"আমাদের বাসার ভাড়াটিয়া ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজন"

in Incredible India2 days ago
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।

আমি মাঝে নতুন আরেকটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি বিষয়টি হলো আমাদের বাসার ভাড়াটিয়া ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজন।

আমাদের বাড়ির পাশে সুতার একটি বড় কোম্পানি আছে সে কারণে আমাদের বাসা ভাড়া দেওয়া হয়। ওখানে কিছু ফ্যামিলি থাকে তার মধ্যে একটি ফ্যামিলির ,ছোট্ট একটি ছেলে থাকে ওখানে খুবই মিষ্টি এবং কিউট। ছোট মানুষগুলো আমার খুবই পছন্দ তাদের সাথে সময় কাটাতে আমার খুবই ভালো লাগে।

আমি যখন তাদের বাড়িতে যাই অনেক সময় কাটে তার সাথে। বেশি যাওয়া হয় না, ঐদিকে ফ্যামিলি থাকে আর কয়েকজন মেয়ে মানুষ থাকে লজ্জা ভয় আমি একা যায় না যদি যাওয়া হয় প্রয়োজন বা দরকার অনুযায়ী খোঁজখবর নেওয়ার জন্য।

ওই বাসায় গেলে সকলে ই খুবই আপ্যায়ন করার জন্য অধীর আগ্রহ থাকে সবার রুম থেকে একটু খাওয়াই লাগবে পানি হোক বা বিস্কিট বা অন্য কিছু। আমাদের বাসার ভাড়াটিয়া মানুষগুলো খুবই সুন্দর ব্যবহার মানুষগুলো ব্যবহার অনেক সুন্দর।

তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখার সুবাদে ওইখানকার এক রুমের ছোট্ট ছেলের ১৯-১১-২০২৪ তারিখে জন্মদিন। সেটার অনুষ্ঠান হবে পারিবারিকভাবে। একজন কোম্পানির কর্মচারীর যেরকম অনুষ্ঠান হতে পারে ।

pexels-photo-7180207.jpeg

Link:
এই উপলক্ষে সপ্তাহখানেক আগে থেকেই দাওয়াতের কথা বলে আসছে যাওয়ার জন্য। আব্বু যাবে না আমির আম্মু যাব তাই আম্মু বলে দেই আমরা যাব কিন্তু সন্ধ্যার দিকে যেতে পারবো সময় দিতে পারবো।

বাবুর আম্মু সন্ধ্যার কথা শুনে হাসিমুখে বলে ওঠে, জন্মদিনের অনুষ্ঠান সন্ধ্যায় হবে, বাবুর আব্বা সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত অফিসে থাকবে। অফিস থেকে আসার পর কেক আর বিভিন্ন কিছু নিয়ে আসবে আগেই রান্না করা হয়ে যাবে শুধু সেগুলো আসার পর কিনবে।

তারা দাওয়াত দিয়ে চলে যায় দুইদিন পর আসে মনে করে দেওয়ার জন্য। যেদিন প্রোগ্রাম , এর আগের দিন আবার আসে আমাদের বাড়িতে একটা প্রয়োজনীয় আসায় আবার মনে করে দেয়।

আমি উত্তর বলে উঠি আমরা যাব চিন্তা করার কোন কারণ নাই। সন্ধ্যা সময় দেখবেন আপনাদের বাসায় আমরা হাজির হয়ে গিয়েছে। হাসিমুখে আমাদের বাড়ি থেকে চলে যায়। অনুষ্ঠানের দিন মুরগিকে খাদ্য দেওয়ার সময় আম্মু বলে ওঠে আজকে তো জন্মদিনের অনুষ্ঠান কি দেওয়া যায়।

IMG20241119180822.jpg

আব্বু বলে আমি টাকা দিব তোমার যা ইচ্ছা তা কিনে নাও। আমার হাতে হাজার পনেরশো টাকা দড়ি দিয়ে বলে সুন্দর একটি গিফট নিয়ে আসো যেটা দেখে বাবুটা অনেক খুশি হবে। আমি আসরের নামাজ পড়ে ভালুকা উদ্দেশ্যে রওনা দেই গাড়িতে বসে চিন্তা করি কি নেওয়া যাই। বড় একটা শপিং মলে ঢুকে, দুই দোকান দেখেই চোখে পড়ে পুতুল ‌।

IMG20241119180824.jpg

পুতুলের একটি দোকানে গিয়ে অনেকগুলো পুতুল দেখার পর মিডিয়াম সাইজের একটি পুতুল ক্রয় করে। এত বড় পুতুল কোন বেগ দেওয়া হয় নাই হাতে করে নেওয়া লাগবে। এখন গিফটের জিনিস দেখে ফেললে তো সমস্যা।

IMG20241119180741.jpg

এখানে একটি হাসির বিষয় আছে যেটা আমার প্রথমে হাসি ভাবে আম্মুকে ভুলতে হয়েছে। সেটা হলো আমাদের পোল্ট্রি ফার্মের খাদ্যের বস্তা টা ভালো করে ধুয়ে ফেলতে বলি ফোন দিয়ে।

বাড়িতে বড় পুতুল নিয়ে আসার সকলেই দেখে তো অবাক এত বড় পুতুল কেমনে আনলে। আম্মু বলে উঠি দাওয়াতে গেলে এত বড় পুতুল দেওয়া লাগে ছোট বোতল দিলেই তো চলে ‌। আম্মুকে বলি যেরকম বাজেট দিয়েছে সেরকমই তো কাজ করেছি আমি। বাজেট কম কাজও কম হতো। আম্মু আর কোন কথা না বলে আম্মুকে বলি বস্তা রেডি করে ফেলেছ। আম্মু আমাকে ধমক দিয়ে বলে বস্তা দিয়ে কি করবি দাওয়াত খেতে যাবি এর ভিতরে খাবার নিয়ে আসবি।

আম্মুকে বলি আমি দেখো কি করি আমি, ওই পুতুলটা বস্তার ভিতর ভরে দাওয়াত খাওয়ার উদ্দেশ্যে আমি আর আম্মু আমাদের ওই বাসায় চলে যাই। এবং এটা সবাই দেখে অবাক বস্তা করে কি নিয়ে এসেছো সবাই দেখার জন্য আগ্রহী ওইখানে অনেক আশেপাশের মহিলা কোম্পানির। মেয়েরাও আছে, আমি যখন দিব তখনই তো আপনারা দেখতে পাবেন এর আগে দেখা যাবে না।

IMG20241119180624.jpg
গিফটের পুতুল

কেক কাটার পর যখন উপহারটা বের করলাম সবাই দেখে তো অবাক বাচ্চারা দেখে অনেক অনেক খুশি হলো। অল্প টাকার মধ্যেও অনেক খুশি কিনে আনা যায়।

আজকের পোস্ট এই পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

Sort:  
Loading...
 yesterday 

আপনাদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া র ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে গিফট কেনাকাটা মুহূর্তগুলো খুব ভালোভাবেই আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করছেন।

এত বড় একটি পুতুল গিফট করছেন যেটা দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি সাধারণত এমন বড় বোতল কাউকে দিলে এসে খুশি হয়ে যাবে।