Better life with steem || The Diary Game || 16 January 2025 ||

আমি আপনাদের মাঝে আমার ফেলে আসা একটি দিনের স্মৃতি আপনাদের মাঝে পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরতে চলে।

আজকে সকালটা শুরু হয় অন্যভাবে,অনেকদিন পর সকালটা শুরু হলো আব্বুর ঘুম থেকে ডেকে তুলে, পরে বলতে থাকে ভালুকা বাজারে যাচ্ছি টাটকা বড় মাছ কেনার জন্য সকাল সকাল বাজারে না গেলে ভালো টাটকা বড় মাছ পাওয়া যায় না, গতকাল রাত্রে আমাকে এই কথাগুলো বলতো কিন্তু আমার মাথা ব্যাথার কারণে বলতে পারে নাই ,তাই আজকে সকাল বেলায় আব্বু আমাকে বলল মুরগির খাদ্য টা আজকে দিয়ে দিও।

এ কথা বলেই আব্বু চলে গেল ,আমি আর শুয়ে থাকতে পারলাম না তাড়াতাড়ি উঠে প্রথমে কোয়েল পাখিদের খাবার দিয়ে মোটর থেকে উঠানো নরমাল পানি দিয়ে আজকে পোল্ট্রি ফার্মে চলে আসি একটু তাড়াতাড়ি, আমি আগে প্রথমে মুরগির পানি পাইপ পরিষ্কার করার মাঝেই আমাদের কর্মচারী একজন ভাই চলে আসে।

ভাই খাদ্য রেডি করতে থাকে আমি পানি পাইপ গুলো পরিষ্কার করতে থাকি, পানির পাইপ গুলো পরিষ্কার করে আমি খাদ্য দিতে থাকি দুজন মিলে খাদ্য দেওয়া শেষ করে আমি বাড়িতে চলে আসি খাদ্যের মিহি গুড়া দিয়ে আমার শরীরে কাপড়ে ভরে গেছে এটা পরিষ্কার করে ফ্রেশ হয়ে।

সকালে হালকা কিছু খাবার খেয়ে, বাহিরে রোদ উঠতেছে আবার অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে, পাখিদের সাথে সময় কাটানোর জন্য চেয়ার নিয়ে বসে থাকি, সকালে খাবার হওয়ার আগ পর্যন্ত এখানেই বসে থাকি খাবার খাওয়ার জন্য আম্মু এসে ডাক দিয়ে চলে যায় আম্মুর পিছনে পিছনে চলে আসি, এসে দেখি আব্বু বাড়িতে চলে এসেছে দুঃখজনক বড় মাছটা দেখতে পারলাম না কাটাকাটি করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখছে। সকালে খাবার খাওয়ার জন্য।

সকালের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, বাহিরে রৌদ্রে দাঁড়িয়ে থাকি মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, মোবাইল চালাতে আর ভালো লাগছিল না তাই ছোট্ট সদস্যর সাথে সময় কাটানোর জন্য বিল পারে চলে আসি।

এসে দেখি আমাদের দুজন কর্মচারী ভাই শিং মাছের পুকুর থেকে একটি হাঁস উঠানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিং মাছের পুকুরে ছোট ছোট পোনা মাছ আছে এখনো তাই কোনো হাঁস নামলে সেগুলো আবার খুঁজে খেয়ে ফেলে, পুকুরে চারপাশ নেট দিয়ে বেড়া দেওয়ার পরেও কিভাবে যে হাঁস গুলো নেমে যায় ।

তাদের দুজনের সাথে আমিও যোগদান করি তিনজন মিলে হাঁস উঠানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা চালানোর পরে সফল হই। যার হাঁস তাদেরকে আমি আমাদের শিং মাছের পুকুরে ডাক দেই ও বুঝিয়ে বলি পরের বার হাঁস নামলে হাঁস আর
ফেরত যাবে না এটাই লাস্ট টাইম।

হাঁসের মালিকের সাথে আমিও আমাদের বাড়িতে দিকে চলে আসি বাড়িতে আসতেই মনে পড়ে যায় কোয়েল পাখিদের সকালে তো তাড়াহুড়া করে খাদ্য দেওয়া হয়েছিল, পরে তো আর খাদ্য দেওয়া হয় নাই তাই ওদের খাদ্য, আছে কি নেই তা দেখতে পাখিদের স্থানে চলে আসি।

খাদ্য কিছু পাত্রে আছে আর কিছু কিছু পাত্রে শেষ তাই সকল পাত্রে আবার খাদ্য আর পানি দিয়ে, বাড়ি এসে পোল্ট্রি ফার্মের চাবি নিয়ে ডিম তোলার জন্য চলে আসি, ডিম তুলা শেষ করে বাড়ি এসে গোসল করে, রোদ্রে দাঁড়িয়ে থাকি মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।

দুপুরে খাবার খেয়ে কোয়েল পাখিদের জায়গা এসে রোদ্রে দাঁড়িয়ে থেকে তাদেরকে খাবারগুলো নাড়া চড়া করে দিয়ে আব্বুর সাথে পোল্ট্রি ফার্মে চলে আসি পানি দেওয়ার জন্য প্রতিবারের মতোই পানির
পাইপ পরিষ্কার করে মোটর চালু করে পানি দিয়ে দিয়ে।

বাড়িতে আসার পথে ছোট কাকি ডাক দেই তাদের ফার্মে একটি লাইট লাগানোর জন্য, ছোট বাচ্চা একটি ফার্ম থেকে আরেকটি ফার্মে ঢোকা উচিত না, দূরত্ব বজায় রাখা উচিত, জীবনু মুক্ত স্প্রে করে লাইট লাগিয়ে।

বাড়ি এসে ফ্রেশ হয়ে বিকেলবেলা হাটতে বের হই। অল্প জায়গা মধ্যেই ঘুরা ঘুরি করে , লাইট দেওয়ার সময় হয়ে গেলে পোল্ট্রি ফার্মে লাইট গুলো দিয়ে বাকি ডিমগুলো তুলে কোয়েল পাখিদের স্থানে চলে আসি ,

খাবারও পানি দিয়ে, লাইট জ্বালিয়ে পর্দা তিন সাইট দিয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি, ফ্রেশ হয়ে আমার রুমে আসতেই আম্মু এসে বলে নানু বাড়ি থেকে ফোন দিয়েছিল আম্মুর ফোনে, নানু কল পাড়ে পড়ে গিয়ে কোমরে ব্যথা পাইছে সেটা দেখার জন্য আম্মু সন্ধ্যাবেলায় যাবে।

রেডি হয়ে আমি আর আম্মু নানু কে দেখার জন্য তাদের বাড়িতে চলে আসছি, এসে দেখি নানু বিছানায় শুয়ে আছে আর বাকিরা চারপাশ বসে বসে গল্প করতেছে আমাদেরকে দেখেই সবাই খুশি হয়ে যায়।

আমি বসেই নানুর কাছে বিস্তারিত জানতে পেয়ে খুবই দুঃখ লাগলো। অনেকদিন পরে নানু বাড়ি গিয়েছি তাই আর আসতে একটু দেরি হবেই অনেক কথা জমে আছে মা ও মেয়ে রাত ৯ টা পর্যন্ত ওদের কথা চললে নানু বাড়ি থেকেই রাত্রের খাবার খেয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসি।

ফ্রেশ হয়ে আমি আমার রুমে ঘুমানোর জন্য চলে আসি, আজকে পোস্টে পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন ।।

আল্লাহ হাফেজ