কিছু ছবি কিছু কথা বলে
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
যখনই আমার হাতে একটি স্মার্টফোন বা ক্যামেরা থাকে। তখনই আমি কিছু না কিছু ছবি তুলে রাখি। আমার গুগল গ্যালারিতে রয়েছে অনেক পুরনো স্মৃতি, যা সময়ের সাথে-সাথে আরও মূল্যবান হয়ে ওঠে আমার কাছে। প্রতিটি ছবির মধ্যে লুকিয়ে থাকে এক একটি মানুষের আবেগ, ভালোবাসা ও অনুভূতি। আমি বিশ্বাস করি, একটি ছবি শুধু দৃশ্যই নয়, বরং তা অনেক কথাই বলে- যা আমাদের হৃদয়ের গভীরে অনুভূতির আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
এই পৃথিবীর বুকে, ছবি তোলার প্রতি সবার এক অদ্ভুত আকর্ষণ রয়েছে। এটা শুধু একটি মুহূর্তকে চিরকাল ধরে রাখার উপায় নয়! বরং আমাদের মনের প্রশান্তি ও আনন্দের এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। ছবি তোলা আমাদের জীবনের অনবদ্য এক যাত্রা, যেখানে প্রতিটি ক্লিকের সাথে জড়িয়ে থাকে একটি গল্প, একটি অনুভূতি, এবং একটি স্মৃতি থাকে।
এই ছবিগুলি আমি বহুদিন ধরে আমার ফোনের গ্যালারিতে রেখেছিলাম!
প্রথম ছবি,
আপনারা উপরে যে ছবিটি দেখছেন, এটি আমি প্রায় ১০-১২ দিন আগে কাওরান বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, একটি ছোট ছেলে সিঁড়ির কোনায় ঘুমিয়ে রয়েছে। তার শরীরের অবস্থান এবং পেটের চাপ দেখলে বুঝা যায় তার ক্ষুধার অবস্থা। মনে হলো, যদি সবাই একটু সহযোগিতা করত, তাহলে তাদের স্বাস্থ্য বা জীবন অনেক উন্নত হতে পারত। এই মুহূর্তে আমার মনের অবস্থা ছিল একদম অবর্ণনীয়। আমি ভাবলাম, হয়তো এই শিশুটিও কোন মায়ের আদরের সন্তান ছিল। তবে আল্লাহই জানেন, তার জীবনে কী এমন ঘটনা ঘটেছে যে, আজকে সে পথশিশু হয়ে রাস্তায় ঘুমিয়ে রয়েছে।
দ্বিতীয় ছবি,
এটি একটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ছবি। ক্ষুধার জ্বালায়, লজ্জা-শরম ভুলে রাস্তায় ভিক্ষা করছে। আমরা সাধারণত এই সব মানুষদের দেখে শুধু চোখ ভরে দেখেই চলি, কিন্তু কখনও সাহায্যের হাত বাড়াতে সাহস পাই না। আমরা যে সুস্থ, ভালো আছি, তাদের সাহায্য করাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আল্লাহ যেন আমাদের মনটাকে আরও নরম করে, এবং এইসব মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সবার মনে শক্তি দেন।
তৃতীয় ছবি,
এটি আমার নিজের ছবি। আপনি হয়তো ভাবছেন, কেন আমি নিজের ছবি শেয়ার করছি, তবে পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ তার নিজের চেহারা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার নিজের ছবিটা শেয়ার করব। এই ছবিতে কোনো বিশেষ আবেগ ছিল না, শুধুমাত্র সুখ এবং আনন্দের অনুভূতি ছিল। আমি তখন অনুভব করছিলাম, সবকিছু সুন্দর এবং শান্ত!
চতুর্থ ছবি,
এটি আমার ভবিষ্যতের দ্বিতীয় বাড়ি। মসজিদ এবং কবরস্থান, এই দুটি স্থান মানুষের মৃত্যুর অনুভূতি ও পরবর্তী জীবনের চিন্তা নিয়ে আসে। আমি বিশ্বাস করি, মসজিদে যাওয়া আমাদের আধ্যাত্মিক শান্তি প্রদান করে, আর কবরস্থানে গেলে মৃত্যুর অনুপস্থিতি এবং জীবনকে আরও মূল্যায়ন করার অনুভূতি আসে। এই ছবিতে আমি দুটি পৃথিবীর অনুভূতি অনুভব করতে পারি।
হয়তো ছবিগুলো তুলতে অনেকটা ভালো হয় নাই।কিন্তু ছবির মধ্যে ছিল কিছু জীবনের বাস্তবতা কথা!
আমি যে উপরে এই কয়েকটা ছবি আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করলাম। এই ছবিগুলোর মধ্যে ছিল আমার অনুভূতি, আমার আনন্দ, আমার ভালোবাসা!
আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ!
দাদা এতো সুন্দর একটা বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষই আছে যারা খুদার জ্বালায় যেকোনো কাজ করতে বাধ্য। আর এমন কিছু অনাথ বাচ্ছারা আছে যারা তাদের পরিবারকে হারিয়ে রাস্তা রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। আমার এদের কে দেখলে খুব কষ্ট হয়।
ভালো লাগলো দাদা পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন আপনি।
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
ধন্যবাদ দাদা আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।