চেনসো ম্যান ড্রয়িং
আমার বড়দের সকলকে প্রণাম জানাই। আমি গতকাল পোস্ট করতে পারিনি। এর কারণ হলো আমি তার আগের দিন ছবি আঁকতে পারিনি। শনিবার রাতে আমি ভেবেছিলাম ছবি আঁকবো। কিন্তু আমার পড়া থাকায় সেটা হয়ে ওঠেনি। এর পরে রবিবার সকাল থেকে আবার চাপ থাকে। রবিবারে আমার ড্রয়িং ক্লাস থাকে। তারপরে রবিবারে আমার এক ভাইপোর জন্মদিন ছিল। আমার পিসতুতো দাদার ছেলের জন্মদিন। তাই সেখানেও আমাকে যেতে হয়েছিল। এ কারণে আমি ছবি আঁকতেই পারিনি। অবশেষে গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতে দিদির অনেক বকুনি শুনে ছবি আঁকতে বসতে হলো । তাও আবার ঘুমোতে যাওয়ার আগে। যেহেতু আমি বেশিরভাগ সময় পিসির বাড়িতে ছিলাম। বাড়ি এসেই ছবি আঁকতে বসে গেছি।
বসার পর ভাবতে বসলাম কি আঁকা যায়, তারপর নিজের পছন্দের মতন একটি অ্যানিমে ক্যারেক্টার আঁকলাম। এই ক্যারেক্টার টির নাম হল চেনসো ম্যান । এই ক্যারেক্টারটিকে আমার খুব ভালো লাগে। তাই যেটা মাথায় আসলো সেটা নিয়েই বসে পড়লাম।
আমি এখন একা একাই ভিডিও করা শিখে গেছি। দিদি প্রথমবার সমস্তটা দেখিয়ে দিয়েছিল। দিদির ট্রাইপট আছে। আর দিদির দুটো ফোন। মায়ের ফোনের থেকে দিদির ফোনে ছবি ভালো ওঠে। তাই দিদির দুটো ফোনের মধ্যে একটি ফোন দিয়ে আমি ভিডিও করি। ট্রাইপট এর সাথে ফোন সেট করে দিলেই কত সুন্দর ছবি আঁকা যায়। তারপর এডিটিং টা করতে এখনো পারিনা। দিদি কবে শিখিয়ে দেবে তাও জানিনা। তাই সকালের দিকে দিদি আমাকে এডিটিং করে দিয়েছিল। তারপরে তো আমার স্কুল ছিল। দিদিও স্কুলে গিয়েছিল ট্রেনিংয়ের জন্য।
আমি স্কুল থেকে এসে খাওয়া দাওয়া করে একটু রেস্ট করলাম। আর তারপর পোস্ট দেখলাম। তাহলে এক এক করে সব কিছু শেয়ার করি ।
লিংক
আমার নিজস্ব কোন চ্যানেল না থাকায়, আমি দিদির চ্যানেল থেকে পোস্ট করছিলাম ভিডিওগুলো। কিন্তু আমার মায়ের ইউটিউব চ্যানেলটিকে আমি আমার নিজের চ্যানেল তৈরি করব। দিদি তাই মায়ের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকঠাক করে সেখান থেকে পোস্ট করে দিয়েছে।
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি মেকানিক্যাল পেন্সিলের সাহায্যে আমার ড্রয়িং খাতাতে হালকা হালকা করে ক্যারেক্টারের আউটলাইন করে নিচ্ছি।
দ্বিতীয় ধাপ
পুরো বডি এই ভাবেই করে নেব। পেন্সিলের কাজ হয়ে গেলে পরবর্তী ধাপে যাব।
আমাদের ফুল বডির আউটলাইন রেডি। এবার ক্যারেক্টার ফুটিয়ে তোলার জন্য ব্যবহার করতে হবে রং।।
তৃতীয় ধাপ
আউটলাইন বরাবর কালো যে কোনো পেন দিয়ে আমি আবার একে নিচ্ছি। যাতে ছবিটি হাইলাইট হয় ভালোভাবে।
চতুর্থ ধাপ
পুরো বডিটাই এভাবে কালো কালির সাহায্যে একে নেব আর একবার।
ষষ্ঠ ধাপ
এবার আমি মুখের জায়গাটুকু রং করা শুরু করছি। ধীরে ধীরে বডিতে রং করতে থাকবো। রং করার জন্য আমি ব্যবহার করছি রং পেন্সিল। আমি এখানে ডোম্স কোম্পানির ব্যবহার করেছি।
সপ্তম ধাপ
পরপর চারিদিকে রংগুলো করে নেব এভাবে। সাথে ফিনিশিং টাচ দিয়ে নিচ্ছি চারিদিকে। প্যান্টের কালো রংও করে নিচ্ছি।
ফাইনাল ছবি
আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেছে। দেখে যতটা সহজ মনে হচ্ছে সময় লেগেছে তার থেকে বেশি।ভিডিও দেখলে আরো ভালো ভাবে বোঝা যাবে।
আর এখানেই আজকের ছবি শেষ হলো। এই ক্যারেক্টারগুলো কেমন , তা নিয়ে একদিন ছবি আঁকতে আঁকতে বলবো। তবে যেকোনো ছবি আপনারা সাজেস্ট করতে পারেন। আমি আঁকার চেষ্টা করব। আজকে টাটা।
প্রত্যেকটা ছবি আঁকা খুব সুন্দর হচ্ছে। এই ছবি আঁকাটা খুব সুন্দর হয়েছে। সুন্দরভাবে প্রত্যেকটি ধাপ তুলে ধরেছো। এই ভাবেই আরো সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকতে থাকো।