খাওয়া দাওয়ার পর একটু কেনাকাটা

in Incredible India13 days ago

নমষ্কার বন্ধুরা,গত পরশু আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করেছিলাম অনামিকার জন্মদিনের কিছু মুহূর্ত এবং খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত গুলো। আজকে তারপরের কিছু অংশ শেয়ার করছি।

20250508_095647.jpg

অনামিকার জন্মদিন উপলক্ষে আমরা যে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম,কৃষ্ণনগরের মধ্যে এই রেস্টুরেন্টে প্রত্যেকদিন সবসময় বেশ ভিড় থাকে ।বিনা কারণে একেক সময় লাইন দিয়েও দাঁড়াতে হয়, এতটা পরিমাণে রেস্টুরেন্টে ভিড় থাকে।। কিন্তু রেস্টুরেন্টে লোকজন যাতে বেশি বসতে পারে ,তাই অনেক সেকশনে রেস্টুরেন্টটাকে ভাগও করা হয়েছে।তার সত্বেও এত ভিড় হয় যে আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। তাও আমরা সকলেই বিভিন্ন সেলিব্রেশনে এই জায়গাতেই যাওয়া পছন্দ করি। এখানকার এনভারমেন্ট যেমন ভালো। খাওয়া দাওয়াও বেশ সুন্দর। আর দাম একদম ঠিকঠাক।

1000261907.jpg

আসলে একটা রেস্টুরেন্ট অনেক কিছুর উপর ডিপেন্ড করে উন্নত হয়ে থাকে ।সঠিক খাবারের মান ,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ,ব্যবহার, সুযোগ সুবিধা ,অবশ্যই ওয়াশরুম পরিষেবা ,হোম ডেলিভারির সুযোগ সুবিধা, অনলাইন ব্যবস্থা, এর সাথে আরও অনেক কিছু। আর এই রেস্টুরেন্টে আপনি সবকিছুই পাবেন।

এই রেস্টুরেন্টে আলাদা আলাদা পার্ট করে আলাদা আলাদা ডিজাইনের হল রয়েছে ।কোন একটা খাবার হলে রয়েছে ফোয়ারা দিয়ে সুন্দর করে সাজানো ,কোথাও আবার একেবারেই মর্ডান রেস্টুরেন্ট এর মতন ,কোথাও আবার একদম মাটির ঘরগুলো যেমন হয় অর্থাৎ গ্রামের কুঁড়েঘর যেমন হয় সেরকম করে সাজানো, আবার কোন জায়গায় চাইনিজরা যেমন ভাবে নিচে বসে ম্যাট আর টুলে খায় ,ঠিক সেইভাবে ম্যাট । এর সাথে বড় বড় ফাংশান করার জন্য আলাদা করে জায়গা রয়েছে, যেখানে বিয়ে অথবা অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান এগুলো পালন করা যায়।

20250508_094759.jpg

যাই হোক এই জায়গাটা এতটা পরিমাণে উন্নতি লাভ করেছে কয়েক বছরে সত্যিই আমরা এজন্য খুব খুশি ।কৃষ্ণনগরের মধ্যে এরকম একটা বড় রেস্টুরেন্ট পেয়ে আমরাও গর্ব বোধ করি ।আর রেস্টুরেন্টের মালিক যেহেতু আমার বাবার বন্ধু হয়, অরিন্দম কাকা। তাই আরো বেশি ভালো লাগে ।রেস্টুরেন্টের পাশে গড়াই পেট্রোল পাম্পটাও কাকাদের ।

যাইহোক খাওয়া দাওয়ার পরে আমরা একটু বাইরে যখন বেরোলাম, তখন দেখি রেস্টুরেন্টের বাইরেই রকমারি জিনিসের দোকান বসেছে। এই জিনিসের দোকানগুলো প্রত্যেক দিনই থাকে। এই রেস্টুরেন্টে আসার আরও একটি আকর্ষণীয় ব্যাপার হল কেনাকাটার জায়গা।

