"দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ডাক্তার সিরিয়াল পেয়ে ডাক্তার দেখানো"
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। |
---|
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। |
---|
আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটা পোস্ট শেয়ার করতে চলে আসলাম।
সবচেয়ে ভালো একটি ডাক্তার দেখানো ও তার অভিজ্ঞতা নিয়ে আজকে পোস্টে টি লেখা, পোষ্টের বিষয়: দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ডাক্তার সিরিয়াল পেয়ে ডাক্তার দেখানো।।
আমি হাসপাতালে রোগ সনাক্ত হওয়ার পর বাড়িতে থেকে আসার পর থেকেই অনেক দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য ভালো বড় একটি ডাক্তারের খোঁজাখুঁজি চলছিল দীর্ঘদিন খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে একটি ডাক্তার পাওয়া যায়।
ডাক্তার টা মূলত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বাত ব্যথা বিভাগীয় প্রধান।এটি ১৫ দিন পর পর একবার আমাদের ময়মনসিংহ আসে একদিন সারাদিন থেকে তারপর আবার চলে যাই।
এই ডাক্তার একটি মূলত একদিনে ১০০ উপরে রোগী দেখেন সারা দিনে ।আমার সিরিয়াল ছিল ৮২ নাম্বার অনেক পরে থাকাই তাই আব্বু। সিরিয়াল যে মেন্টেন করে তাকে ৫০০ টাকা দিয়ে ছয় নাম্বার সিরিয়ালে নিয়ে আসে।
৬ নাম্বার সিরিয়াল থাকাই সকাল সকাল বের হয়ে পড়লাম আমি আব্বু আর আমার মামা তিনজন মিলে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চলে আসি ৯:৩০ মধ্যেই উপস্থিত হই কেবলমাত্র ডাক্তারের অ্যাসিস্ট্যান্ট গুলা চলে এসেছেন আর কতগুলা ওষুধ কোম্পানির লোক আসছে ।
![]() |
---|
সকাল দশটা বাজে ডাক্তার এখনো আসে নাই, ১১ টার দিকে ডাক্তার আসলে ডাক্তার আসলে প্রথমে রেস্ট এরপরে সমস্ত ওষুধ কোম্পানির সবগুলা একসাথে ভিড় করে ডাক্তারের রুমে।একজন করে দিয়ে আসে আর বাইরে বেরিয়ে এসে দেখে তো আমি অবাক এত ওষুধ কোম্পানির লোক
![]() |
---|
আমি আগে কখনো এতগুলো একসাথে ওষুধ কোম্পানির লোক দেখি নাই।৭০ কাছাকাছি হবে ওষুধ কোম্পানির লোকদের কাজ শেষ হলে এরপর পুরনো রোগীর কিছু রিপোর্ট বাকি ছিল দেখার সেগুলো দেখা শেষ করে।
![]() |
---|
রোগী দেখা শুরু করে আমার সিরিয়াল ছয় নাম্বার সিরিয়াল আসলে আমি ডাক্তারের কাছে চলে যাই আমি আর মামা আমার সমস্ত কথা খুলে বলি এবং সমস্ত রিপোর্ট দেখার পর আমার আরো কিছু পরীক্ষা দেয় রক্ত পরীক্ষা এক্সরে সে সমস্ত পরীক্ষাগুলো ওই পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের করানো জন্য সিদ্ধান্ত নেই ।
![]() |
---|
রক্ত ও এক্সরে করানোর পর ওদের কাছ থেকেই রিপোর্ট নেওয়ার সময়টা জেনে নেই ,রিপোর্ট কখন দিবেন বিকেল পাঁচটার দিকে রিপোর্ট হাতে পাবেন। দুপুর হয়ে গেছে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করা জন্য আমরা একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে তিনজন মিলে খাওয়া-দাওয়া করে ।
![]() |
---|
আব্বু নামাজ পড়তে চলে যাই আমি আর মামা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করি রিপোর্ট কাউন্টারে। বিকাল সাড়ে চারটার আগে রিপোর্ট হাতে পেয়ে যাই এরপর আবার ডাক্তার চেম্বারে চলে আসি রিপোর্টগুলো জমা দেওয়ার জন্য।
![]() |
---|
রিপোর্ট তাড়াতাড়ি জমা দিয়ে, আমরা অপেক্ষা করি। এই ডাক্তার টি মূলত দুই সময় রিপোর্টগুলো দেখে প্রথম টাইম সকাল দশটায় দেখেন,আবার দ্বিতীয় টাইম রাত সাড়ে দশটার দেখে।
আমরা বিকেল পাঁচটার সময় রিপোর্ট জমা দিয়ে দেই হাতে পাঁচ ঘন্টা খুব কষ্টের সময় পার করি এর মধ্যেই মামা চলে যাই বাড়িতে। রিপোর্ট দেখে শেষ করতে অনেক রাত হয়ে যাবে এরপর তাদের বাড়িতে যাওয়া অসুবিধা হয়ে যাবে।
আমি আর আব্বু ডাক্তারের চেম্বারে সময় আসার অপেক্ষায় করতে থাকি, মাঝেমধ্যে আব্বু বাহিরে হাঁটাহাঁটি করতে চলে যাই নামাজ পড়তে চলে যাই আমি একাই বসে সময় পার করতে থাকি।
![]() |
---|
রাত সাড়ে আটটার দিকে আমি আর আব্বু বাহিরে বের হয়ে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি আবার ডাক্তারের চেম্বারে চলে আসি আব্বু নামাজ পড়তে চলে যায়।
রাত যখন সাড়ে দশটা বাজে তখন রিপোর্ট দেখার সময় হয়, কিন্তু তারা এখনো রোগী দেখতে ছিল, কিছু লোক রিপোর্ট দেখার জন্য রাগারাগি করতে ছিল । রাত দশটা চল্লিশের পরে রিপোর্ট দেখা শুরু করেন রিপোর্টের সিরিয়াল আমার চার নাম্বার ছিল তাই দেখানোর শেষ করে ওষুধ নিয়েই অনেক রাত হয় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি সিএনজি ডাবল ভাড়া দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই বাড়িতে আসতে আসতে রাত একটার উপরে বেজে যায়।
এই ছিল আমার ডাক্তার দেখানোর অভিজ্ঞতা পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন।।