বিকালের কিছু অংশ
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে কিছু ভালো লাগছে না! কি করব ভেবে পাচ্ছিনা। এভাবেই সারাটা দিন ভাবতে-ভাবতে শেষ হয়ে গেল, যখন বিকাল হয়ে আসলো, তখন আর ঘরে একা-একা থাকতে ভালো লাগছে না। সারাটা দিন শুধু ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইসের মধ্যেই পড়ে থাকি এখন । পরে চিন্তা করলাম, এই বিকালের সময়, আজকে নীলা মার্কেটের গিয়ে ঘুরে আসবো!
বিকাল বেলা বাসার থেকে যখন আমি বের হব। তখন আমার ছোট বোন আমাকে বলছে, বের হওয়ার আগে চা আর মুড়ি ও চানাচুর মাখা খেয়ে যা। চা আর মুড়ি খেয়ে বাসা থেকে বের হলাম।
কিছুক্ষণ পরই, আমি আমার এক বন্ধুকে ফোন দিলাম। ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, তুই কি ফ্রি আছিস। বন্ধু বললো হ্যাঁ ওই ফ্রি আছে, আমি বন্ধুকে বললাম ঠিক আছে। তুই তোর বাসার সামনে থাক আমি আসতাছি। পরে হাঁটতে-হাঁটতে বন্ধুর বাসার সামনে চলে আসলাম। পরে বন্ধু আর আমি একটা রিক্সা নিয়ে ৩০০ ফিট রাস্তায় চলে আসলাম, পরে দুই বন্ধু মিলে বিআরটিসি বাসে চড়ে পূর্বাচলে আসলাম।
আগে যখনই নীলা মার্কেট তৈরি হয় বা প্রথম অবস্থায় ছিল। তখন প্রতি সপ্তাহে একদিন হলেও এইখানে আসতাম, যেটুক আমাদের বাড়ির থেকে নীলা মার্কেটের দূরত্ব হবে ৬,৭ কিলোমিটার। বা এর থেকেও বেশি হতে পারে, আমার সঠিকটা জানা নেই।
পরে আমরা পূর্বাচলের একটি প্রজেক্টে ঢুকলাম। দেখি প্রজেক্ট এর ভিতর কোন দোকানপাট নেই কিন্তু রাজুর চা খেতে ইচ্ছা করছে।
৫-৬ মিনিট হাঁটার পরই একটা চায়ের দোকান পেয়ে গেলাম, পরে রাজু চা খেলো। আমি তো এমনিতেও বাসা থেকে চা খেয়ে এসেছি তারপর আমি চা আর খাই নাই।
পূর্বাচলের প্রজেক্টটা ঘুরে দেখলাম, অনেক সুন্দর ভাবে প্রজেক্ট এর ডিজাইন করেছে তারা, একেকটা প্লটগুলোর রাস্তা এবং রোড নাম্বার গুলো খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। ছেলেপেলেরা মাঠে ফুটবল খেলছে কেউবা আবার ঘুড়ি উড়াচ্ছে । কিছুসংখ্যক মানুষ আমাদের মতনই হাঁটাহাঁটি করছে। এই সবুজ শ্যামল প্রকৃতির সাথে সবাই মিশে যেতে চায় ।
এভাবে কিছুটা সময় কাটাতে-কাটাতে, প্রকৃতির সাথে মিশে মনটা অনেকটা শান্ত হয়ে গেল। কিছু দূর যাওয়ার পর, একটা নার্সারি দেখতে পাইলাম। নার্সারি দেখার পর মনটা আরো আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে গেল। তখন সঙ্গে-সঙ্গে কিছু ফুলের ছবি তোলা শুরু করলাম।
পরবর্তী পোস্টে ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকে শুধু একটি ফুল নিয়েই আলোচনা করছি।
প্রথমেই আমার চোখে যে ফুলটি পড়ল। ফুলটি দেখতে অনেক সুন্দর কিন্তু ইন্টারনেটে সার্চ করার পর। এই ফুলের নাম জানতে পারলাম, Dahlia আমরা ডালিয়া ফুল অনেকেই দেখে থাকি কিন্তু এই ডালিয়া ফুলের জাত রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এবং ফুলের কালার রয়েছে যেমন লাল হলুদ গাড় গোলাপী বেগুনি ইত্যাদি এছাড়া এই ডালিয়া ফুল দেখতে অনেক সুন্দর দেখায়। একটি ডালিয়া ফুল গাছের দাম জিজ্ঞাসা করলাম, মালি মামার কাছে।
উনি আমাকে বলল, এইটা dahlia
ফুল গাছটির দাম হলো ২৫০ টাকা। নার্সারি থেকে বের হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পরেই সন্ধ্যা হয়ে গেল, এইতো এই ছোট্ট গল্প দিয়ে আজকের আমার পোস্টে শেষ করলাম। পরবর্তীতে অন্য পোস্টে পূর্বাচলের ঘোরাঘুরি নিয়ে ভিন্ন একটা গল্প শেয়ার করব সবার মাঝে।
আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে সবাইকে আমার দৃষ্টিতে দেখবেন ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
বিকেলের এমন সুন্দর মুহূর্ত গুলো সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। প্রকৃতির সান্ধ্য কিছুটা সময় কাটানো মানেই মনটা সতেজ হয়ে ওঠা। ডালিয়া ফুলের বর্ণনা ও পূর্বাচলের পরিবেশের চিত্র চমৎকার ছিল। আশা করি পরবর্তী পোস্টে আরো দারুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য
চানাচুর দিয়ে মুড়ি মাখা খেতে সকলে পছন্দ করেন। এই শীতে গরম গরম এক কাপ চা হলেতো কথাই নেই । বিকেল বেলা পূর্বাচলের প্রজেক্টটা ঘুরে দেখলেন । অনেক সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করেছেন। ফুল গুলো অনেক সুন্দর ছিল। আপনার পরবর্তী পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
শীতের বিকেলে ঘুরে বেড়াতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে মাঝে মাঝে আমিও এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াই তবে আপনার মত করে নার্সারিতে যাওয়া হয় না আমিও আসলে ফুল গাছ কেনার একটা চিন্তাভাবনা করছি অবশ্যই কিছুদিনের মধ্যে চেষ্টা করব আপনি একটা ফুল গাছ নিয়েছেন যার দাম নিয়েছে ২৫০ টাকা অসংখ্য ধন্যবাদ বিকেলবেলা ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।