20250508_094821.jpg

এখানে মেয়েদের জন্য হরেক রকম জুয়েলারির অক্সিডাইসের এবং হস্ত শিল্পের জিনিসপত্র বিক্রি হয়।। এরকমভাবে চার-পাঁচটা মত দোকান আছে। কত কিছু যে পাওয়া যায় তা আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারছেন। মোটামুটি ছোটখাটো চারটে পাঁচটা করে দোকান রয়েছে।

আমি এবং আমার বন্ধুরা মিলে দোকানগুলো দেখছিলাম। হঠাৎ দেখতে দেখতে বন্ধুরা অনেকে কানের দুল কিনে নিল। আমিও মাঝেমধ্যে যখনই এই রেস্টুরেন্টে খেতে আসি, কিছু না কিছু হাতে করে কিনে নিয়ে যাই ।সেদিন কে তাই হয়েছিল।

তারপর হট করে একটা দোকানে চোখে পড়ল এই ব্যাগটা। এই ব্যাগটা আমার এত পছন্দ হল ,আমি আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলাম না ।আমার পার্টনার যেহেতু সাথে ছিল ।সে বুঝতে পারল আমার এই ব্যাগটা খুব পছন্দ হয়েছে। সে বারবার বলল তুমি নিয়ে নাও ।এটা আমি দিচ্ছি ।ও আমার চোখমুখের এক্সপ্রেশন দেখেই বুঝে গিয়েছিল জিনিসটা আমার কতটা পছন্দ হয়েছে। তাই বারবার ও বলতে লাগলো ।আর আমি সত্যি সত্যি কিনে ফেললাম ব্যাগটা। মোটামুটি ২০০ টাকা দাম। তবে অনেক সুন্দর দেখতে। ডেইলি ইউজ করার জন্য একদম পারফেক্ট।

20250508_094732.jpg

ঈশান একটা চাবির রিং কিনেছিল। একটা গাড়ির চাবি রিং ছিল। আর একটা সার্পনার কিনেছিল ,যেটা ছিল স্পাইডারম্যানের। আমার পার্টনার কানের দুলের দোকানে গিয়ে বারবার বলছিল ,যদি কোন কানের দুল পছন্দ হয় যেন আমি কিনে নিই। কিন্তু আমার কোন জিনিস আর ভালো লাগছিলো না ,কারণ আমার যেটা ভালো লাগছিল সেটা আমি অলরেডি পেয়ে গেছি। যাইহোক বেশ সুন্দর সময় কাটিয়ে আমরা ধীরে ধীরে বাড়ির দিকে আবার রওনা দিলাম।

সেদিন বন্ধুদের সাথে সময়টা খুব সুন্দর ভাবে কেটেছে। আপনাদের সাথে সমস্তটা শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আজ এখানেই শেষ করছি সকলে ভালো থাকুন।।

Sort:  
 13 days ago 

তুমি যেখানে আছো সেখানে তো খাওয়া দাওয়া হবেই। তবে মাদারস হাট খুব সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আমি প্রথমবার তোমার হাত ধরে মাদার্স হাটে গিয়েছিলাম। তবে ওখানকার সমস্ত কিছুই আমার ভীষণ ভালো লাগে, সব থেকে বেশি ভালো লাগে ওখানকার সমস্ত মেয়েরা কাজ করে। মেয়েদের জন্য এত বড় একটা সুযোগ করে দিয়েছে, এটা দেখেই ভীষণ ভালো লাগে। তবে অনেক দিনই যাওয়া হয়ে ওঠেনি। আসলে আমাদের বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে তাই গাড়ি ছাড়া ওই দিকে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। আবারো কোনদিন সুযোগ পেলে টুক করে চলে যাব। মাদ্রাসাতে খাওয়া-দাওয়া সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছো পড়ে খুব ভালো লাগলো।

 8 days ago 

গাড়ি ছাড়া অসুবিধা হয় ঠিকই। কিন্তু যখন মনে হবে , বোলো আমি তো আছিই। এবারে একদিন প্ল্যান করে যাওয়া যাবে। কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ বৌদি।

Loading...
Loading...