Better Life With Steem || The Diary game || 2 / March / 2025
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
গতকাল রাতে তারাবি নামাজ পড়ার পর আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম এবং দ্রুত ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। মাঝরাতে হঠাৎ মোবাইল ফোনে অ্যালার্ম বাজলো। ভোর ৪ টা বাজে, আমি দ্রুত উঠে আম্মু ও আব্বুকে ডাকতে শুরু করলাম, কারণ আজ থেকে প্রথম রোজা শুরু। সেহরি খাওয়া খুব জরুরি ছিল, কেননা রাতের খাবার খাই নাই,তাই সময় নষ্ট না করে আমরা সবাই ২০ মিনিটের মধ্যে কিছু খেয়ে ফেললাম। কিছুক্ষণ পর ফজরের নামাজ পড়লাম এবং হঠাৎ করে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম, টেরই পাইলাম না।
ঘুম থেকে উঠে দেখি সকাল সাড়ে ১০টা বাজে। ছোট্ট ভাগ্নি বারবার দরজায় নক করছে, কারণ অনেক সকাল হয়ে গেছে। ঘুম থেকে উঠে ভালোবাসার কবুতরগুলোকে খাবার দিলাম। কিছুক্ষণ তাকিয়ে ভাবলাম, হয়তো তারা আমার ঘুম থেকে দেরি করে উঠার কারণে বিরক্ত, কারণ তারা খুবই ক্ষুধার্ত। পশুপাখিরা তো ফজরের সময় উঠে।
কবুতরগুলোকে খাবার দিলাম, এমন সময় আব্বু বললেন, আজকেই মিস্ত্রি আসবে। আমাদের টিনের ঘরগুলোর রাস্তায় ঢালাই দিতে হবে, কারণ বর্ষাকাল আসছে। ঝড়-বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়, যা ভাড়াটিয়াদের চলাফেরা করতে অনেক অসুবিধা হবে। তাই আব্বু ঠিক করেছেন, ঝড়-বৃষ্টির আগেই কাজগুলো শেষ করে ফেলবে।
এরপর আমি সকাল ১১টার দিকে রড-সিমেন্টের দোকানে গেলাম। সেখানে গিয়ে চার ব্যাগ বালু এবং দুই ব্যাগ সিমেন্ট কিনলাম। বাসায় সেগুলো নিয়ে আসতে বেশ কষ্ট হল, কারণ কোনো অটো রিক্সা এই সব নিতে চাচ্ছিল না, তবে অনেক চেষ্টা শেষে একটি নসিমন গাড়ি পেলাম। ড্রাইভারকে বোঝানোর পর ৮০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাসায় নিয়ে আসলাম। কিছুক্ষণ পর, বালু এবং সিমেন্টগুলো একটি স্থানে রাখলাম। তারপর গোসল করে যোহরের নামাজ পড়লাম এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।
পুনরায় শরীরটা দুর্বল লাগছিল, তাই ঘুমিয়ে পড়লাম। বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ফোনের রিংটোনে ঘুম ভাঙল। ফোনটি ছিল আমার এক বড় ভাইয়ের, তবে তখন তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। মোবাইল ফোনে টাকা ছিল না, পরে ছাদে গেলাম, যেখানে দেখি আমাদের লাউ গাছের অনেক লাউ ধরেছে, তবে কিছু-কিছু লাউ মরে যাচ্ছে। বুঝতে পারলাম, সম্ভবত পরাগায়ন হয়নি, তাই নিজের হাত দিয়ে দুটি লাউয়ের পরাগায়ন করলাম।
এই সময় আম্মু এসে বললেন, সারাদিন রোজা রাখলাম, তবে কী খাবো বুঝতে পারছি না। তাই আমি আম্মুর কথামতো কিছু লাউয়ের পাতা এবং ডগা কেটে দিলাম। তারপর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। এই সময়ের মধ্যে আসরের আযান দিয়ে দিল। অজু করে নামাজ পড়লাম এবং কিছুক্ষণ পর ছাদে গিয়ে দেখি, কয়েকদিন আগে রৌদ্রে শুকাতে দেওয়া ডিমের খোসাগুলো ভুলে রেখে এসেছিলাম। সেগুলো নামিয়ে রাখলাম।
কিছুক্ষণ পর মাগরিবের আযান দিয়ে দিবে এবং আমি ইফতারি করব। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাইলাম, আজকে আরেকটি দিন বাঁচার সুযোগ পেয়েছি। আজকের এই ছোট্ট জীবনের গল্প দিয়ে আমি আমার পোস্টটি শেষ করছি। যদি কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে,
তাহলে সবাই আমাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
রমজান মাসের প্রথম সময় একটু সেহরির সময় উঠতে আমাদের অনেক বেশি সমস্যা হয় পরবর্তীতে যখন একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় তখন আর এতটা কষ্ট হয় না তারাবির নামাজ পড়ার পর অনেকটা সময় ব্যয় হয় যার কারণে আমাদের মধ্যে অলসতা চলে আসে যাই হোক তারপরেও আপনি আপনার দিনটা খুব সুন্দর ভাবে পার করেছেন এটা দেখে বেশ ভালো লাগছে।