বাবার সাথে কেনাকাটা
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি কেনাকাটার গল্প ।সারা বছরে অর্থাৎ বারো মাসে তেরো পার্বণ। তার সাথে লেগে থাকে নানান ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান। আর এসবের কারণে কেনাকাটার শেষই হয় না।
প্রত্যেক মাসে যেভাবে কেনাকাটা করতে হয় ,তা মাঝেমধ্যে আমাকেই অবাক করিয়ে দেয় ,এখনো তো সংসারের ভাড় নিজের ঘাড়ে নেওয়া হয়নি বাবার কাছে থেকেই সমস্ত কিছু। তাই টাকাটা কোন দিক দিয়ে কোন দিক দিয়ে খরচ হয় পুরোপুরি টের পাইনা। চাপও কম থাকে। এত কেনাকাটা দেখে বুঝতে পারি যে যখন নিজের ঘাড়ে সংসারের চাপ পড়বে ,তখন আমি বোধহয় পাগল হয়ে যাব।
আমাদের কিছু অনুষ্ঠান সামনে ছিল বলে কিছু কেনাকাটার জন্য বাবার সাথে বার হতে হয়েছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম আমি একাই বার হব। কিন্তু অনেকদিন বাবার সাথে কেনাকাটা করতে বার হওয়া হয়নি বলেই ,সেদিনকে বাবার সাথে জেদ ধরলাম ।
আর বাবাকে যদি একা ছাড়ি বাবা কিছুতেই ঠিকমতো জিনিস কিনতে পারে না। অতিরিক্ত দাম দিয়ে জিনিসপত্র কিনবে ।কিন্তু জিনিসটা ভালো হবে না। সব থেকে বড় কথা দোকানদাররা এক একটা বড় বড় ঠকবাজ। লোক ঠকানোই ওদের কাজ। আর আমার বাবা দামাদামি নিয়ে বেশি কথাও বলে না ।যেটা বেশি দাম দেখবে ,সেটাই বাবার কাছে যেন ভালো ।তবে আমার মনে হয় সব সময় বেশি দাম দেওয়ার জিনিস কিনলেই যে ভালো হয় তা কিন্তু নয়।
গত রবিবারে বাবার সাথে সকালের দিকে খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়েছিলাম ।সকালের খাওয়া বলতে গরমকালে হয় আম, না হয় কাঁঠাল। এবং সেগুলো দিয়ে মুড়ি। আমি কাঁঠাল খুব পছন্দ করি। তবে কোয়া কাঁঠাল একদম ভালো লাগেনা, আমার ভালো লাগে যে কাঁঠালের রস ভালো হয়। কাঁঠালের রস দিয়ে মুড়ি দিয়ে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। ওই খেতে খেতে আবার জেঠুর বাড়ী থেকে লুচি, ছোলার ডাল, গোলাপ জামুন চলে এলো। লোভ সামলাতে না পেরে সাথে সাথে টিফিন কৌটো খুলে দুটো লুচি খেয়ে নিলাম।
যেদিন কাঁঠাল খাই ,তার আগে একটা গ্যাসের ওষুধ খেয়ে রাখি ।কারণ কাঁঠাল এ গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম হয়। আর যারা এই জিনিস সহ্য করতে পারে না, তাদের না খাওয়াই ভালো।। যাই হোক সেদিন অনেক কিছু খেয়েছি তাও আমার সমস্যা হয়নি ভাগ্যবশত।
বাবার সাথে খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়ে গেলাম। চলে গেলাম আমাদের কৃষ্ণনগরের ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়। এই দোকানটা কৃষ্ণনগরে বহু পুরনো। আমি ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি ।যাই হোক এখানকার মালিক যে দুজন আছেন ,তারা বাবার পরিচিত। তাই দোকানে যাওয়ার সাথে সাথে বাবা ওনাদের সাথে গল্প জুড়ে দিল, আর এদিকে আমি জামা কাপড় দেখতে লাগলাম।
কিনতে হবে দুটো শার্ট, দুটোই হাফ হাতা আর একটা শাড়ি কিনতে হবে ,এই তিনটি কাজ। প্রথমেই আমার জেঠুর জন্য একটা শার্ট দেখা শুরু করলাম। কিছুতেই শার্ট পছন্দ হচ্ছিল না ,আসলে বাবা যে ধরনের রং চাইছিল, সেটা বাবা পেল না ,অবশেষে জেঠুর জন্য নেভি ব্লু কালারের একটা হাফ হাতা শার্ট নেয়া হলো। ওটার দাম পরল ,- ১৫৯৯ টাকা। ভারতীয় বাজারে ১৪৫ steem.
