিল আমার ডাক্তারের কাছে রিপোর্ট দেখানো দিন। বেশ কিছু পোস্টে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আমার শারীরিক অসুস্থতার কথা। শরীরে কোন সমস্যা হলে আমার একদমই ভালো লাগেনা । সচরাচর আমার তেমন কিছু হয় না।তবে আমার থেকে আমার বাড়ির লোকজনের আমার জন্য বেশি চিন্তা হয়। কারণ আর তিনটে বোন ছোট থেকেই সুস্থ স্বাভাবিক।আর আমি ছোট থেকেই অসুস্থ। বাড়ির বড়োরা বলেন আমি নাকি ছোট থেকেই প্রচন্ড অসুস্থতা নিয়ে ভুগেছি। আমার দিদা ছিল তাই আমি বেঁচে রয়েছি। দিদা আমাকে খুব যত্ন করেছে।তাই আমার কিছু হলে আমার বাড়ির লোকরা ভীষণ চিন্তায় থাকে। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরে সকালবেলায় আবহাওয়া বেশ ভালোই লাগছিলো। সচরাচর সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠা হয় না।রোজ সকালে আকাশ মেঘলা থাকে। ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার সময় কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছিল। তবুও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে চলে গিয়েছিলাম ডাক্তার দেখাতে। স্কুটিতে করে যাওয়ার সময় ছাতা নিয়ে একদমই বসা যায় না। তাই বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে চলে যেতে হয়েছিল।

IMG_20250821_164013.jpg

আমি ডাক্তারের চেম্বারে দেখাতে যায় না।ডাক্তারের বাড়ি গিয়েছিলাম সরাসরি ।যেহেতু আমাদের চেনা ডাক্তার তাই ভীষণ সুবিধা হয় দেখাতে। চেম্বারে দেখালে অনেকক্ষণ বসে থাকতে হয়। এছাড়া নাম লেখানোর ঝামেলা থাকে। উনার বাড়ি যাওয়া মাত্রই দেখলাম উনি তার বাচ্চাকে স্কুলে দিতে যাওয়ার জন্য রেডি করে দিচ্ছিল। আমরা গিয়ে একটু বসতেই উনি চলে এসেছিলেন বাড়ির চেম্বারে।উনার বাড়িতে বেশ কিছু পাখি রয়েছে। পোষা পাখিদের দেখে ভীষণ খারাপ লাগছিল। আমরা যখন যেখানে ইচ্ছা হুটহাট করে চলে যেতে পারি। কিন্তু পাখিগুলো সেই বদ্ধ খাঁচার মধ্যে জীবন যাপন করে ।দেখে খুব খারাপ লাগে। উনি শখ করে পোষ মানিয়েছেন।যাই হোক পাখি দুটো ছবি তুলে নিয়েছিলাম। খাঁচার নিচে রয়েছে দুটো টিয়া পাখি। আমরা কাছে যেতেই বাড়ির লোকজনকে ডাকছিল। আমরা কারা সেটা জিজ্ঞেস করার জন্য। উপরের খাঁচায় আর একরকমের পাখি রয়েছে ।সেই পাখিটির জন্য আবার ছোট্ট কাঠের বাসাও তৈরি করে রেখেছে। পাখি ভয় পেলে তাদের সাথে বাসায় ঢুকে পড়ছে। পাখি গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল।

এরপর আমার সমস্ত রিপোর্ট আমি ডাক্তারকে দেখানোর জন্য উনার হাতে দিলাম ।উনি সমস্ত কিছু দেখে বললেন সব কিছুই নরমাল আছে। আসলে মেয়েদের একটা বয়সের পর শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়। আমারও ঠিক তেমনি কিছু হয়েছিল। কিছু মেডিসিন লিখে দিয়েছে ।আশা করি সেগুলো খেলে সমস্ত কিছুই আগের মতো ঠিকঠাক হয়ে যাবে। মেয়েদের জীবনে যেমন জটিলতা শেষ থাকে না। সংসার জীবনে প্রবেশ করলেই নানা রকম চিন্তাভাবনার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হয়। এভাবেই আস্তে আস্তে তাদের শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা ও রোগ বাসা বাঁধতে থাকে। আসলে আমরা ছোট খাটো সমস্যা গুলোকে গুরুত্ব দিয় না। যখন খুব বাড়াবাড়ি হয় তখন থাকতে না পেরে ডাক্তারের কাছে ছুটতে হয়।

এরপরে আমি আর মামা বাড়ির জন্য রওনা দিয়েছিলাম ।কিন্তু তখন আরো জোরে বৃষ্টি আসলো। মামাকে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যেতে বললাম।কিন্তু মামা একদমই দাঁড়াতে চাইনি। বাড়ি ফেরার একটু তাড়া ছিল। মামার পরিচিত কিছু লোক বাড়িতে আসার কথা ছিল ।তাই বৃষ্টির মধ্যে ভিজতে ভিজতেই দুজনেই বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলাম। তবে আমার রিপোর্ট ভালো শুনে সকলের ভীষণ খুশি। মা,দিদা দুজনেই আমাকে নিয়ে খুব চিন্তিত ছিল। মনে মনে আমারও ভীষণ ভয় লাগছিল। কারণ আমি সবসময় নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করি। তার মধ্যে যদি কোন রোগ বাসা বাঁধে ।তাহলে ভয় তো লাগবেই। আসলে প্রথম দিন থেকেই এইসব শোনার পর নিজে একটু ভয়ে কুকড়ে গিয়ে ছিলাম ।কিন্তু আজকে যখন সব ঠিকঠাক শোনার পর একদমই মন ভালো হয়ে গেছে ।


আজ এই পর্যন্তই ।আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আগামীকাল ।সকলে ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন।

Sort:  
Loading...

TEAM 6

Congratulations! This post has been voted through steemcurator08. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.


1753883118875.png


Curated by : @uzma4882