Photo edited by canva
আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তবে, মনটা অনেকটাই খারাপ, গত পোস্টে শেয়ার করেছিলাম আমার মা এসেছে ঢাকায় আমাকে দেওয়ার জন্য, আজ সে আবার চলেও যাবে কালকে বাড়ি থেকে এসেছি, এতটা কষ্ট কেন জানি পায়নি, যতটা কষ্ট মা চলে যাবে বলে পাচ্ছি।
খুব সকালে আমার আম্মু ঘুম থেকে উঠে রান্না বান্না সম্পূন্ন করেছে,চলে যাবে তবুও বসে নেই গতকাল কে আসার পর থেকে কোথায় কোন জিনিস টা অগোছালো আছে। কোনটা পরিষ্কার করতে হবে, কোন বাটিটা ময়লা লেগে আছে, কোন কাপড় টা ধুইতে হবে। বাসার প্রত্যেক টা জিনিসে একবার হলেও হাত দিয়েছে কারণ, সে জানে আমি অসুস্থ চাইলেই সব কাজ এখন করতে পারি না। সত্যি মায়ের এই ভালোবাসার ঋণ হয়তো কোনদিন এই শোধ পারবো না, সন্তানের কষ্ট একমাত্র মা ছাড়া এই পৃথিবীতে কেউ বুঝেনা। সে যত বড়ই কাছের মানুষ হোক না কেন।
আজ সকালের নুডলস রান্না করেছিলো আম্মু সাথে ডিম সিদ্ধ ছিলো। সকালে খাবার খাওয়ার পরে আম্মু যাওয়ার জন্য সব কিছু গুছিয়ে দিলাম আমি। সত্যি কথা বলতে কাজ ঠিকই করছিলাম কিন্তুু এত বেশি খারাপ লাগছিলো যেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। বাস্তব জীবন টা বড় কঠিন মাঝে মাঝে আমরা এমন পরিস্থিতি সম্মুখীন হই যেটা মোকাবেলা করা সত্যিই অনেক কঠিন হয়ে পড়ে, তবুও কিছু করার নাই পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে সব কিছুই মেনে নিতে হয়।
একদিকে আমি মন খারাপ করছি অন্যদিকে আমার মেয়ে, কোন ভাবেই তার নানুকে ছাড়বে না। এর মাঝ দিয়ে সবকিছু করলাম, আম্মা দুপুরে খাবার খেয়ে ২ঃ০০ টার দিকে বের হবে, আজ রান্না করিনি দুপুরে কারণ ফ্রিজে কাচ্চি বিরিয়ানি ছিলো, তাই আম্মুকে গরম করে দিলাম সাথে আমিও খেয়ে নিলাম তবে, খাওয়া যেন কোনমতে এই ভিতরে যাচ্ছিল না।
আম্মুর দিক থেকেও কিছু করার নেই আজই তাকে যেতে হবে একদিকে স্কুলের ছুটি এনেছে দুই দিনের, অন্যদিকে আমার বড় মামা খুব অসুস্থ খুলনায় নেবি হসপিটালে ভর্তি। সেখানেও যেতে হবে আমার আম্মু হঠাৎ করে মামার এরকম খবর পেয়ে আমার আম্মু কিছুটা ভেঙ্গে পড়েছে।
তাই খাওয়া-দাওয়া শেষ করার পরে, আম্মু বেরিয়ে পড়েছে তাকে দিতে আমিও গেট পর্যন্ত গিয়েছিলাম,খুব খারাপ লাগছিলো এভাবে এসে চলে যাচ্ছে, কোথায় ও একটু ঘুরতে যেতে পারেনি তাকে নিয়ে, একটা দিন আমার বাসাতেও থাকতে পারলো না।
এই চলে যাচ্ছে জানিনা আর কবে দেখা হবে, যদিও আমার মা বলছে বারবার আবার আসবে আগামী মাসে, তবে মন টা কে কেন যেন কোনভাবে এই বোঝাতে পারছিলাম না,,এরপর আম্মুকে বিদায় জানিয়ে বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে আমার মনে হচ্ছিলো রুমগুলো একদম ফাঁকা হয়ে গিয়েছে খানিক টা সময় মন খারাপ করে বসে ছিলাম বারান্দায় গিয়ে।
এরপরে, মেয়ে কে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম, আমার আর ঘুম আসছিলো না তাই ফোনটা হাতে নিয়ে বসে পড়েছি। ভাবছি আজকে দিনের কার্যক্রম টা তুলেই ধরা যাক আপনাদের সাথে। কারন কাজে থাকলে নিজেকে অনেক টা ভালো রাখা যায়, সকল দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখা যায়।
তাই আমি সব সময় চেষ্টা করি যখন খুব বেশি খারাপ লাগে তখন কাজের মধ্য দিয়ে নিজেকে নিয়ে যাওয়ার, এতে কিছু তাহলে নিজেকে ভালো রাখা যায়। এরপরে মেয়ের সাথে বসে বসে খানিকটা সময় গল্প করলাম, চকলেট খেলাম, এই চকলেট টা ঘ্রান আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।
সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং পরিবারের সাথেই থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আপনার আম্মু আবারো আপনাদের বাসা থেকে গ্রামে ফিরে আসতেছে আসলে প্রিয় মানুষ যখন আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায় তখন কিন্তু অনেক বেশি খারাপ লাগে তাই হয়তোবা আপনার মেয়ে তার নানুর জন্য অনেক বেশি কান্নাকাটি করছে বাচ্চারা কিন্তু নানুর কাছে সবচাইতে বেশি আদর পেয়ে থাকে।
আপনার মা আজকে আপনাদের জন্য নুডুলস রান্না করেছে সাথে সিদ্ধ ডিম আসলে এই খাবারটা খুবই জনপ্রিয় আমি নিজে অনেক বেশি পছন্দ করি ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/6) Get profit votes with @tipU :)
ওয়ালাইকুম আসসালাম,
আপনার মায়ের প্রতি ভালোবাসা আর বিচ্ছেদের কষ্ট পড়ে সত্যিই মন ছুঁয়ে গেল। মা সব সময় সন্তানের জন্য যেভাবে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেন, তা কখনো শোধ করার নয়। মেয়ের নানুর জন্য আবেগ এবং আপনার ধৈর্য সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।
আল্লাহ আপনার মাকে সুস্থ রাখুন এবং তার ভাই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই প্রার্থনা রইলো। আশা করি, খুব শিগগিরই আপনার মায়ের সাথে আবার দেখা হবে। আল্লাহ হাফেজ।