Better Life With Steem || The Diary game || 19 / March / 2025
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
আজ সকালে যখন ঘুম থেকে উঠলাম, তখন মনে হল যেন পুরো পৃথিবীটা আমার দিকে চেয়ে আছে। কিছুটা ভয় লাগছিল, জানি না কেন, তবে এক ধরনের অস্থিরতা ছিল। আজকে যে ব্যবসার দিকে পা বাড়াচ্ছি, তার জন্য প্রস্তুতি নিতে অনেক কিছু ভাবছিলাম। আজকের দিনটা ছিল আমার জীবনের একটা নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিন, যা হয়তো ভবিষ্যতে আমার জীবনকে এক নতুন দিকে নিয়ে যাবে। সেই সিদ্ধান্ত হল, আমি এবার ফার্মেসি ব্যবসায় শুরু করতে চাচ্ছি।
যদিও সাধারণভাবে আমি ওষুধ সম্পর্কে কিছুটা জানি, তবে এটাও জানি যে একজন নতুন ব্যবসায়ী হিসেবে যে অনেক কিছু শিখতে হবে, সে বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। ব্যবসায় শুরু করতে হলে শুধু পুঁজি বা জায়গা নয়, আরও অনেক কিছু লাগে। ব্যবসার ম্যানেজমেন্ট, গ্রাহক সেবা, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, শ্রম, এসব সব মিলিয়ে একটি ফার্মেসি পরিচালনা করা যে কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তা আমি জানি। তাই ভাবছিলাম, আমি কি পারবো এই পুরো দায়িত্ব নিতে? কখনও-কখনও মনে হয়, এই সিদ্ধান্তে ব্যর্থ হলে সারাটা জীবন কান্না কাটি করতে হবে। এই সব ভাবতে-ভাবতে মনের মধ্যে একটা ভয় ঢুকে যাচ্ছে।
আমি এইসব উল্টাপাল্টা ভাবতেই সকাল ১১টা বেজে গেল। সময় কত দ্রুত চলে যাচ্ছে, তা বুঝতেই পারিনি। এবং এই ভাবনাগুলো আমাকে অস্থির করে তুলছিল। জীবনের সঠিক সিদ্ধান্ত যদি না নিতে পারি, তাহলে সারাজীবন এক ধরনের অনুশোচনা নিয়ে থাকতে হবে-এটা ভাবতে আমার শরীর শিথিল হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তারপরও, আমার মন মানছিল না। আমি একের পর এক ভুল চিন্তা করছিলাম এবং সেই চিন্তাগুলোর জন্য আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে যাচ্ছিলাম।
একপর্যায়ে, আব্বা এসে ডাকলেন, ইসবগুলের ভুষি আনতে হবে। তার কথায় হঠাৎ একটু মনোযোগ গেল, তবে মনের অস্থিরতা যেন একটুও কমেনি। রোদ ওঠার পর আমাদের এলাকায় খোঁজ নেওয়া শুরু করলাম, কিন্তু কোথাও ইসবগুলের ভুষি পেলাম না। এরপর, আমি হাঁটতে-হাঁটতে বাজারে চলে গেলাম, যেখানে আরও অনেকটা সময় খুঁজে বেড়ালাম। তখন শরীরটা খুব খারাপ লাগছিল, হয়তো অনেক চিন্তা ভাবনার কারণে এমনটা হচ্ছিল। তাই এগুলো হালকা করার জন্য একটু বিশ্রাম নিতেই হবে।
আবারো আব্বায় আমাকে ডাক দিলেন বললেন তরমুজ আর আনারসানোর জন্য। সঙ্গে-সঙ্গে বাজারে গিয়ে তরমুজ কিনলাম। তরমুজটা ছিল ৪০ টাকা কেজি। আমি ১৮০ টাকা দিয়ে একটি তরমুজ কিনলাম। তারপর, ৬ পিস আনারস কিনলাম ২০ টাকায়। সবশেষে, বাজার ঘুরে ফেরার পথে মনে হল, এত চিন্তার মধ্যে দিনটা কেমন যেন চলে যাচ্ছে, অথচ আমার শরীরের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। বাজারে ফিরে এসে আবার দেখি, ভালোবাসার কবুতরগুলোকে খাবার দেওয়ার সময় হয়েছে।
আমি প্রতিদিন কিছু না কিছু না করলেও, কবুতরগুলোকে আমি একদম নিয়মিত পরিচর্যা করি। কারণ, কবুতরগুলো আমার কাছে শুধু পোষা প্রাণী নয়, বরং আমার অন্তরের ভালোবাসার প্রতীক। তাদের দেখাশোনা করতে গিয়ে আমার মন অনেকটা শান্ত হয়ে যায়। তাদের সাথে সময় কাটানো যেন আমার জন্য এক ধরনের ভালোবাসায় কবুতরের খাঁচা পরিষ্কার করে, তাদের খাবার দিয়ে, একটু সময় তাদের পাশে বসে ভাবছিলাম। আমি জানি, এই ছোট-ছোট কাজগুলোই আসলে জীবনের শান্তি এনে দেয়।
তখনই সন্ধ্যা হয়ে আসে এবং মাগরিবের আজান শোনা যাচ্ছিল। মনে হল, আজকের পুরো দিনটা এই ভাবে চলে গেল। আম্মু ডাকলেন, ইফতারি করার জন্য প্রস্তুতি নিতে। হাত-মুখ ধুয়ে, ইফতারির প্রস্তুতি নিলাম।
আবার, কিছুক্ষণ পর আমি মনে করলাম, জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তগুলো হয়তো ছোট-ছোট কাজের মধ্যেই লুকানো থাকে।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ!
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 6/8) Get profit votes with @tipU :)
Thank you #tipu Sir for supporting me 💕🙏
Thank you #durbisrodriguez Sir for supporting me 🙏💕