নতুন ফ্লোরের নতুন ইলেক্ট্রনিক্স এর কেনাকাটা
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন ।আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি কিছু কেনাকাটার মুহূর্ত।
বাড়ির দোতলার ঘরগুলো ফিনিশ হয়ে যাওয়ার পরে আস্তে আস্তে সব কিছুই কেনাকাটা শুরু হয়ে যায়। তারমধ্যে সব থেকে আগে কেনাকাটা হয়েছিল ইলেকট্রনিক জিনিসের। বাড়িতে যেদিনকে পুজো দেবো তার আগের দিন। সকালবেলায় হট করে এই কেনাকাটার প্ল্যান।
আসলে আমি অনেকদিন ধরেই বলছিলাম ,যেভাবে গরম পড়ছে ,উপরের ঘরে যদি এসি না নেয়া হয়, তাহলে ওপরের ঘরে কিছুতেই টেকা যাবে না। আমাদের নিচের রুমগুলোর মধ্যে একটা রুমে এসি আছে। আর ওপরে থাকতে হলে ওপরেও এসি লাগবে।
কিন্তু বাবা পুজোর জোগাড় নিয়ে এত ব্যস্ত ছিল, সাথে মিস্ত্রিদের কাজ কিছুতেই শেষ হচ্ছিল না। একদিকে কাঠের মিস্ত্রি, একদিকে রংয়ের মিস্ত্রি ,একদিকে মার্বেলের মিস্ত্রি ,সবমিলিয়ে একটা তোলপাড় অবস্থা। আসলে পুজোর আগে সবটাই ফিনিশ দিতে হবে। এ কারণেই এত তোরজোর ছিল। তখন আমাদের বেসিনের সেকশনের কাজটা চলছে। তাই বাবা ওদেরকে নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত ছিল। আমি যেভাবে বেসিনের জায়গাটাকে বলেছিলাম, সেভাবেই বানাতে হবে এটাই সবথেকে বড় চাপ ছিল। বেসিনের সেকশনটা কতটা সুন্দর হয়েছে তা কিন্তু আমি আপনাদের সাথে পোস্টটা শেয়ার করেছি অলরেডি।
সেদিন মোটামুটি সকাল সাড়ে দশটা বাজে, পুজোর আগের দিন, আমি ভাবলাম স্নান টান করে নেব। হঠাৎ করে বাবা ফোন করল, আমি জানিনা বাবা কখন বাইরে গেছে। ফোন ধরেই বলল ,তুই কি একটু এদিকে আসতে পারবি। আমি প্রশ্ন করলাম তুমি গেছো কোথায়। উত্তরে জানতে পারলাম বাবা কলের মাথা কিনতে গিয়ে চলে গেছে ইলেকট্রনিক্স এর দোকানে। আমাদের বাড়িতে যা যা ইলেকট্রনিক্স আছে এসি, ফ্রিজ, গিজার, চিমনি সবকিছুই আমাদের কৃষ্ণনগরের খোসলা বাজার থেকে কেনা।
কৃষ্ণনগরে ইলেক্ট্রনিক্সের বড় বড় দোকান রয়েছে । কিছুদিন আগে ক্রোমা ওপেন হল। এছাড়াও রয়েছে রিলায়েন্স ডিজিটাল,হিন্দুস্তান, আরো অনেক কিছু যেগুলোর আমি নাম জানিনা। তবে প্রথম থেকেই বাবা খোসলা বাজার থেকেই আমাদের ইলেকট্রনিক্সের জিনিসপত্র কেনাকাটা করেছে।
কলের মিস্ত্রি বাড়িতে কাজ করছে। আর আমার বাবা কলের মাথা কিনতে গিয়ে চলে গিয়েছে ইলেকট্রনিক্স এর দোকানে। আমার মনে আছে সেদিনকে রবিবার ছিল। অন্যান্য সবকিছুর দোকান বন্ধ থাকলেও রবিবারে বড় বড় শপিংমল কিংবা এই ইলেকট্রনিক্সের দোকানগুলো কৃষ্ণনগরে খোলা থাকে।
