শহরের হারিয়ে যাওয়া বাজারে একদিনের অভিযান 🥦
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
আজও প্রতিদিনের মতো সকাল ৯টায় ঘুম থেকে উঠলাম, উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা তৈরি করতে হল। কারণ, ছোট বোন অসুস্থ, আর বাবা-মা নেত্রকোনা খালার বাসায় গিয়েছে। তাই, আজকের সকালটা নিজের নাস্তা নিজে তৈরি করলাম। আমি ভাতের পাগল, ফ্রিজে কিছু ভাত ছিল। সেগুলো পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কুচি করে সব কিছু মিশিয়ে গরম করে নিলাম। এই ভাত কে আমরা সাধারণত বলে থাকি বাগাইরা ভাত, কিন্তু অন্য কোনো নাম থাকলে আমি জানি না। নাস্তা খাওয়ার শেষ মুহূর্তে আমার বন্ধু ফোন দিল।
ফোনে বলল, সে আজ কাওরান বাজারে যাবে। কারণ, রমজান মাসে খেজুরের ব্যবসা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর, তাই খেজুর কিনতে কাওরান বাজার যাবে, এবং ওজন মাপার মেশিনও কিনবে। আমি তো কখনো কাওরান বাজারে যাইনি, তাই আমি সাথে-সাথে বলে ফেললাম ঠিক আছে যাব। কাওরান বাজার সম্পর্কে একটু জানিয়ে দিই-এটি ঢাকা শহরের বড় একটা পাইকারি বাজার, যেখানে সব ধরনের শাকসবজি এবং বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাইকারি মূল্যে কেনাবেচা হয়। গ্রাম থেকে কৃষকরা তাদের শাকসবজি, ফল ইত্যাদি নিয়ে এখানে আসে।
সকাল ১০টার দিকে সাদ্দাম আমার বাসায় চলে আসলো, এবং ১০:২০ নাগাদ আমরা দুই জন কাওরান বাজারের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলাম। বাজারে এসে দেখলাম রাস্তার কাজ চলছে, তাই গাড়িতে উঠা সঙ্গে-সঙ্গে সম্ভব হয়নি। প্রায় বিশ মিনিট অপেক্ষা করার পর একটা বাস পেলাম, যেটি সরাসরি কাওরান বাজার চলে যাবে। প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে আমরা কাওরান বাজারে পৌঁছালাম। রেলগেটে এসে দেখি একটি ছোট্ট দোকান বটগাছের নিচে। দোকানটি দেখে খুব ভালো লাগলো এবং গ্রাম্য দোকানের মতন কিছুটা আমার কাছে মনে হল। পরে আমরা দুই জন মিলে ওই বট গাছের চায়ের দোকানে, চা খেলাম এবং বাজারে প্রবেশ করলাম।
|
---|
|
---|
বাজারে ঢুকে দেখি, বিশাল-বিশাল শাকসবজির আড়ত, আর আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক টুকরো ফুলকপি। আগে শুধু সাদা ফুলকপি থাকত, এখন দেখি বিভিন্ন রঙের ফুলকপি বাজারে দেখা যাচ্ছে, যার কালার সাদা ছাড়াও সবুজ এবং হলুদ। নতুন এই সব ফুলকপি দেখে খুব ভালো লাগলো। আর নানা ধরনের মানুষে ভরপুর ছিল বাজারে।
বাজারে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরার পর, আমার পা ব্যথা করতে শুরু করল। বাজারটা বিশাল, আর যেদিকেই তাকাচ্ছিলাম, সেদিকেই বাজার। পরে আমরা একটি দোকানে গিয়ে ৪০ কেজি পর্যন্ত ওজন মাপার মেশিন কিনলাম। যার দাম পড়ল ১৮০০ টাকা! এরপর খেজুরের দোকানে গেলাম, সেখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেজুরের দাম জানতে চাইলাম।
আমাদের দেশে এখনো খেজুর উৎপাদন খুব বেশি হয় নাই। তাই খেজুরের দাম অনেক বেশি। মরিয়ম কালো খেজুরের ৫ কেজি দাম চায় ৩৫০০ টাকা। দাম দেখে কিছুটা অবাক হলাম, কিন্তু আমার বন্ধু আমাকে বলল, সে এই খান থেকে খেজুর কিনবে না। সে ঢাকা অন্য একটি পাইকারি বাজার, বাদামতলী থেকে খেজুর কিনবে। বাদামতলী বাজার পুরান ঢাকার সদরঘাটের কাছে অবস্থিত।
অবশেষে, খেজুর না কিনে কিছু শাকসবজি ক্রয় করলাম যেমন বড়ই, শিম, বেগুন, দুনিয়া পাতা ইত্যাদি কিনে বাসায় ফিরে এলাম। শাকসবজির দাম ছিল একেবারে সস্তা, যা কল্পনাতীত।
আজকের এই ছোট্ট ঘোরাঘুরির গল্প দিয়েই, আমার পোস্টটি শেষ করলাম। যদি কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে, তবে সবাই দয়া করে ক্ষমা করবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
যদিও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কাওরানবাজার যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে আর সেই পণ্যগুলো কেনা হয়নি। মোটামুটি দুই ভাই ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। আপনার আজকের সারাদিনের কার্যক্রম দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য
ছোট বোন অসুস্থ আর বাসায় কেউ নেই তাই নিজের নাস্তা নিজে তৈরি করেছেন।। যদিও আপনি হাতের পাগল তাই ফ্রিজে থাকা ভাতগুলো সুন্দরভাবে পর্যবেক্ষণ করে নিয়েছেন।।
আর হ্যাঁ আপনার বন্ধু রমজান মাসে খেজুরের ব্যবসা করবে এটি সত্যি অনেক ভালো কারণ বর্তমানে চাইতে রমজান মাসে খেজুরের দাম অনেক বৃদ্ধি পায়।। অবশেষে কাওরান বাজারে গিয়েছিলেন আর যা যা প্রয়োজন সবকিছু ক্রয় করেছেন।।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই
আপনি একেবারেই ঠিক বলেছেন ঢাকা কাওরান বাজার হচ্ছে ঢাকা শহরের সবচাইতে বড় বাজার যেখানে ক্ষুদ্রতম জিনিস পর্যন্ত পাওয়া যায় আমি একবার গিয়েছিলাম কারণ বাজারে এত পরিমাণে ভিড় ছিল কি আর বলবো কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর আমি হাপিয়ে উঠেছিলাম।
বর্তমান সময়ে খেজুরের মূল্য অনেক বেশি যেহেতু রমজান মাস আসতেছে আরও বেড়ে যাবে বলে আমার ধারণা আপনার বন্ধু ঠিকই করেছে অন্য জায়গা থেকে খেজুর নেবে তবে আপনারা বেশ কিছু কেনাকাটা করেছেন যেটা দেখে ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ বাজারে হারিয়ে যাওয়ার গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।