Better Life With Steem || The Diary game || 12 / March / 2025
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
গতকালকে সেহরি খেয়ে এলার্জির ট্যাবলেট খেয়েছিলাম। তাই ঘুম থেকে উঠতেও অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, ঘুম থেকে উঠে দেখি সকাল সাড়ে দশটা বাজে । ততক্ষণে পরিবারের সবাই উঠে গেছে। বাইরে গিয়ে দেখি কবুতরগুলো খাদ্যের জন্য ডাকছে। কবুতর গুলোকে খাদ্য দিয়ে আমি ঘরে ঢুকলাম! ঢুকার পর মনে পড়ে গেল বেশ কিছুদিন ধরে আকাশে রোদ উঠেছে, তাই আমি আর কোন দেরি না করে তোষক আর কোলবালিশগুলো রৌদ্রে দিয়েই দিলাম।
প্রচণ্ড রোদে বাইরে থাকার পর, ছাদ থেকে ঘরে চলে আসলাম। এরপর আব্বু বললেন, আজকের ইফতারে সবাই নুডুলস খাবে, কিন্তু আমি তো নুডুলস ভালোবাসি না, তাই ভাত খেতে ইচ্ছা হলো। আম্মুকে বললাম, ভাত রান্না করতে এবং আমি দোকান থেকে নুডুলস আনতে বের হলাম। দোকান থেকে তিন প্যাকেট নুডুলস কিনে বাসায় ফিরে এলাম।
বাসায় ফিরে কম্পিউটার খুললাম, কিছু ব্যক্তিগত কাজ করছিলাম। কাজগুলো শেষ করে দেখি প্রায় দুপুর ১টা বাজে। এরপর আমি চিন্তা করলাম, যোহরের নামাজটা পড়তে হবে। সঙ্গে-সঙ্গে গোসল করে নামাজ পড়লাম এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।
ওইদিকে, বাড়ির পাশ দিয়ে এক মুরুব্বী লোক হাড়ি, পাতিল, চামচ, প্লাস্টিক বিক্রি করছে। তার চিল্লানোর সাউন্ড শুনে আমি বাইরে গিয়ে দেখি, তিনি দশ টাকার প্লাস্টিকের চামুচ, হাড়ি-পাতিল বিক্রি করছেন। সেগুলো দেখতে অনেক সুন্দর এবং দামেও সস্তা। আম্মু তার কাছ থেকে ১০ টাকার ১০টা চামচ এবং কবুতরের জন্য একটি ছোট থালা কিনলাম। যাতে কবুতর গুলি খুব সুন্দর ভাবে গোসল করতে পারে।
এরপর, কবুতরের খাঁচার কাছে গিয়ে দেখি, দুটি কবুতর একে অপরকে খুব হিংসা করছে, মারামারি করেই চলেছে। মাঝে-মাঝে ঝগড়ার প্রভাব এত পরিমান বৃদ্ধি হয়ে যায় রক্তও বের হয়। সত্যিই, হিংসা সবার মধ্যে হয়, তবে কেউ কম করে বা আবার কেউ বেশি করে।
ওই সময় ঘড়ির কাটায় তাকে দেখি, দিনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে আমার, আর বিকাল সাড়ে পাঁচটা বাজে। তখন আমি তোষক, কোলবালিশ, বিছানার কাপড় সব কিছু গোছিয়ে ঘরে নিয়ে আসলাম। তোষক আর বিছানার চাদর গুলো ঘরে গোছাতে লাগলাম।
কিছুক্ষণ পর মাগরিবের আজান শোনা যাচ্ছে, আমার আম্মু আমাকে ইফতার করতে ডাকলো। যেহেতু আমি নুডুলস তেমন পছন্দ করি না, একটু লুডুস খেয়ে ভাত খেতে বসে পড়লাম। ভাত খেয়ে একটু বিশ্রাম নিলাম।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে, এক বন্ধু ফোন দিয়ে আমাকে বাইরে আসতে বলল। বাইরে গিয়ে বন্ধুর সঙ্গে বেশ কিছু সময় কাটালাম, চায়ের দোকানে বসে অনেক গল্প করলাম।
কিছুক্ষণ পর একটি বন্ধু বলছে আমাদের সবাইকে সে চটপটি খাওয়াবে কিন্তু আমি চটপটি পছন্দ করি না। তাই তাকে আমি বললাম আমি চটপটি খাব না, আমি ফুচকা খাব সে আমাকে বলল বাজেট পাস হয়েছে চটপটির জন্য। যদি চটপটি না খাও তাহলে তোমার খাবার ক্যান্সেল। এই কথা শুনে আমি রাজি হয়ে গেলাম আমিও চটপটি খাব। বাংলা একটি কথা আছে না ফাও পাইলে বাঙালি আলকাতরাও খায় 😂 আমি তো শুধু চটপটি খাচ্ছি সমস্যা কি।
চটপটিতে খাওয়ার পর দেখি আর ভালো লাগছে না পরে সবাই সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যার যার বাসায় চলে গেল আমিও আমার বাসায় ফিরে আসলাম।
এইতো, এইভাবে আজকের আমার সারাটা দিন শেষ হল। আমি শুকরিয়া করি আল্লাহর কাছে সে আমাকে আরেকটি দিনের বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
ঔষধ খেলে ঘুম হয় কিন্তু আমার একটা সমস্যা এলার্জির ঔষধ খাওয়ার পরেও আমার ঘুম হয় না এটা ভেবে আমি অনেক বেশি আশ্চর্য হয়ে থাকে আপনার কবুতরগুলো অনেক বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে আমি জানিনা আমার ভাগ্যে কি আছে তার পরেও তাদেরকে পালন করে যাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।