Better Life With Steem || The Diary game || 10 / March / 2025
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি দুঃসংবাদ শুনলাম। পাশের বাড়ির একজন মামা ইন্তেকাল করেছেন। হঠাৎ করে হার্ট এটাক করেছেন, তিনি একজন কম্পাউন্ডার ছিলেন এবং এলাকায় একটি ফার্মেসি ব্যবসায় করতেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন, সবসময় হাসিখুশি থাকতেন। এমন খবর শুনে মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেল। সত্যিই, মানুষের জীবন এক সেকেন্ডের ভরসা নাই। এই পৃথিবীর ভালোবাসা সবই মিথ্যা কিছুই স্থায়ী নয়, এক মুহূর্তেই সব কিছু বদলে যায়।
সকাল ৯টার দিকে কবুতরগুলোকে খাবার দিলাম। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম আমার একটি কবুতরের ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। হয়তো এই কবুতরের বাচ্চাগুলো আমার ভাগ্য ছিল না, তবুও আলহামদুলিল্লাহ, আমি কবুতর পালন করি শুধুমাত্র শখের জন্য, লাভ বা লোকসানের জন্য নয়।
কিছু সময় পর আব্বু বললেন, গ্যাসের বিলটা দিতে। প্রায় ৫ মাস ধরে গ্যাসের বিল দেইনি, তাই ভাবলাম আজই বিলটা দিয়ে দিই। কিছুক্ষণ কম্পিউটার খুলে ব্যক্তিগত কাজটা শেষ করলাম, কারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিভি মেইল করে দিতে হবে। তাই মেলটা সেন্ড করে কিছুক্ষণ পর ব্যাংকের উদ্দেশ্য নিয়ে বাসার থেকে বের হলাম!
ব্যাংকে গিয়ে দেখলাম, লোকজনের সংখ্যা তেমন বেশি ছিল না, তবে টাকার কাউন্টার সামনে পাঁচজন দাঁড়িয়ে ছিল। তারা প্রায় ২০-৩০ লাখ টাকা উঠাচ্ছিল। আমি আগে টাকা দেখি নেই, কাউন্টারে তারা টাকা গুনছে সবাই মিলে। আমি অবুঝভাবে ছবি তুলার চেষ্টা করলাম, যেন পোস্ট করতে পারি। হঠাৎ দেখি, ম্যানেজার আমাকে দেখে নোটিশ দিলেন। পরে তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন কেন ছবি তুললাম। তখন আমি তাকে স্টিমেট প্ল্যাটফর্মের বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। তিনি বিষয়টা বুঝতে পারলেন। তা ছাড়াও ব্যাংকে এমন কোনো নোটিশ ছিল না যে এখানে ছবি তোলা নিষেধ। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে যখন নিজেই উপলব্ধি করতে পারলাম যে এটা আমার ভুল হয়েছে আসলে এই রকম স্থানে ছবি তোলাটাই উচিত না।যাইহোক, বিল দিয়ে ব্যাংক থেকে বের হয়ে বাসায় ফিরে আসলাম। মনে-মনে ভাবছিলাম, আজ অপমান থেকে বেঁচে গেছি।
ভবিষ্যতে বুঝে-শুনে ছবি তুলব। বাসায় ফিরে বিশ্রাম নিলাম, তারপর গোসল করে ভালোবাসা কবুতরগুলোকে আবার খাবার দিলাম। এরপর জোহরের নামাজ পড়লাম এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। আবার ভাবছি মনে-মনে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। অনেকদিন ধরে কোনো কিছু ঠিক মতো হচ্ছে না।
এমন সময় দেখি, আমার ছোট্ট ভাগ্নি আম্মারে চিল্লাচ্ছে, বলছে যে লাউ গাছের পাতা ছেঁড়ার জন্য। তার কথায় আমিও ছাদে উঠে গেলাম, আর দেখি আমাদের ছোট্ট লাউ গাছের প্রথম লাউটি ধরেছে। আল্লাহ চাহে, এই লাউটা বড় হবে। তার ছবি তুলে নিয়েছি, আর নিচে কিছু পাতা বিছিয়ে দিলাম যাতে রোদে নষ্ট না হয়।
এরপর আব্বা ডাকছিলেন, বললেন তরমুজ কিনেছেন, সেটি বাসায় নিয়ে আসতে হবে। বাহিরে গিয়ে তরমুজ বিক্রেতার কাছ থেকে তরমুজটি নিয়ে বাসায় ফিরে এলাম।
একটু পরেই মাগরিবের আজান শুনলাম। এই ভাবেই আজকের দিনটি শেষ হয়ে গেল। আমি শুকরিয়া জানাই আল্লাহর কাছে, যে তিনি আমাকে আজ আরেকটি দিন বাঁচার তৌফিক দিয়েছেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন।
আল্লাহ হাফেজ।
আসলে খুব কাছের মানুষগুলো যখন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় তখন খুব খারাপ লাগে মানুষটা অনেক ভালো ছেলে না থাকাতে জানতে পারলাম দোয়া করি পরকালে তিনি ভালো থাকুক। কি আর বলব ভাই আমি কবুতর নিয়ে এসেছে কিন্তু একটা ডিম দিয়ে আর ডিম দেওয়ার খবর নাই তারা ঠিকমতো ডিম তা দেয় না বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে।
যাইহোক সংসারের কাজ গুলোর মধ্যে আপনি নিজেও হাত লাগিয়েছেন যেটা দেখে ভালো লাগলো আসলে প্রতিটা জায়গায় সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করাটা হচ্ছে বড় কথা অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।