কেক কাটিং
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। গতকাল আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম নৌকা বিহারের কথা। আমরা কতটা মজা করেছি নৌকা চড়ে। তা আপনাদের সাথে ছবি সহকারে শেয়ার করেছি। আজকে শেয়ার করে নেব জন্মদিনের কেক কাটিংয়ের মুহূর্তটা।
মোটামুটি সকালবেলা থেকে খাওয়া দাওয়া করে সবার পেট লোড। এমনিতেই লুচি আর আলুর দম খেলে সকলের পেট ফুলে ওঠে। তার ওপরে ছিল চিকেন পকোড়া আর পনির পাকোড়া। সেগুলোও খাওয়া দাওয়া করা হয়েছে। এবার সবাই মিলে ঠিক করলাম কেকটা কাটা হয়ে যাক।।
কেক দুটোই আমার হাতের বানানো। একটা কেক বানিয়েছিলাম ম্যাংগো এবং হোয়াইট চকলেট ফ্লেভারের। আর একটা কেক ছিল চকলেট ফ্লেভারের। দুটো কেক তৈরি করেছি আগের দিন। এত তাড়াহুড়োর মধ্যে ছিলাম যে কোন রকম ভাবে ভিডিও বা ছবি তুলতে পারিনি রেসিপি গুলোর।
আশা করছি কেক দুটো দেখে আপনাদেরও লোভ লাগছে, আপনারা বিশ্বাস করবেন না এত ভাল খেতে হয়েছিল, বিশেষ করে হোয়াইট চকলেট এর সাথে ম্যাংগো ফ্লেভার দিয়ে পিংক কালারের যে কেকটা দেখতে পাচ্ছেন। ওটা অস্বাভাবিক দারুণ খেতে হয়েছিল। আমি বসে পড়লাম চেয়ারে, ছাতার তলায়। তারপরে চারদিক দিয়ে কমলালেবুগুলোকে সাজিয়ে দেয়া হলো। আর লজেন্স সাজিয়ে দেয়া হলো। বুঝতে পারছিলাম না কি দিয়ে সাজানো যায়, তবে কমলা লেবু গুলো দেখেই ওইভাবে সাজিয়ে নিলাম। এইসব বুদ্ধি আমার মাথা থেকেই বেরোয় যদিও।
সবাই এই নিয়ে হাসাহাসি করছিল। এই জন্মদিন সেলিব্রেশন শুধু জন্মদিন সেলিব্রেশন ছিল না, ছিল একটু আনন্দঘন মুহূর্তকে উদযাপন করা। সকলে যেভাবে ব্যস্ত থাকে বিশেষ করে বাবা মা ।সারাদিনের ক্লান্তি সরিয়ে একটি দিন সবাই মিলে এভাবে মজা করতে চাইছিলাম।।
আমাদের জীবনে আমাদের ফ্যামিলি ছাড়া আর কিছুই নেই। মা বাবা আমাদের পরিবার আমাদের সবথেকে বড় খুঁটি। এদের যদি হাসি মুখটা দেখা যায় ,তাহলে মনে হয় সব দুঃখ আমরা হারিয়ে ফেলি। সেদিন আমি সবাইকে হাসতে দেখেছি। সবাইকে দেখেছি কত কত মজা করতে। বিশেষ করে আমার মা-বাবা ,জেঠু জেঠিন, ওর মা বাবা কে হাসতে দেখে আমার সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে।
সবাই এক এক করে দাঁড়িয়ে আমার সাথে ছবি তুললো। ছবিগুলো আমার কাছে অনেক অনেক দামি। তারপরে আমি কেক কাটলাম। সবাইকে খাওয়ালাম। মোমবাতি কিছুতেই জ্বলছিল না, কারণ হাওয়া দিচ্ছিল। রাতের বেলা একবার মৌসুমী বৌদিদের সাথে জন্মদিন পালন করা হয়েছে এবং তখন মোমবাতি জ্বালানো হয়েছিল বলে আমি মোমবাতিটা বাদ দিয়ে দিলাম।। নরমাল কেক কাটা হলো এবং সবাই মিলে কেক খাওয়া হলো।
কেক খেতে আমরা চারজন ভীষণ ভালোবাসি। মানে আমি ,ও ,ওর দাদা আর আমার দিদি। আমরা সবাই কেকের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিলাম রীতিমত।
কেক তো খেয়ে পুরো পেট বোঝাই ,তারপরে ভেবে পাচ্ছিলাম না ,কিভাবে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করব। যাইহোক আজকে এখানেই শেষ করছি পরবর্তী পোস্টে আরো কিছু শেয়ার করব।
এত সুন্দর একটি আনন্দ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম।আপনি দুইটা কেক নিজের হাতে তৈরি করেছেন, দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে এবং অনেক সুস্বাদু হবে। কেক টি দেখে খেতে মন চাচ্ছে, আমার চকলেট কালার কেক পছন্দ! আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।