বেলা শেষের গল্প
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
বেশ কিছুদিন ধরে ইফতারির পর শরীরটা একদমই ছেড়ে দেয়। তখন আর ঘর থেকে বের হতে মন চায় না। তবে আজকে, মনে হল শরীরটা একটু সুস্থ লাগছে, তাই সন্ধ্যায় ইফতারি করে মাগরিবের নামাজটা পড়ে তারপর বাহিরে যেয়ে বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডা দেব। এই সব চিন্তাই সারাদিন করেছিলাম।
বিকালের কিছু কথা শেয়ার করি। আজ বিকাল বেলা ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমার ভাতিজি এবং এলাকার কিছু বাচ্চা ছেলে পেলে মিলে খেলা করছে। খেলার সম্পর্কে আগে একটু বলে রাখি । খেলাতে একজন চোর হিসেবে বৃত্তের মাঝখানে দাঁড়ায়, আর চারপাশের মানুষ তাকে থাপ্পর দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে। ওই বৃত্তের মধ্যে দাঁড়ানো ব্যক্তি একে- একে বৃত্তের বাহিরের সবাইকে টেনে নিয়ে আসে, আর দলের সংখ্যা বাড়ে। কিন্তু খেলাটির নাম ঠিকমত মনে করতে পারলাম না। তবে, আমি যখন ভাতিজিকে জিজ্ঞাসা করলাম, তারা বলল পিট ফাটান তিস খেলা। আপনারা যদি কেউ এই খেলাটির নাম জানেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
বিকেলের প্রায় পুরো সময় আমি তাদের খেলা দেখছিলাম, বেশ মজাদার ছিল। এর পর, আমি গেলাম কবুতরের খাঁচার কাছে। আমার সবচেয়ে প্রিয় কবুতর হল বিউটি হোমা। তার নাম যেমন সুন্দর, তেমনি দেখতে অনেক সুন্দর। কবুতর প্রজন্মের সবচেয়ে সুন্দর কবুতর হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে এই বিউটি হোমাকে, তাছাড়া আরও আছে পৃথিবীতে অনেক সুন্দর-সুন্দর কবুতর !
এর মধ্যে মাগরিবের আজান পড়ল, আর আম্মা ডাক দিল ইফতারের জন্য। তাড়াতাড়ি ইফতার করে মাগরিবের নামাজটা পড়ে বাসা থেকে বের হলাম। আজ দুপুরে এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলেছিল, সে সন্ধ্যায় আড্ডা দিতে আসবে। সে চাকরি করে, তাই খুব একটা সময় দিতে পারে না, কিন্তু আজ সন্ধ্যার সময় একসাথে আড্ডা দিবে এই পরিকল্পনা।
পরে, আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি চায়ের দোকানে জমজমাট আড্ডা দিলাম। আড্ডার মাঝখানে হঠাৎ আমার বন্ধু বলল, সে কবুতর কিনতে চায়। সে আমার মতো কবুতর ভালোবাসে। তাই, আমি তাকে যেন সাহায্য করি। আমি অনেক বছর ধরে কবুতর পালন করি, তাই কবুতরের জাত সম্পর্কে জানি। আমার বন্ধু হাই ফ্লাই কবুতর কিনতে চায়, যেগুলো আকাশে ৪-৫ ঘণ্টা উড়তে পারে, এবং কিছু ফেন্সি কবুতরও কিনতে চায়।
তারপর, আমরা একটি কবুতরের দোকানে গেলাম। কিন্তু হাই ফ্লাই কবুতর নেই এবং দামও খুব বেশি। আমি তাকে বললাম, রবিবারে টঙ্গীর হাটে কবুতর কেনাবেচা হয়, সেখান থেকে কিনলে ভালো কবুতর পেতে পারবি।
আমার কথা শুনে বন্ধু সিদ্ধান্ত নিল, হাট থেকে কবুতর কিনবে। এরপর, আমরা ফিরে এলাম। এলাকায় একটু ঘুরে দেখলাম। সময়টা বেশ ভালো যাচ্ছিল, তবে হঠাৎ করে দেখলাম, ঘড়ির কাটায় সাড়ে ৯টা বেজে গেছে। আমি বন্ধুকে বললাম, সারাদিন রোজা রেখেছি, এখন আর ঘুরাঘুরি করতে মন চাচ্ছে না।
বন্ধুকে বিদায় দিয়ে বাসায় চলে এলাম। এসে দেখি আব্বু-আম্মু ঘুমিয়ে আছেন, তারপর আমি আমার ঘরে চলে আসলাম। আজকের বেলা শেষের সময়টা এমনভাবেই শেষ হয়ে গেল।
আমি শুকরিয়া করি আল্লাহর কাছে সে আমাকে আরেকটি দিনের বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছে।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ হাফেজ।
আসলে সারাদিন রোজা থাকার পরে শরীরটা অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে এটাই স্বাভাবিক,, তবুও সব সময় যে শরীর দুর্বল থাকে এটা কিন্তু নয়,, একটা সময় সুস্থ হয়ে ওঠে এবং আজকে আপনার শরীরটা অনেক ভালো আছে এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো,, এবং সারাদিন পরে ইফতারের শেষে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া সত্যিই একটি আনন্দ বিষয়,, এবং আপনার ভাতিজারা অনেক সুন্দর একটি খেলা করেছিল আসলে ওই খেলার নামটি আমার জানা নেই,, তবে খেলাটি দেখেছি বলে আমার মনে হয়,, যাইহোক সুন্দর একটা লেখা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য ভালোবাসা রইলো 💕