বৌদির সাথে গয়নার দোকানে
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমার মৌসুমী বৌদির একটা শখ পূরণের মুহূর্ত।
বেশ কিছুদিন আগের কথা, বলতে গেলে রথ যাত্রারও আগে। আমি আমার সোনার জিনিস কিনতে চলে গিয়েছিলাম আমাদের কৃষ্ণনগরের আধুনিক জুয়েলার্সে ।যাওয়ার পরে জিনিস যখন কিনছি ,তখন জানতে পারি সেদিনকে বেশ দুর্দান্ত অফার চলছে।
খবরের কাগজ অনুযায়ী যে প্রাইজ ছিল তার থেকে মোটামুটি ১৭০০ টাকা কম সেদিনকে দোকানে প্রাইজ রেখেছিল প্রতি গ্রামে ।
এর সাথে ছিল মেকিং চার্জে ৪০% অফ। এ কারণে আমিও জিনিসটা পারচেজ করে ফেললাম ,এর সাথেই খবরীলাল এর মত খবর দিয়ে দিলাম মৌসুমী বৌদিকে।
বৌদি বেশ অনেকদিন ধরেই টাকা পয়সা জমিয়ে জমিয়ে সোনার জিনিস এটা ওটা নিজের মতন বানায়। কিছুদিন আগেই বৌদির সাথে সোনার জিনিস নিয়ে বেশ অনেকক্ষণ ধরে গল্পও হচ্ছিল ।বৌদি একটা হালকা ওজনে সীতাহার টাইপের চাইছিল, যেটা মাঝেমধ্যে পড়তেও পারবে ছোটখাটো অনুষ্ঠানে। আমি বৌদিকে বলেছিলাম যে পুরনো সোনাগুলো রয়েছে বৌদির ,সেগুলো এর মধ্যে ব্যবহার করতে পারে। কারণ পুরনো সোনা গুলো পড়ে থাকার থেকে একটা ভালো জিনিসে সেটাকে দিয়ে দেওয়া আমার মনে হয় সেটাই ভালো বিষয়।
আর এখন যেমন সোনার রেট তাতে দামটাও ভালো পাবে।
বৌদি বলেছিল সোনার দাম যখন একটু কম হবে অথবা কোন অফার চলবে আমাকে অবশ্যই বলো। আমি যাব সেই মতো ।তাই যখনই দোকানে গিয়ে ওরকম একটা অফারের কথা শুনলাম আমি আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলাম না।
সবথেকে বড় কথা সেদিনকে খবরের কাগজ অনুযায়ী যে প্রাইস ছিল ওল্ড গোল্ড দিলে সেই প্রাইজ ওরা দেবে। আর যদি কেনা হয় তাহলে ১৭০০ টাকা মতো কম। তো এক্ষেত্রে দু দিক দিয়েই লাভ হচ্ছে। এ কারণে আমি বৌদিকে সাথে সাথে আসতে বললাম।
আমি আর বাবা সোনার দোকানে গিয়েছিলাম বৌদিকে না জানিয়ে ।বৌদি এই অফারটার কথা শুনে আমার কথা মতো 10 মিনিটের মধ্যে চলে গেল ওই সোনার দোকানের। আমাদের বাড়ি থেকে দোকানটা দশ মিনিট বলা চলে।
তখন দুপুরবেলা পুরোপুরি ।আমি ডাকার সাথে সাথে ১০ মিনিটের মধ্যে চলে এসেছিল ও। তারপর তো দুজন মিলে দেখছিলাম কোনটা বৌদির ভালো লাগে। আমি যেটা পছন্দ করেছিলাম ,বৌদির ওখানে গিয়ে সেটাই পছন্দ হল। তবে যেহেতু বৌদি একেবারেই কোন কিছু নিয়ে আসেনি। এ কারণে তখন বৌদি জিনিসটা কিনল না ।এছাড়া আমারও কাজ ছিল অন্য জায়গায় ।তাই আমরা ঠিক করলাম বিকেল বেলা এসে জিনিসটা কিনব ভালোভাবে ভেবেচিন্তে ।
বিকেল বেলায় বৌদিকে সাথে করে চলে গেলাম আবার ওই গয়নার শোরুমে। সাথে নিয়ে গিয়েছিল বৌদি নিজের ওল্ড কিছু সোনা,সাথে বিল। এর সাথে টাকা পয়সা স্বাভাবিকভাবে। বৌদি ওখানে গিয়ে আরো কিছু জিনিস দেখছিল ।আর আমি ছবি তুলছিলাম।
তবে ওদের দোকানে ছবি তুলতে বারবার বারণ করে। আমি বাবা বুঝি না, ছবি তুললে কি হবে ,কারণ এইতো ইউটিউবে ফেসবুকে ওরা নিজেরাই নিজেদের কালেকশনগুলো দেখাচ্ছে, তখন তো কিছু হচ্ছে না । যাইহোক এই নিয়ে তর্কাতর্কি না করাই ভালো।
আমাকে ওরা ছবি তুলতে দিচ্ছিল না বলে, বৌদি খুব রেগে যাচ্ছিল। ওদের উপর আমার হয়ে বৌদিকে এরকম লড়তে দেখে আমার কিন্তু বেশ মজা লাগছিল ।
যাই হোক যেটা পছন্দ হলো সেটাই নেওয়ার চিন্তাভাবনা করলাম ।আমারও জিনিসটা খুব পছন্দ হলো ।তাই আমার কথামতো বৌদি নিয়ে নিল। আমাদের সামনেই বৌদির old gold গলিয়ে সেটাকে মেশিনে দিয়ে সেই সোনা হলমার্ক কিনা সেটা পরীক্ষা করা হলো। এবং সেই মতো সেটার দাম ওরা আমাদের জানালো। সব মিলিয়ে কেনাকাটা ভালই হয়েছে।
বৌদিকে খুশি দেখে আমার নিজেরও মন ভরে গেছে ।আমিও চাই ওরা ঠিক এইভাবে টাকা জমিয়ে জমিয়ে নিজের শখগুলো পূরণ করুক। সোনার জিনিসটা কত গ্রাম অথবা কত টাকা নিয়েছে, সেটা বৌদির পারমিশন ছাড়া আমি কখনোই প্লাটফর্মে শেয়ার করতে পারিনা ।তাই এই নিয়ে কোনরকম ইনফরমেশন আপনাদের দিচ্ছি না।