ঝিলিক দিদির বিয়ে - ৩ য় পর্ব ( অতি বিরক্তিকর কিছু মুহুর্ত)
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। গতদিন যেমন কথা দিয়েছিলাম যে আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু অতি বিরক্তিকর মুহূর্ত শেয়ার করব, এই মুহূর্তের গল্পগুলো নিয়েই হাজির হয়েছি আজকে। চলুন শুরু করা যাক।
অতিবিরক্তিকর কিছু বিষয় |
---|
বিয়ের রাতে সব থেকে ইরিটেটিং লাগছিল ক্যামেরাম্যান গুলোকে নিয়ে। কোন নিয়ম করতে যাওয়ার আগে বর যখন মন্ত্র পড়ছে, কাজটা সম্পূর্ণ করার আগেই ওরা দাঁড় করিয়ে আগে ছবি তুলে নিচ্ছিল। আমার কথা হল, আগে নিয়মমাফিক কাজটা হয়ে যাক। তারপর পুনরায় ওরা ওই পোজে ছবি তুলুক।
কিন্তু ব্রাহ্মণকে বারবার মন্ত্রতে বাধা দিচ্ছিল,সবকিছুতেই বাধা দিয়ে কাজ করছিল ক্যামেরাম্যানগুলো। ছবিই কি জীবনের সবকিছু? পরেও তো পোজ দিয়ে ছবি তোলা যাবে। ছোট থেকে শুনে এসেছি মন্ত্রের কতটা শক্তি। সেই মন্ত্র ঠিক ভাবে পাঠ করার আগেই শুধুমাত্র ক্যাপচার করার জন্য বারবার ক্যামেরাম্যানরা ওরকম থামিয়ে দিচ্ছিল, যেটা আমার খুবই খারাপ লাগছিল।
এমনকি সিঁদুর পড়াতে যাওয়ার সময় বর যখন মন্ত্র পাঠ করছে ,তখনও বরকে গাইড করে দেয়া হচ্ছে যেন সে সিদুর যেটা দিয়ে পড়াচ্ছে অর্থাৎ ধানের আরিটা ধীরে ধীরে সিথির দিকে নিয়ে যায়। মন্ত্র বলবে কি? বর তো ক্যামেরাম্যান গুলোর জন্য পোজ দিতেই ব্যস্ত।। তাহলে এইভাবে বিয়ে করার মানেটা কি। আমি যেহেতু ছোট মানুষ, তাই ওখানে বকাবকি বা ঝামেলা করতে পারছিলাম না। তবে বারবার আমার মনে হচ্ছিল, বড় কেউ বলুক ,যে আগে নিয়মগুলো হয়ে যাক, তারপর তোমরা ছবি তোলো। কিন্তু ওখানে বলার মত কেউ ছিল না।।
বর মশাই তো এতটাই নার্ভাস হয়ে গিয়েছিল দুদিক সামলাতে গিয়ে যে দিদির সিঁথির ওপর সিঁদুর দিতে গিয়ে বাঁকা করে সিদুর দিয়ে ফেলল। সে বেচারাই বা কি করবে? একদিক থেকে পুরোহিত মন্ত্র জপ করতে বলছে, আর একদিক থেকে ক্যামেরাম্যান সুন্দর করে পোস্ দিয়ে সিঁদুর পড়াতে বলছে। যাইহোক এসব দেখে সত্যিই আমার মাথা গরম হচ্ছিল।
অবশেষে সিঁদুর ব্যাকা পড়ানোর কারণে পুনরায় যখন বর বাবাজি সিঁদুর পরানোর চেষ্টা করছে ,পিছন থেকে বর পক্ষের একজন মহিলা এসে নিজেই আঁড়িটা কেড়ে নিয়ে বউয়ের মাথায় সিঁদুর পড়াতে লাগলো। এই দৃশ্য আরোই বিরক্তিকর। বলি, বিয়েটা কে করছে।!!ওই মহিলা? নাকি বরের সাথে বউয়ের বিয়ে হচ্ছে!! হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিলাম না ওই সময়।
বিয়ের পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আমরা খাওয়া দাওয়া করতে বসলাম। সুন্দর রান্না হয়েছিল। যে ক্যাটারার রান্না করেছিল তাদের বাহবা দিতেই হয়। প্রত্যেকটা রান্না এতো ভালো টেস্টি হয়েছিল যে, আমি তৃপ্তি করে খেয়েছি। বাড়ি ফিরে আসতে আসতে সেদিন রাত সাড়ে বারোটা। আমরা যখন খাচ্ছি ,তখন ঝিলিক দি আর জামাইবাবু খেতে বসেছে। পুরো ফাঁকা বলা যেতে পারে ওই সময় খাওয়ার জায়গাটা।
যাইহোক আপনাদের সাথে বিয়ের হাস্যকর এবং অতি বিরক্তকর মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগলো।। অনেক ভালো থাকবেন, আজকে এখানেই শেষ করছি।
বিয়ে বাড়ির অতি বিরক্তিকর মুহূর্ত ক্যামেরা ম্যানরা করে। তবে এটা নতুন কিছু নয়। আমার বিয়েতেও এরকম ঘটনা ঘটেছিল। শশুর বাড়ির কিছু লোকজন ক্যামেরা ম্যানদের উপর অতি বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। শেষে বকা শুরু করে দিয়েছিল। তবে সর্বদা বিয়ে বাড়িতে আমরাও এটা দেখে এসেছি যখন সিঁদুর পড়ানো হয় তখন বরের থেকে পিছনের জনের যেন বেশি উৎসাহী থাকে। মনে হয় সেই যেন সিদুরটা পড়াবে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি তোমার দাদা নিজে নিজেই ঠিক সিঁথি তে সিঁদুর দিয়েছিল। যাইহোক বিয়ে মিটে গেলে সবার খাবার চিন্তায় কথায় আগে মনে পড়ে। বিয়ে বাড়িতে সেজেগুজে তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
0.00 SBD,
1.42 STEEM,
1.42 SP
Team Steem Peacocks 🦚
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator07.