খুব কাছের বান্ধবী
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমার খুব কাছের বান্ধবী অনামিকার কথা।
আমাদের বন্ধুদের গ্রুপে যদি কেউ সব থেকে বেশি একটিভ থাকে তাহলে আমি বলব সেটা হলো অনামিকা। কার সাথে কার ঝামেলা বাঁধছে, কার প্রেম জীবন অসুস্থ হয়ে আছে, কে খারাপ আছে, কে দুঃখ পাচ্ছে, কার পার্সোনাল লাইফে সমস্যা চলছে, সবকিছুর খবর অনামিকা জানে। কারন আমার বন্ধুদের গ্রুপে আমরা সবাই আমাদের ভরসার জায়গা বলতেই অনামিকাকে বুঝি।
আসলে বন্ধু শব্দটার অর্থ অনেকটা বড়। সকলে হয়তো ভাবে টাকা পয়সা দিয়ে মজা করে ঘুরে বেড়ালে একসাথে অথবা ফুর্তি করলেই সেটা বন্ধুত্ব হয়ে যায়। সময় অসময়ে ভালো খারাপে সবকিছুতেই পাশে থাকা , না থাকতে পারলেও অন্তত চেষ্টা করা, বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে ভ্যালু দেওয়া এটাই আসলে বন্ধুত্ব। আমরা সকলে অনামিকা কে দেখেছি আমাদের সমস্ত খারাপ থেকে ভালো সময়ে ও সব সময় আমাদের সাথে থেকেছে।
শুধু আমার বলে নয় আমাদের বন্ধুদের গ্রুপের সবার ক্ষেত্রেই ও একই রকম। সবার কথা ও যেমন মন দিয়ে শুনেছে, ভুল হলে ভুল ধরিয়েছে, যেটাকে সঠিক করার সেটাকে সঠিক করতে শিখিয়েছে, যেখানে protest করার, সেই প্রোটেস্ট করার ক্ষমতা জাগিয়েছে। ওর মত বন্ধু পাওয়া সত্যিই আমাদের ভাগ্যের ব্যাপার।
আমাদের গ্রুপে আমরা সবাই জানি কারো সমস্যা হলে অনামিকা আগে জানতে পারবে। মেয়েটা প্রচন্ড পরিমাণে ঠান্ডা মেজাজের। ভীষণ ফাস্ট। একেবারে একটা বাড়ির কর্তা আর গিন্নির দায়ভার ও যান ও একাই পালন করে সবকিছু জুড়ে । সেটা নিজের কাজের জায়গা হোক, বন্ধু মহল হোক, অথবা বাড়ি হোক। ওর মধ্যে একটা অদ্ভুত ক্ষমতা লক্ষ্য করেছি। সবকিছু কি সুন্দর করে কন্ট্রোল করে রয়েছে। বাড়ি, কাজ, বন্ধু, মজা সবকিছু ও একা হাতে কি সুন্দর করে ম্যানেজ করে। ওর থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
সকলের জন্মদিনে সবথেকে বেশি ওই লাফালাফি করে। কোথাও দেখা করতে যাওয়া ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং ওর থেকেই শুরু হয়। আমরা বন্ধুরা এখনো যে এক জায়গায় হয়ে হাসি আড্ডা দিই, সবাইকে একসাথে রাখার একটা বড় গুরু দায়িত্ব যেন ও নিয়ে রেখে দিয়েছে। আর এই গুরুদায়িত্বের ক্রেডিট একেবারেই ওর বলা যেতে পারে। অনামিকা আমাদের ছোটবেলাকার বন্ধু। একসাথে আমরা স্কুলে পড়েছি। ও এখন নিজের লাইফ নিয়ে ভালোই স্যাটিস্ফাইড। বরং আরো ভালো কিছু করার চেষ্টা করছে। সবদিক দিয়ে ওকে এত ব্যস্ত থাকতে দেখতে আমার নিজেরও ভালো লাগে। আমি সত্যিই চাই অনেক অনেক ভালো থাকুক। আর ওর মতন বন্ধু পেয়ে আমরা সত্যিই ভাগ্যবান।
আসলে একটা সময় পরে আমরা সকলেই একা। মা-বাবার সাথে থাকলেও কোন কোন সময় পুরো জগতে নিজেকে একা মনে হয়। কিন্তু এরকম কিছু বন্ধু যাদের লাইফে আছে। তারা সত্যিই লাকি। আমরা সকলেই অনামিকার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। ও যেভাবে নিঃস্বার্থভাবে আমাদের সাথে এতটা এফর্ট দিয়ে বন্ধুত্বটাকে টিকিয়ে রেখেছে। তা অবাক করে। কারণ সত্যি বলতে আমরা সবাই এক জায়গায় এখন থাকি না।। যে যার কাজে আলাদা আলাদা হয়ে গিয়েছি। কিছু জন এই শহরেও নেই। তারপরেও বিষয়টিকে ধরে রাখা। এটা একটা অদ্ভুত কাজ।
আসলে এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ ওর জন্মদিন ছিল। জন্মদিনের মুহূর্তগুলো আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করব নেক্সট পোস্টে। তবে আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি ও যেন সবসময় এরকম হাসিখুশি থাকে। আর ও যেন অনেক অনেক ভালো থাকে। জীবনের সমস্ত স্বপ্নগুলো যেন ওর পূরণ হয়।