তারপরে আমার পার্টনারের বাবা মার জন্য একটা শার্ট আর একটা শাড়ি কেনা হলো ।কাকুর জন্য নেয়া হলো হাফ হাতা একটা সাদা রঙের শার্ট ।সেটার দাম বলল হাজার টাকা। হঠাৎ ১০০ steem মত।
এসব যখন দেখছি তখন শোরুমের স্টাফ আমাদের একটা জলের বোতল আর একটা ফ্রুটির বোতল ধরিয়ে দিল।। জিনিসটা পেয়ে আমিও খুব খুশি হয়ে গেলাম। আমার বাবাকেও একটা দিচ্ছিল, কিন্তু আমার বাবা নেইনি।
এই কারণে আমার বাবা আমার কাছে বকা খেল একবার। কারণ বাবা যদি নিত,তাহলে কি ক্ষতি হতো, সেটাও তো আমিই নিয়ে নিতাম ,বাড়িতে গিয়ে ভাইকেই তো দিতাম।। কেন অবুদ্ধিমানের মত কাজ করে মাঝেমধ্যে। যাইহোক, বেশি কথা বলতে গেলে বাবা আবার বকবে ,এ কারণে বাবাকে আর কিছু বললাম না।
তবে আমার মনে হয় দোকানে কাস্টমারদের এভাবে মাঝে মধ্যে আপ্যায়ন করলে কাস্টমাররা খুশি হয়। এবং স্বাভাবিকভাবে দোকানে আবার আসতে চায়। আমিও অনুষ্ঠানের দিনগুলোতে আমাদের শোরুমে বাচ্চাদের জন্য চকলেট রাখার চেষ্টা করি । কিছু কিছু দোকানে তো জলের ব্যবস্থাও থাকে না।। এগুলো সত্যিই দৃষ্টিকটু ।
যাইহোক তারপরে শাড়ির সেকশনে গিয়ে শাড়ি কেনাকাটা করেছি, সেটা নিয়ে পরের পোস্টে লিখব ।আজকে এখানেই শেষ করছি।
অনেকদিন পরে বাবার সাথে কেনাকাটা করতে বেরিয়ে ছিলে। আসলে সব ব্যবসাদার লোক ঠকানোর জন্য বসে থাকে। মানুষকে সহজ সরল পেলে বেশি ঠকায়। তবে আমি কোনদিন কৃষ্ণনগর ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয় থেকে জামা কাপড় কোন কিছুই কিনি না ।প্রথম থেকেই চলে এসেছি ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয় নাকি জামা কাপড়ের দাম একটু বেশি নেয়। তবে হয়তো জিনিসের কোয়ালিটি অনেকটা ভালো হয়। সেদিন কাঁঠালের রস দিয়ে মুড়ি খেয়েছিলে আমিও কাঁঠাল দিয়ে মুড়ি খেতে ভীষণ পছন্দ করি তবে আমার শারীরিক কোন সমস্যা হয় না। কোন দোকানে জিনিস কিনতে গেলে যদি মানুষকে আপন করে কোন খাবার দেয় তাহলে সেটা সত্যিই খুব ভালো লাগে মাঝে মাঝে যখন যশোরেশ্বরী যাই কেনাকাটা করতে তখন ওই দোকানে থেকে দোকানের মানুষজনকে আপ্যায়ন করে। যাই হোক নিজে পছন্দ করে কলের জন্য কেনাকাটা করেছো। পছন্দ করে জিনিস কেনাটা খুবই দায়িত্বের কাজ। তবে সেই জিনিসটা অন্যের পছন্দ হবে কিনা সেটা আরও বেশি দুশ্চিন্তার। তোমার কেনাকাটার পোস্ট করে বেশ ভালো লাগলো।
আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন সংসারের হাল যখন মা-বাবার কাঁধে থাকে তখন শুধু মা বাবা ছাড়া অন্য কেউ বুঝবে না যে তার মাসে সংসারের জন্য কত টাকা খরচ করতে হয় কিন্তু আমরা যখন ছেলেমানুষ আমাদের কোন কিছু এনে দেয় আসলে আমরা অনেক সময় রেগে যায় যে এটা এমন দাম এরকমটা বলে একটু ঝামেলাই করি কিন্তু আপনি নিজে এবার এ মাসের বাজারটা করে বুঝতে পেরেছেন আসলে কত টাকা একটি সংসারে মাসের জন্য খরচ করতে হয় তবে অনেকদিন পর বাবার সাথে একসাথে বেরিয়েছেন কেনাকাটার জন্য আসলে আমি মনে করি ছেলে মানুষ খুব ভালো একটা দাম দর করতে পারেনা তবে আপনি আপনার বাবার সাথে গিয়ে সমস্ত জিনিস দাম দর করে কিনে এনেছেন এবং কেনাকাটা শেষ করে সমস্ত বিল পরিশোধ করে আবারো বাসায় ফিরে এসেছেন আপনার লেখাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপনার জন্য আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন