মন খারাপের পুজো
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। তবে আমি সুস্থ নেই। তাই ফোনের গ্যালারি ভর্তি ছবি থাকা সত্ত্বেও পোস্ট করব যে, সে জোর আমার এই দুদিন ছিল না বলতে পারেন ।
বেশ কিছুদিন আগে, চার পাঁচ দিন হবে। আমার ভাই এর একদিন একটু জ্বর এসেছিল। দুপুর থেকে জ্বর ছিল ।রাতের বেলায় একটা ওষুধ খাওয়ার পরে পরের দিন সকাল বেলায় দেখলাম ছেলে একেবারে ঠিকঠাক হয়ে গেছে। দিব্য ঘুরে বেড়াচ্ছে ,সাইকেল চালাচ্ছে। তবে ঠান্ডা লাগাটা ছিল। আমার ভাই একটু বড় হওয়ার পর থেকে আমার সাথে সাথেই থাকে। ওকে জ্বর অবস্থাতেও ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া, আদর করে দেওয়া, মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া ,সবকিছুই আমি করেছি।
যখন এসব হচ্ছে তখন বাবা বলেছিল যে, ওর গায়ের কাছে বেশি ঘেষাঘেষি করিস না , তোরও কিন্তু জ্বর আসবে । আমি আর অত বুঝতে পারিনি। এই পূজার মধ্যে সেই ঘটনাই ঘটলো ।আমার জ্বর চলে আসলো। ষষ্ঠীর দিন থেকেই শরীরটা কেমন যেন করছিল। ষষ্ঠীর দিন সকালবেলাতেও এদিক-ওদিক কাজের জন্য গিয়েছি, কাজও করেছি। বাট সন্ধ্যার পথ থেকে শরীরটা কেমন যেন হতে লাগলো।
সপ্তমীর দিন থেকে দেখি পুরো জ্বর ।আজকেও সারাদিন জ্বর ছিল। ঠাকুর দেখতে যাওয়ার পরিস্থিতিতে ছিলাম না। যেখানে সবাই ঠাকুর দেখে বেড়াচ্ছে। অষ্টমীতে সবাই শাড়ি পড়ে সেজেগুজে বের হচ্ছে অঞ্জলি দিতে। সেখানে আমার অবস্থা ভাবতেই পারছেন।পুজোর মধ্যে এরকম শরীর খারাপ করলে কার মন খারাপ লাগে !? আমার সেরকম অবস্থা। আমি তো আজকে সকাল বেলায় রীতিমতো কান্নাকাটি করেছি, এমনকি গতকাল রাতেও। পূজার মধ্যে শরীর খারাপ সত্যিই সহ্য হচ্ছিল না। তার ওপর আমার কত কত প্ল্যান ছিল, জামা কাপড় কত কিছু কেনা হয়েছে। কোন দিন কি পড়ব না পড়বো, সবকিছুই রেডি।কিন্তু সব গেল।
এই জন্যই হয়তো বাবা সব সময় বলে, প্ল্যান করতে নেই আমি খেয়াল করে দেখেছি প্ল্যান করলে সত্যিই কোনো কাজ হয় না। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে এবারে। খুব দুঃখ করেই আপনাদের সাথে এই পোস্টটা শেয়ার করছি। জানি আমাদের শহরে অত ভালো করে দুর্গাপুজো হয় না। তাও যেটুকুনি হয়, পূজোর ব্যাপারটা একটু তো আলাদা হবেই। পুজোর দিন একটু বন্ধুদের সাথে বেরোনা,ভালোবাসার মানুষের সাথে বেরোনো, আড্ডা, গল্প, খাওয়া দাওয়া ।পরিবারের সাথে একসাথে ঘুরতে যাওয়া ,ঠাকুর দেখা সবকিছুই একেবারে লাটে উঠে যায় শরীর খারাপ করলে।
পুজোর দিনে এই মন খারাপের মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেললাম ।সাথে শেয়ার করলাম কিছু ছবি। ওয়েদার খুবই খারাপ এখন। ঠান্ডা গরম লেগে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আপনারাও নিজেদের খেয়াল রাখবেন। এখানেই শেষ করছি আজকে।