Better Life With Steem | The Diary game ,june , 20 , 2025।
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমি শুরু করছি আমার আজকের দিনের কার্যক্রম আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।। প্রতিদিনের তুলনায় আজকে একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছি, আর তার কারণ হলো সকাল বেলা বেশ বৃষ্টি হয়েছিলো আর এই বৃষ্টিতে খানিক টা ঘুম ভালো হয়েছিলো তাই একটু দেরিতে উঠেছিলাম।
এরপরে, উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা তৈরি করেছিলাম।যেহেতু আবহাওয়া ঠান্ডা ছিল তাই আজ একটু চা খেয়েছিলাম, এরপরে নুডুলস রান্না করেছিলাম আমি এবং আমার মেয়ে আজ সকাল বেলা নুডুলস দিয়ে নাস্তা করেছি। অন্যদিকে শাশুড়ি আম্মা, গতকালকের রাতে খাবার ছিল ভুনা খিচুড়ি সেটাই খেয়ে নিয়েছিলো।
এরপর আমি একটু ঘর গোছানো কাজ করি এই কাজ শেষ হবে না কোনদিন ও যতদিন আমি বেঁচে আছি। আর যে ঘরে ছোট বাবু আছে সে রুমের অবস্থা তো বলারই দরকার নেই,, হ য ব র ল এক কথায়!সকালে উঠে যত এই গুছিয়ে রাখেন ২ ঘণ্টা পরে আবার একই অবস্থা হয়ে যাবে।।
আর ইদানিং মেয়ের একটা সমস্যা হচ্ছে সে বিছানায় ওঠে সবকিছু করবে লেখাপড়া, থেকে শুরু করি খাওয়া দাওয়া, খেলা করা যেগুলো আরো বিরক্ত কর,, তবে কিছু বলার এবং করার নেই মা হয়ে এতটুকু সহ্য তো করতেই হবে। তাই কি আর করার ছেলে মেয়ে শুধু অগোছালো করবে, আর আমি গুছিয়ে রাখতে রাখতে জীবন শেষ।।
যাই হোক এর পরে দুপুরে রান্নার জন্য শাশুড়ি আম্মাকে একটু সাহায্য করলাম। আমাদের বিশাল এক উঠান আর এই উঠোনের এক কোণে কয়টা ডাটা শাক গাছ হয়েছে,তুলে ফেলানোর আগে একটু ছবি তুললাম এই গাছগুলো এমনিতেই হয়েছে, এরপরে তুলে পরিষ্কার করে কেটে ধুয়ে দিলাম রান্নার জন্য, এর সাথে ছিল চিংড়ি মাছ রান্না,ও কই মাছের ঝোল এরপর শাশুড়ি আম্মা দুপুরে রান্নাটা শেষ করলো।
আর আমি অন্য দিকে বাচ্চাদের গোসল করিয়ে নিজেও গোসল করে নিলাম।এরপর একটু সময় নিজেকে আয়নায় দেখলাম কতদিন যে হয়ে গিয়েছে নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করানো হয় না,, এখন এত ব্যস্ত থাকি যে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখার মত সময় আমার হাতে একদম নেই ,,, কি হবে নিজেকে এই জীবনে এত ব্যস্ত রেখে মাঝেমধ্যে, এই প্রশ্ন নিজেকে নিজে করি কিন্তু এর উত্তর খুঁজে পাই না।।।
যাইহোক এরপর দুপুরে খাবার খেয়ে বেশ খানিক টা সময় রেস্ট নিয়েছিলাম, রেস্ট আর কি নেওয়া ওই তো বসে বসে মেয়ের জন্য একটা জামা কেটে নিয়েছিলাম, সেলাই করেছি মেয়ের জন্য বেশ অনেক দিন পরে মেশিন বসেছি,,আমার পার্টনার খুব শখ করে এই মেশিন টা কিনে দিয়েছিলো,যখন আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি আর এখনো আসছে তৃতীয় বর্ষের বেশ কয়েক বছর আগে, তার খুব শখ আমি তাকে একটা শার্ট বানিয়ে দিবো নিজের হাতে, বলা যায় চার বছরের মত হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো শার্ট বানানো শিখতেই পারিনি, কিন্তু এবার মনে মনে ভেবে নিয়েছি তাকে একটা শার্ট আমাকে গিফট করতেই হবে। যত কঠিন কাজই হোক না কেন আমরা চাইলে সবকিছু কে সহজ করে দেখতে পারি বা করতে পারি,।
এরপরে জামা তৈরি করতে করতে বিকাল হয়ে গিয়েছিলো,এরপর একটু কাজ করি সন্ধ্যার নাস্তা তৈরি করি, সন্ধ্যার পরে মেয়েকে পড়তে বসিয়েছিলাম সাথে নিজেও একটু পড়ার চেষ্টা করছিলাম, এইতো এভাবে কেটেছে আমার আজকের দিন তো সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।।

@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/8) Get profit votes with @tipU :)