মা এর সাথে || Eye check up
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। গতকাল আমি আমার দিনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম। কিছুটা লেখা হয়ে যাওয়ার পর বলেছিলাম পরের পোস্টে শেয়ার করব ,তাই তারপর থেকেই লিখছি।। আমার পার্টনারের সাথে দেখা করা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে,
ওখান থেকে বেরিয়ে আমি ওর সাথে চলে গিয়েছিলাম একটা জামা কাপড়ের দোকানে ।আমার একটা জিনিস কেনার ছিল ।সেই কাজটা সেরে ও আমাকে টোটো তে তুলে দিল। আমি বাড়ি গেলাম ।বাড়ি থেকে আবার মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম।
ডাক্তার আমাদের চেনা পরিচিত ।আসলে আমরা যে আশ্রমের সাথে যুক্ত ।সেখানে উনিও যুক্ত ।তো সে কারণে আমাদের নাম লেখাতে অসুবিধা হয়নি ।প্লাস ওখানে গিয়েও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। তারপরেই ডাক্তার দুবার অলরেডি মাকে দেখেছে ।
দূরের লেখাগুলো মা ঠিকঠাক চোখে দেখতে পারছে কিনা,সেটা প্রথমে চেক করে নিল। পরে আবার মাকে কিছুক্ষণ চোখের ড্রপ দিয়ে বসিয়ে রেখেছিল ।তারপরে আবার যখন দেখলো এবং সমস্যার কথা শুনল তখন ডাক্তার নিজেই বলল ,আমার মায়ের চোখে কোন ধুলোবালি বা বিষাক্ত কোন কিছু গেছে ।এ কারণেই এই সমস্যা। আমরাও এমনটাই অনুমান করেছিলাম।।
আসলে মা এর চোখ যেদিন থেকে এরকম লাল হয়ে আছে, তার একটু আগেই মাকে আমি দেখেছি তুলসী গাছগুলোর নিচে কাজ করতে ।আমার মা যখনই সময় পায় ,গাছের কাছে চলে যায়। কোন গাছের পাতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ,গাছের পাতা শুকিয়ে গেছে, ডাল ভাঙতে হবে ,বৃষ্টিতে গাছটা হেলে পড়েছে ,সেটাকে ঠিক করতে হবে, মানে সেগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
আর এখন বর্ষাকাল , বিষাক্ত পোকা অথবা বিভিন্ন কিছু থাকতে পারে ।আকন্দ গাছের আঠাটাও যদি চোখে ভুল করেও দিয়ে থাকে, সেটাও ক্ষতি করতে পারে। অবশেষে ডাক্তার বললেন যে এমন কোন অসুবিধা নেই এবং তিনি একটি ড্রপ সাজেস্ট করলেন ।যেটা তিনি বললেন সাত দিন ধরে ব্যবহার করতে ,দিনে চারবার।
মাকে যখন আমি ডাক্তার দেখাচ্ছি ,তখন আরো অনেক পেসেন্ট এর সাথে আমার আলাপ হলো ।একটা দশ মাসের বাচ্চার সাথে আলাপ হয়েছিল, তার চোখে এলার্জি। ডাক্তার বলেছে ২২ বছর অব্দি এই এলার্জি থাকবেই ,কিছু করার নেই।। কখনো বাড়বে, কখনো কমবে ,আবার কখনো এই এলার্জি বিন্দুমাত্র টের পাওয়া যাবে না ।তবে যখনই সমস্যা হবে তখন যে ড্রপগুলো ওষুধগুলো উনি লিখেছেন, সেগুলো ব্যবহার করতে হবে।
আমি সত্যি অবাক হয়ে গেলাম দশ মাসের বাচ্চাটার কি এক বড় সমস্যা। চোখ আমাদের খুব ভাইটাল জিনিস। আর ধুলোর থেকেও ছোট্ট বাতাসের বিষাক্ত কণাগুলো চোখের মধ্যে প্রবেশ করলে একটা বাজে অবস্থা হতে পারে। চোখটা আমাদের সকলেরই ঠিকভাবে খেয়াল রাখা দরকার। বারে বারে চোখে জল দেওয়া ,ঠান্ডা জলের ঝাপটা দেওয়া আমার মনে হয় সব থেকে বেশি জরুরী। চোখ খুলে জলের ঝাপটা দেওয়া এটা ডাক্তারও সাজেস্ট করে।
ডাক্তার দেখানো হয়ে গেলে মায়ের চোখের ড্রপটা ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে পাশের দোকান থেকে কিনলাম ।সাথে কিনলাম কিছু ব্যান্ডেড। তারপর রাস্তা পার হয়েই ছিল monginis এর দোকান। সেখানে গিয়ে মা একটা ভেজ প্যাটি খেলো। আমি কিছু খেতে পারলাম না, যেহেতু আমি এর আগে একটা বড় পিজ্জা খেয়েছি অলরেডি। সাথে নিলাম একটা কোল্ড্রিংসের বোতল আর ঈশানের জন্য একটা জুস। তারপর ওখান থেকে টোটো করে সোজা বাড়ির দিকে রওনা হলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন।।