ফটোগ্রাফির সাথে স্বরচিত কবিতা
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। সকলকে দোল পূর্ণিমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা । যদিও রং দোল গতকাল চলে গেছে। এর সাথেও আজকেও অনেকে রঙ খেলে। আমাদের শহরে যেমন দুদিন ধরে রং খেলা হয়। প্রথম দিন রং খেলা হয় জলরঙ দিয়ে আর তারপরের দিন আবির দিয়ে। তবে আমি ছোটবেলায় জল রং দিয়ে রং খেললেও, বড় হয়ে আবির দিয়েই খেলে থাকি। এখন আর জল রং দিয়ে রং খেলতে ভালো লাগেনা। বরং খেয়াল করে দেখেছি, এখন খুব সর্দি লেগে যায়। তাই পুরোপুরি দোল পূর্ণিমা আমার আবির দিয়েই কাটে।ঈশান যদিও এখনো জল রং দিয়ে খেলা করে। আমার বন্ধুদেরও দেখি জল রং দিয়ে রং খেলতে।
যাই হোক গত সপ্তাহের মত আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে আমার করা ফটোগ্রাফির সাথে একটি কবিতা শেয়ার করছি। ফটোগ্রাফি ভিত্তিক আমি কবিতা লিখতে থাকি। সেটা আপনারা সকলেই জানেন। গত পোস্টেও সেটা উল্লেখ করেছিলাম। যে ছবিগুলো আমার মনে গেঁথে যায়, আপনা থেকেই সেই ছবিগুলোর উপর ভিত্তি করে লেখা বেরিয়ে আসে। আর এভাবেই সুন্দর একটা প্রজেক্ট তৈরী হচ্ছে। ভবিষ্যতে ফটোগ্রাফি কে সাথে রেখে লেখালেখির উপর একটি বই পাবলিশ করার ইচ্ছা আছে। যে বইয়ের এক পাতায় ফটোগ্রাফি আর এক পাতায় সেই ভিত্তিক লেখা থাকবে।
![]() |
---|
আকুতি |
---|
রাতের পাখি ,আলো দিয়ে যায় গানে।
নিয়ে যায় আমার চিরকালের দেখা।
বাতাসে মেশানো গন্ধবাতির আঁচল
কাঁপিয়ে তোলে যন্ত্রণাময় রেখা।
প্রিয় চোখ দুটো ,আমার শামিয়ানা
বহু ঝড়ের ধ্বংস পথের মাঝে।
গঙ্গার তীরে, প্রবাসী মেঘের ডাকে
সুদূর থেকে শঙ্খ ধ্বনি বাজে ।
চিতায় জ্বলে, বহু হারানোর ভয় ,
বুকের মাঝে, আকুতি করে ডাকি।
আকাশের দেশে কোটি তারাদের মাঝে
বেনারসী প্রেমের গাঁটছড়া বেঁধে রাখি।
উপরের ফটোগ্রাফির ওপর ভিত্তি করে এই লেখাটি আমি কিছুদিন আগেই লিখেছি। আপনারা জানেন জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে আমি বেনারস গিয়েছিলাম। ঘোরাঘুরি নিয়ে আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করা হয়নি। তবে ইচ্ছা আছে খুব শীঘ্রই বেনারস এবং কুম্ভ ঘোরার অভিজ্ঞতা এবং বাকি সমস্ত কিছু ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করার। বেনারসের সন্ধ্যা আরতির আমি অনেক ছবি তুলেছিলাম। তার মধ্যে এই ফটোগ্রাফিটি আমার নিজের কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
![]() |
---|
এত সুন্দর ফটোগ্রাফি কে আমি খুব যত্নে আলাদা করে রেখেছিলাম, তৎক্ষণাৎ ওই সময় কোন লাইন মাথাতে না এলেও ,আমি জানতাম ভবিষ্যতে যখন আমি ছবিটি একবার হলেও দেখব কিছু না কিছু আমার মাথায় আসবে। ঠিক সেই মতোই কিছুদিন আগে যখন পুনরায় ছবিগুলো দেখছি, হঠাৎ এই ছবিটা দেখতে দেখতে কিছু কথা মাথায় এলো, আর সেটাই আমি লিখে ফেললাম কবিতার ছলে। ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে এবং ছবিটা দেখে আমার যা অনুভূতি হচ্ছে পুরোটাই আমার লেখাতে আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এবার এই কবিতার ক্ষেত্রে আমি এর অন্তর্গত মিনিং কিংবা ডেফিনেশন দিতে চাই না। এটা একেবারেই পাঠকের উপর ছেড়ে দিলাম।
ফটোগ্রাফি গুলি আমার এন্ড্রয়েড ফোন samsung galaxy a52 দ্বারা ক্যাপচার করেছি।
আপনার ফটোগ্রাফির সাথে কবিতার মেলবন্ধন অসাধারণ। প্রতিটি ছবি যেন একটি গল্প বলছে, আর কবিতার শব্দগুলো তা আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। বেনারসের সন্ধ্যা আরতির ছবিটি সত্যিই অতুলনীয়! আপনার প্রতিভা সত্যিই প্রশংসনীয়।