বাবা ওখানে একাই পৌঁছে গিয়েছে, আর ওখানে গিয়ে নিজে কনফিউজড হয়ে গিয়েছিল যে কি নেবে আর কি নেবে না। তাই আমাকে ফোন করে আবার সেখানে আসার জন্য বলে। আমি স্নান করতে ঢুকবো ভেবেছিলাম, বাবার কথা শুনে আমি নিজেই চাপে পড়ে গেলাম। কারণ আমিও চাইছিলাম বুঝেশুনে তারপর কেনাকাটা করতে। বাবা যদি আগে বলতো সকাল থেকে রেডি হয়ে থাকতাম। যাইহোক বাবার সাথে ইলেকট্রনিক্স এর দোকানে দেখা করতে চলে গেলাম আমারই একটা কাকার গাড়িতে। কাকা ওই দোকানে পৌঁছে দিয়ে আবার বাড়ি ফিরে আসলো।
গিয়ে দেখি বাবা এসি দেখছে। বাবার ইচ্ছা করছিল এলজির এসি নিতে । আসলে আমাদের যে এসিটা বাড়িতে রয়েছে সেটা বেশ কিছু বছর হয়ে গেল এবং সেটা এলজি কোম্পানির। এই কোম্পানিগুলো এখন আর সেরকম ভাবে বিক্রি হয় না এসির ক্ষেত্রে। এখন ব্লুস্টার, ক্যারিয়ার, ডাইকিন , ভোল্টাস এগুলোই বেশি চলে।
কিছুদিন আগেই মামার বাড়িতে এসি নেয়া হয়েছে, এছাড়াও আমার চেনা পরিচিতরা যারা যারা এসি কিনেছে, সকলেই প্রায় কেরিয়ারের এসি কিনেছে। তাই বাবাকে আমি অনেক ভাবে কনভিন্স করলাম , যেন বাবা কেরিয়ার এসিটাই নেয়। সেটাই নেয়া হলো। সব মিলিয়ে অফার ধরে কেরিয়ার কোম্পানির এসির দাম দাঁড়ালো ৪৪,০০০ টাকা অর্থাৎ ভারতীয় দামে প্রায় ৩৬৬৬ steem।
এরপরেও কেনাকাটা থেমে যায়নি। আরো কিছু জিনিস কেনা হয়েছিল। আজকে লেখাটা বেশ বড় হয়ে গেল, তাই পরের পোস্টে বাকি কেনাকাটার কথা শেয়ার করব। আজকে এখানেই শেষ করছি।
বাড়ির যে কোনো জিনিস হুট করে কেনায় ভালো। না হলে অনেকদিন ধরে কোন জিনিস কেনার প্ল্যান থাকলে সেটা কেনা হয়ে ওঠে না। নতুন ঘরের জন্য নতুন ইলেকট্রনিক জিনিস হঠাৎ করেই কিনতে চলে গিয়েছিলে। এখন যা গরম পড়ছে এসি ছাড়া একদমই থাকা যায় না। বাবার পছন্দ মতো জিনিস কিনেছো। সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের সকলের স্বপ্ন হলো একটি সুন্দর বাড়ি তৈরি করা । অনেক পরিশ্রম, অর্থ ব্যয় করে মানুষ তার শখের বাড়ি নির্মাণ করে। প্রতিটি ইটেরৎভাজে ভাজে থাকে তার স্বপ্ন লুকানো ।
ছয় ঋতুর দেশ হলেও শীতের থেকে গরম বেশি থাকে। তাইতো আপনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দোতলার জন্য এসি কিনবেন আর আপনার বাবার সাথে আপনি তা পছন্দ করে দিবেন। আপনার স্বপ্নের বাড়িটি সুন্দর করে সাজান সেই শুভ কামনা করি।