বারোদোলের মেলা - ২ য় পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। বেশ কিছুদিন আগে আমি আমার একটি পোস্টে কৃষ্ণনগরের সবথেকে বড় মেলার কথা উল্লেখ করেছিলাম। নাম হল বারোদোলের মেলা। মেলা সম্পর্কিত কিছু কথা এবং তার সাথে মেলাতে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম ।পরবর্তী পর্বগুলো ব্যস্ততার কারণে শেয়ার করা হয়নি ।আর মাঝে কিছু অন্যান্য পোস্ট দেওয়াতে এই পোস্টের কথা মাথাতেই নেই। আজকে হঠাৎ মনে পড়াতে মনে হল পরবর্তী পর্ব আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
মেলাতে গিয়েছিলাম আমি আমার পার্টনারের সাথে ।যাওয়ার পরেই ওখানে আমাদের মিট করার কথা ছিল ওর দাদা বৌদির সাথে ।আসলে ওরা বেরোনোর ৩০ মিনিট আগে আমি আর আমার পার্টনার মেলার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম ।কারণ ওদের একটু বেরোতে দেরি হচ্ছিল। আর যেহেতু আমি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবো। এ কারণে আমার আগে আগে বেরোনো ।আসলে বিকেলের দিকটাতে বেরোলে মা বাবা টাইম বেঁধে দেয়।
এ কারণে আমি খুব তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়েছিলাম। ৬:১৫ নাগাদ পৌঁছে গিয়েছিলাম মেলাতে ।তারপর এদিক ওদিক যেটুকু ঘুরেছি সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি ।হঠাৎ করে মেলায় ঘুরতে ঘুরতে আমাদের বন্ধুদের সাথে দেখা হলো। আমরা বিএড কলেজে একসাথে পড়ি। ওদের সাথে দেখা হওয়ার পর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ওদের সাথে গল্প করলাম ,আর ওদের সাথে সেলফি তুললাম।
আমরা বেশি মেলার ভেতরে ঢুকতেও পারছিলাম না ।কারণ আমরা অপেক্ষা করছিলাম ওর দাদা বৌদির জন্য।ওরা কখন আসবে, এবং তারপর আমরা একসাথে মেলা ঘুরবো।
কিন্তু কিছুতেই যখন ওদের আসতে দেখলাম না। বারবার ফোন করার পরেও দেখছিলাম ওদের বার হতে দেরি হচ্ছে। সত্যি বলতে আমার মাথাটা গরম হয়ে গিয়েছিল ।কারণ, সময় সংক্রান্ত ব্যাপারে অতিরিক্ত দেরি হলে স্বাভাবিক সবারই রাগ হবে। যেখানে আমারও বাড়িতে তাড়া আছে।।
আমার বাবা মাকে আমি এক দুইবার রিকোয়েস্ট করতেই ওরা রাজি হয়ে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে ঘুরতে বেরোনোর জন্য। যদি আমি লেট করে বাড়ি ঢুকি, এটা তো আমারই ভুল হবে এবং সেটা আমার খুবই খারাপ বলে মনে হচ্ছিল। কারণ মা বাবা আমি যাতে একটু খুশি থাকি এবং ভালো থাকি, এ কারণেই ওরা আমাকে ঘুরতে বারণ করে না বেশি, কিন্তু অবশ্যই টাইম বেঁধে দেয় প্রত্যেকবার ।
কারণ ওদের চিন্তা থাকে নানান ধরনের। এতকিছু পাওয়ার সত্ত্বেও যদি আমি বাবা মার কথা না মতো বাড়ি ফিরতে পারি। তাহলে সেটা তো একেবারে কথা না রাখার মতন। এই বিষয়গুলো আমাকে সত্যিই অনেক ভাবিয়ে তোলে। এ কারণে ওরা দেরি করছিল বলে আমি প্রচন্ড রেগে যাচ্ছিলাম।
অবশেষে আমার পার্টনারের সাথে আমি একটু ফুচকা খেলাম। মেলাতে একটা বিরাট অংশ জুড়ে শুধু ফুচকার স্টল দেয়। বিভিন্ন ধরনের ফুচকা থাকে সেই স্টল গুলোতে। একটা ফাঁকা স্টলে দাঁড়িয়ে খেয়ে নিলাম জল ফুচকা আর দই ফুচকা। দই ফুচকাটা খেতে দুর্দান্ত ছিল। তারপর আস্তে আস্তে আমি মেলার মধ্যে ঢুকে পড়লাম। কারন আমার পক্ষে আর বেশি অপেক্ষা করা সম্ভব হচ্ছিল না। ফুচকা খেয়ে রাগটাও বেশ কমে গিয়েছিল। আমার পার্টনার কিন্তু বেশ ভালই জানে আমার রাগ আমার পেট দিয়ে থামবে। এ কারণেই ওই মুহূর্তে ফুচকা খাওয়ার প্রোপজালটা ওই দিয়েছিল।
মেলার কয়েকটা পার্ট আছে। সেটা আমি আগের দিনই জানিয়েছিলাম ।সামনের দিকের যে রয়েছে ,সেই পার্টে ঢুকলাম ওখানে ঢোকার পরে বিভিন্ন জিনিস দেখতে থাকলাম।। মেলার এই পার্টের দোকানগুলোতে একটা দোকান প্রত্যেক বছর মেলাতে থাকে ।সেটা হল চিনামাটির জিনিসের দোকান। আর এই দোকানটা পুরো মেলার মধ্যে আমার সবথেকে বেস্ট লাগে । এত সুন্দর সুন্দর জিনিস পাওয়া যায়, মনে হয় সবকিছুই কিনে নিই। সেদিনকে আমি আমার পছন্দ মত কয়েকটা জিনিস কিনেছিলাম।
এরপরে কি কি করলাম পরের পোস্টে শেয়ার করব। আজ এখানেই শেষ করছি ।সকলে ভালো থাকুন।
তোমার পোস্টে অনেকদিন পর বারোদোল মেলা সম্পর্কে পড়ে মনে হচ্ছে আবার সেই মেলাতে ছুটে যাই। এ বছরে তুমি তোমার পার্টনারের সাথে বারোদোল মেলা দেখতে গিয়েছিলে। পোস্টে প্রথমে ফুচকা ছবি দেখে যেন জিভে জল চলে আসলো। মেলাতে ঘোরার সময় বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়েছিল সকলের সাথে খুব ভালোভাবে মেলাতে সময় কাটিয়েছিলে। ভারতের মেলা দেখে শেষ করা যায় না। মেলাই কাটানো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Your post has been supported by the TEAM FORESIGHT. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags