ছবির সাথে লেখা
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমার বোনের কিছু ফটোগ্রাফি।
আপনারাও হয়তো অনেকেই জানবেন আমি এক দেড় মাস আগে মামার বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম হঠাৎ করে। যখন গিয়েছিলাম তখন দোল পূর্ণিমা ছিল। দোল পূর্ণিমার সময়টা মামার বাড়িতেই তাই এই বছর কাটাতে পেরেছি। প্রথমবার মামার বাড়িতে রং খেলা করেছি। সেই নিয়ে অন্যদিন একটা পোস্ট অবশ্যই শেয়ার করব। তবে রং খেলার আগে আমার বোন অর্থাৎ আমার বড় মামার ছোট মেয়ে তিথি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছিল আমার। ও দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি করতে পারে। নেচারের ফটোগ্রাফিও ওর হাতে দুর্দান্ত হয়। আমার ছবি তোলার গুরুদায়িত্ব তাই ওকেই আমি দিয়েছিলাম। সেই ফটোগ্রাফি গুলোই আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি।
এর সাথে থাকছে ছবিকে উদ্দেশ্য করে আমার লেখা দু চারটে লাইন।
প্রথম ছবি
আমি লাজুক মনের নই।
তবুও লজ্জা লাগে ভারী।
অপলক ভাবে চেয়ে থাকো যদি,
কীভাবে আমি তাকিয়ে থাকতে পারি?!
এই পদ্ধতি আমার কাছে জটিল
অংকের চেয়েও বড্ড বেশি কড়া ।
বলো কিভাবে তাকিয়ে থাকা যায়?
কিভাবে পড়া যায়, তোমার চোখে ধরা?
কঠিন উত্তর তুমিও দিতে নারাজ।
আমিও যেন লজ্জাবতী থাকি।
আলতো পরশ থুতনি ছুঁয়ে নিলে
তোমার চোখে আমার চোখ রাখি ।
দ্বিতীয় ছবি
তোমার খোঁজে আবার বার হওয়া।
তোমার খোঁজেই জানলা খোলা থাকে।
প্রতিটি রোদ তোমার নাম জানে।
ওরা আমায় বড্ড আগলে রাখে।
বেলা ডুবেছে কতটা দিন হলো।
একার দেশে শুধু তোমায় খুঁজি।
চিঠির ভাঁজে তোমার লেখা নেই ।
আমায় তুমি ভুলে গেলে বুঝি!?
পাহাড় ,নদী, সমুদ্র ,সবুজ বন।
কত ঘুরেছি নাম না জানা দেশ।
তোমায় খোঁজা বেঁচে থাকার কারণ।
তোমায় খোঁজা কবে হবে শেষ?
তৃতীয় ছবি
ভোরের ধুলো ঘোড়া ছুটিয়ে নিলে,
আবার আমি বসি অপেক্ষাতে ।
কত মেঘ রোজ চলে যায় দূরে
চাঁদের আলোয় ঘুম আসে না রাতে।
অলকাপুরীর প্রেয়সী আমি যেন,
ভালোবাসায় অপেক্ষা করে থাকি।
সব হাহাকার শান্ত হয়ে কাঁদে
তোমার সাথে শেষ দেখাটা বাকি।
তুমি আমার আকাশ জোড়া হাসি।
তুমি আমার কচি পাতার প্রাণ।
পলাশ বনের কোকিল সুরের মাঝে ,
তুমি আমার বেঁচে থাকার গান।
আজ এখানেই শেষ করছি। ছবি গুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে চেষ্টা করেছি কিছু লাইন লেখার। বোনের তুলে দেওয়া আরও কিছু সুন্দর ছবি আছে। আজ একসাথে সব ছবি শেয়ার করলাম না।আমার ইচ্ছা আছে, সব ছবির জন্য আলাদা আলাদা করে কিছু কথা লিখব। ছবিগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড এবং আম্বিয়নস এতো মুগ্ধকর যে , আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। আমাকে কতটা ভালো লাগছে জানিনা। তবে ওই জায়গায় যে যাবে, তার মন অবশ্যই ভালো হয়ে যাবে । এই ইউক্যালেপ্টর গাছেদের যে বন, এই বনকে প্রথম দেখে আমি যে কবিতা লিখেছি, তা অলরেডি পোস্টে আছে। কবিতার নাম ছিল - প্রশান্তি।
আজ তাই অন্য ভাবে নিজের উপস্থিতিকে ইঙ্গিত রেখে জায়গাটা নিয়ে আমার আরো কিছু অনুভূতি এই ছবিগুলির মধ্যে দিয়ে আর কবিতার সুরে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। সকলে ভালো থাকুন।
💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 3/7) Get profit votes with @tipU :)
এ বছরে দোলের সময় তোমরা কেউ বাড়িতে ছিলে না। তাই আমারও মনটা প্রচন্ড খারাপ ছিল। আমিও এ বছরে দোল খেলতে পারিনি। তোমার কবিতা পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে কবিতাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
আপনি অনেক সুন্দর আমাদের মাঝে একটি কবিতা উপস্থাপন করেছেন আপনার এই মন ছোঁয়া কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো এবং আপনার ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