Pizza Date
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন।আজকে আমি গতকালের কিছু মুহুর্ত শেয়ার করছি।
গত সপ্তাহে একবার সোমবার নাগাদ আমার পার্টনারের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম ,তাও বেশি সময়ের জন্য না ।কালকে রবিবার ছিল। রবিবারে আমার গানের ক্লাস থাকে। সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে গানের ক্লাসে যেতে হয়।
কালকে সকাল বেলা থেকে কোনরকম প্ল্যান ছিল না কোন কিছুর। শুধুমাত্র প্ল্যান ছিল গানের ক্লাসে যাব। আর তারপরে দুপুরের দিকে মাকে নিয়ে একটু ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে। আবার বাবাও নিয়ে যেতে পারে।
আসলে গত পরশু থেকে মায়ের দুটো চোখ কেমন যেন লাল হয়ে আছে। কি কারনে হয়ে আছে আমরা বুঝতেও পারছি না ।চোখ দুটো ওরকম ভয়ানক লাল হয়ে থাকার কারণে ভেবেছি ডাক্তারটা দেখিয়ে নেওয়ায় ভালো। তাই জন্য ডাক্তারের কাছে নামও লেখানো হয়েছিল।
যাইহোক, তো সকালবেলায় গানের ক্লাসে গিয়েছিলাম। গানের ক্লাসে যেতে একটু দেরী হয়েছিল বলে, গিয়ে দেখি আমার আগে চারজন মতন অলরেডি আছে।। জেঠু আমাদের একে একে জন করে গান শেখায় । তাই আমার গান শেষ হতে হতে দেরি হয়ে গেল।
আমি গিয়েছিলাম মোটামুটি এগারোটার সময় ।গান শেষ হতে সাড়ে বারোটা বেজে গিয়েছে। যখন গান থেকে ফিরবো, তখন ভদ্রলোক আমাকে ফোন করে জানায় যে সে আসছে আমার সাথে একটু দেখা করবে। রবিবারের বাজারে সবকিছুই বন্ধ থাকে। শুধুমাত্র বড় বড় কিছু জায়গা ছাড়া ।দেখা করবে যে, কিন্তু কোথায় দেখা করবে। কারণ আইসক্রিম পার্লারও বন্ধ।
ওর এই অবাক করা আগমনে আমি খুব খুশি হয়ে গেলাম। আমরা দুজন ঠিক করে চলে গেলাম ডোমিনোস এ।
বৃষ্টি হলেও ওয়েদারটা কেমন যেন গরম গরম ছিল। তাই এসির মধ্যে বসে খাওয়া যাবে আবার গল্পও করা যাবে। এই জন্যেই গিয়েছিলাম। গিয়েই প্রথমে ১৪৬ টাকা দিয়ে কি যেন একটা অর্ডার করলাম। মনে হয় বারবিকিউ চিকেন সামথিং কিছু। সেটা পিজ্জা মানিয়া ছিল।।
তারপরে হঠাৎ করে চোখ পরল মেনুতেই কম্বো প্যাকগুলোর দিকে ।একটা কম্বো প্যাক দেখলাম ১০৩ টাকায়। কোলড্রিংস, তিনটে চিকেন পকোড়া টাইপের আর পিজ্জা ম্যানিয়া দিচ্ছে। আমার আর আমার ভদ্রলোকের তখন মাথায় হাত। কারণ ওটার বদলে এটা করলেই হয়ে যেত।
এখন আমরা এত কিছু খাবো কি করে। একটা কম্বো প্যাক এ আমরা কোল্ড ড্রিংকস পাচ্ছি, তারপর ডিপ করে খাওয়ার জন্য চিকেন পকোড়া পাচ্ছি। তাই ভদ্রলোক বলল চলো ,আজকে ওটাও ট্রাই করে দেখি। তাই জন্য আমরা অবশেষে একটা সিঙ্গেল পিজ্জা মানিয়া আর একটা কম্বো প্যাক অর্ডার করলাম।। সব মিলিয়ে আড়াইশো টাকার কাছাকাছি বিল হল।
যেহেতু বাড়ি থেকে ভরপেট ভাত খেয়ে গিয়েছি। তাই সবারই পেট জ্যাম ছিল। তার সত্বেও বসে তো কিছু খেতে হবে ,এ কারণেই কিছু নিয়ে নিলাম। তবে অত বড় বড় জিনিসপত্র আমাদের পেট পুরো ভরিয়ে দিয়েছে। এমনই যে আমরা দুপুরে বাড়িতে এসে ভাত তো খেতে পারিনি। আমি আর ও পিজ্জা খেতে খেতে নানান ধরনের গল্প করছিলাম। কিছু ছবিও তুললাম। বেশ কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে মনটা ভালো হয়ে গেল।।
সপ্তাহে একবার দেখা না করলে মেজাজ কেমন খিটখিট করে ।আর যেহেতু এখন সারাদিন বাড়িতে বসে পড়াশোনা ওর ।তাই ওরও একটু ফ্রেশ হাওয়া দরকার পরে মাঝেমধ্যে। যদিও অফিসের কাজে ওকে প্রত্যেক দিনই বার হতে হয়। তারপর এসে আবার পড়তে বসা। তারপর নিজের জন্য একটা ফ্রি টাইম বের করা অবশ্যই দরকার।
তারপরে কি কি করলাম পরের দিন শেয়ার করব। আজকে এখানেই শেষ করছি।