অনুষ্ঠানের শেষ পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা। গতকাল আমি নন্দলাল বসু সম্মান অনুষ্ঠান এর কিছু মুহূর্ত তুলে ধরেছিলাম। আজকে তার পরের মুহূর্তগুলো তুলে ধরছি। আমি পোস্টে লিখেছিলাম শিল্পী নিরঞ্জন শীল মহাশয় আমাদের সামনে বক্তৃতা রেখেছিলেন। তার কিছু কথা আমি এখানে শেয়ার করছি।
শিল্পী বলছেন, তিনি যখন ক্লাস ফোরে পড়েন তখন একদিন অংক ক্লাসে শিক্ষক যখন অংক বোঝাচ্ছিলেন, ওই সময় খাতায় এটা ওটা আঁকছিলেন। শিক্ষক মহাশয় সেটা দেখে তাকে শাস্তি দেয় । শাস্তি ছিল এটাই , সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক পায়ে দাঁড়িয়ে। এই করা শাস্তি কতক্ষণ যে চলেছে তার ঠিক নেই। টিফিনের আগের পিরিয়ডে এরকম ঘটনা ঘটেছে। গোটা টিফিন চলে গেছে। মোটামুটি এক ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে, তখনো শিক্ষক মহাশয় এসে তাকে ছুটি দেননি।
ওই মুহূর্তে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওনার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। উনাকে ওরকম অবস্থায় দেখে শিক্ষক মহাশয় রীতিমতো অবাক হয়ে যান, এবং জিজ্ঞেস করেন তুমি কি এমন করেছ যার জন্য তোমাকে এত কড়া শাস্তি দিয়েছে। শিল্পী সমস্ত কিছু খুলে বলেন। শিল্পীর হাত ধরে প্রধান শিক্ষক স্টাফ রুমের দিকে ছুটে যান। তারপরে অংকের শিক্ষককে সেই খাতা যে খাতাতে ছবি আঁকা হয়েছে সেটা দেখাতে বলেন, ছবিগুলি দেখে শিক্ষক মহাশয় অবাক হয়ে যান। এত সুন্দর ছবি যে ছেলেটি আঁকছিল, তাকে এরকম শাস্তি।
সেদিনের পর থেকে স্কুলে ছবি আঁকার আলাদা ক্লাস যোগ হয়। এবং সকল বাচ্চাকে তাদের ইচ্ছামত ছবি আঁকার সময় দেওয়া হয়। সেদিন শিল্পী নিরঞ্জন শীল মহাশয়ের ছবি আঁকা দেখে প্রধান শিক্ষক খুবই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই তার স্কুল জীবনে ছবি আঁকা চর্চা শুরু। এই গল্পটি আমার খুব ভালো লেগেছে।
তারপরে আমাদের প্রিয় বুম্বা কাকা , যিনি আমাদের কৃষ্ণনগর দোগাছি স্কুলের একজন শিক্ষক , তিনি কাহন বাজালেন খুবই সুন্দর ভাবে।
এত অপূর্ব ভাবে তিনি কাহন বাজালেন আমরা সবাই অবাক হয়ে শুনছিলাম, এরপরে আমাদের সভাপতি যিনি ছিলেন , তিনি আমাদের সামনে বক্তৃতা রাখলেন। তার কিছু কিছু কথা আছে আমার এতই ভালো লেগেছে এবং আমার গায়ে কাটা দিয়ে উঠেছে,
তিনি বলেছেন যে দেশে শিল্প হারিয়ে যায় সে দেশ বর্বর হয়ে যায়। যে দেশে সংস্কৃতি ভেঙ্গে পড়ে, সে দেশ ধ্বংসের পথে অগ্রসর হয়।কারণ সে দেশের সৃষ্টি ক্ষমতা কমে যায়। রবীন্দ্রনাথের কথাতে তিনি বলেছেন প্রয়োজনের বাইরে গিয়ে যখন মানুষ কিছু করে, যখন মানুষ অজানাকে জানার আকাঙ্ক্ষায় ছুটে যায় সেখান থেকে শিল্প হয়। শিল্প ব্রহ্ম। শিল্পের শেষ হয় না। যেহেতু এখন মানুষ প্রয়োজনেই বেশি ছুটতে থাকে, তাই মানুষের ভেতর থেকে শৈল্পিক মন কমে যাচ্ছে। প্রয়োজনের উর্ধ্বে গিয়েই শিল্প তৈরি সম্ভব।
ওনার কথাগুলি আমাকে খুবই মুগ্ধ করেছে এবং সাথেই অনেক কথা তিনি বলেছিলেন যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার উচিত ছিল উনার বক্তৃতা ভিডিও রেকর্ড করা। কিন্তু সেটা করা হয়নি। তারপরেই সবকিছু শেষের দিকে, আমার আরও একটি গান ছিল। আমার গান দিয়েই অনুষ্ঠান শেষ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সেদিনকার অনুষ্ঠান খুবই ভালো ভাবে কেটেছে।
তোমার গান শুনতে বরাবরই খুবই ভালো লাগে। তোমার গান শোনার জন্য আমিও বেশ কিছু অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম তোমার সাথে। তোমার অনুষ্ঠানে বর্ণনা ও সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে। পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
👋 @isha.ish - amazing article as always! 🌈 ✨
Hey friend! 🎉 Come check out your awesome post on my shiny new front-end! It's still a work in progress but I'd love to hear what you think! View your post here ✨
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার পোস্টটি পড়ে আমি জানতে পারলাম। শিল্পী নিরঞ্জন শীল মহাশয়ের ছবি আঁকার কাহিনী, এই কাহিনীটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যিই প্রধান শিক্ষক বুঝতে পেরেছিল এই বালকটি ছবি অংকন শিল্পী হতে চায়। এই গল্পটি মাঝে ছিল মানুষদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার একটি বিশাল বড় উদাহরণ। যা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আবারো জানাই শুভ জন্মদিন দিদি আপনাকে।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
অসাধারণ একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন আপু। শিল্পী নিরঞ্জন শীল মহাশয়ের গল্পটি সত্যিই প্রেরণাদায়ক, যা সৃজনশীলতা ও অধ্যবসায়ের মূল্য শেখায়। সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পের গুরুত্ব এবং মানুষের শৈল্পিক মনোভাব নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে, তা খুবই ভাবনার। অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে আয়োজন করা হয়েছে, এবং তা আমাদের সংস্কৃতির প্রতি আরও গভীর শ্রদ্ধা সৃষ্টি করে।