রাতের আনন্দময় স্মৃতি
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
আবার অনেকদিন পর বন্ধুবান্ধবরা মিলে একসাথে হলাম, এবং আড্ডা মারার জন্য । কেননা আমরা যখন আড্ডা মারি ২ ঘন্টা তিন ঘন্টার মতন আড্ডা মারা হয়। কখন যে সময় চলে যায় সেটা বুঝতেই পারি না, আমার এক বন্ধু আরিফ আমাকে দুপুরবেলায় ফোন দিয়েছে বলল! সন্ধ্যার আগে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য। আজকে সবাই বলে এক সাথে দেখা করবে! কি জেনো গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।
কেননা বন্ধুবান্ধব আমাকে আগেই বলে রাখে, আমি আবার সময় মতন সব জায়গায় উপস্থিত হতে পারি না,এটা হয়তো আমার একটা ভদ অভ্যাস!
আমি চিন্তা করলাম আজকে যেহেতু সবাই আবার একসাথে হব! তাহলে একটু তাড়াতাড়ি করে বাসা থেকে বের হওয়া উত্তম। এই ভেবে আমি সন্ধ্যার আগেই অপেক্ষা করছিলাম,এর মধ্যেই আমার আরেক বন্ধু রাজু আমাকে ফোন দিল বলল, বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য।
আমরা কয়েকজন বন্ধু বান্ধব মিলে আড্ডার স্থানে উপস্থিত হই, এবং আমার বন্ধুবান্ধবরা যেই খানে আড্ডা মারে, ওইখানে ওরা প্রতিনিয়তই আগুন ধরায়! আজকেও এর ব্যতিক্রম নয় আগুন ধরানোর জন্য সবাই কার্ড ,খুরী এগুলো খোঁজাখুঁজি করছে। আজকে ওদের আবার খুরী শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনিতেও শীতের প্রভাবটা আজকে বেশি, কেননা খোলা স্থানে শীতের প্রভাবটা একটু বেশিই হয়।
|
---|
|
---|
এখন তো আমাদের কাছে, কোন খড়ি বা কার্ড কোন কিছুই নেই আগুন ধরাবো কিভাবে। পরে সবাই চিন্তা করলো, ওরা যেই খানে আড্ডা মারে পাশেই একটা ফ্যাক্টরি রয়েছে। আমরা কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব মিলে ওই ফ্যাক্টরিতে গেলাম এবং ফ্যাক্টরিতে যেয়ে দেখি! ফ্যাক্টরি তালা মারা কোন মানুষই নেই। ফ্যাক্টরির পাশে একটা চায়ের দোকান ছিল, ওই চায়ের দোকানে বসে ছিল ফ্যাক্টরির এক জন কর্মচারী। আমাদেরকে বলছে ভাই কি দরকার। আমরা সবাই বললাম আমাদের কিছু কাঠ, খুরী, দরকার, আমার কাছে মনে হল; লোকটা অনেক ভদ্র একটা মানুষ সে আমাদের নিয়ে ফ্যাক্টরিতে গেল।
পরে আমরা সবাই ফ্যাক্টরিতে যেয়ে কার্ড সংগ্রহ করলাম। এবং কার্ডগুলো সবাই একসাথে মিলেমিশে হাতে-হাতে করে নিয়ে আসলাম মনে হচ্ছিল! আমরা সবাই পিকনিক করবো এমন একটা বিষয়।
আমরা সবাই মিলে আগুন ধরাইলাম! কিছুক্ষণ পর আমার আরেক বন্ধু কিছু আলু নিয়ে আসলো! এই আলু দেখে আমরা সবাই হাসাহাসি করলাম, আর কিছু পাইলি না তুই! আলু আনলি একটা মুরগি আনতি মুরগি দিয়েবারবিকিউ করতাম। কিন্তু যাই বলি না কেন ছেলেটার মনটা অনেক ভালো! আড্ডা মারার জন্য সে অনেকগুলো আলু আনলো, সবাই মিলেমিশে আলু সিদ্ধ করলাম।
মনে হচ্ছিল এই যেন ছোটবেলার পিকনিকে ফিরে গেলাম। আগে যখন বন্ধুবান্ধব সবাই মিলে পিকনিক করতাম। তখন বাসার থেকে আম্মার অগোচরে এই আলু, চাল, ডাল, ইত্যাদি নিয়ে আসতাম পিকনিক করার জন্য।
আলোগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে, অনেকদিন পর এই রকম ভাবে আগুনে পরে আলু সিদ্ধ করে খেলাম
এবং অনেক আনন্দই করলাম, প্রায় অনেকটা সময়! আমি এই দৃশ্যটা স্মরণ রাখার জন্য কয়েকটা ছবি উঠাইলাম তাদের সাথে।
আমি বন্ধু-বান্ধবের সাথে সব সময় ঘুরতে বের হই না! আমি মাঝে- মাঝে হঠাৎ করে ঘুরতে বের হই কেননা আমার বাসা ফ্যামিলিলে বিভিন্ন রকমের কাজ থাকে। সব সময় হয়তোবা আড্ডা মারলে এই মজাটুকু পেতাম না, মাঝে-মাঝে আসি এই মজাটুকু পেয়ে থাকি!
আমি শুকরিয়া করি মহান আল্লাহর কাছে, তিনি আমাকে আরও একটি দিনের বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে, সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
![ezg1.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmU1rb3dJr4hiqCBmkiWnDrC3jcFYCq7UG8gCLii1CAfKP/ezg1.gif)
আপনার লেখা পড়ে মনে হলো যেন একসময় বন্ধুদের সাথে আড্ডার মুহূর্তগুলোতে ফিরে গেলাম। সেই বন্ধুত্বের সহজ-সরল আনন্দ, শীতের রাতে আগুন জ্বালিয়ে আলু সিদ্ধ খাওয়া এবং ছোটবেলার পিকনিকের স্মৃতিগুলো হৃদয়ে ছুঁয়ে যায়। বন্ধুত্বের এমন মুহূর্তগুলো জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, যা সবসময় আমাদের মনের মধ্যে তাজা থাকে।
আপনার এই সুন্দর মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জীবনের প্রতিটি দিন এমন আনন্দ ও বন্ধুত্বে পূর্ণ হোক। আল্লাহ আপনাকে এবং আপনার বন্ধুদের সবসময় ভালো রাখুন।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য
বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো একটু স্পেশাল হয়ে থাকে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন আসলে আপনারা আড্ডা দেয়ার জন্য আলু নিয়ে এসেছেন তাতে কোন সমস্যা নেই সবাই মিলে মজা করে খেয়েছেন এর চাইতে বড় পাওয়া হয়তোবা আর কিছুই হতে পারে না আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধুদের সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য